ETV Bharat / state

physical training camp chanchal : চাঁচলের ছেলেমেয়েদের সেনায় সুযোগ করে দিতে প্রশিক্ষণ শিবির সেনা কমান্ডো’র - commando sajjad ali

মালদার চাঁচলে গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের সেনায় ভর্তির সুযোগ করে দিতে দু’বছর আগে বিশেষ ট্রেনিং ক্যাম্পের সূচনা করেছিলেন ভারতীয় সেনার কমান্ডো সাজ্জাদ আলি ৷ আজ তাঁর ট্রেনিং স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় 150 ৷ চাঁচলের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্য গড়তে তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলে ৷

training-camp-run-by-army-commando-sajjad-ali-in-chanchal-malda
চাঁচলের ছেলেমেয়ে’দের সেনায় সুযোগ করে দিতে প্রশিক্ষণ শিবির সেনা কমান্ডো’র
author img

By

Published : Aug 9, 2021, 7:26 PM IST

Updated : Aug 11, 2021, 7:40 PM IST

মালদা, 9 অগস্ট : অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন মালদার চাঁচলের বাসিন্দারা । সেখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শেষ করলেও, তাঁদের চাকরি নেই । কী করে তাঁরা নিজেদের আগামী দিনগুলো গড়ে তুলবেন ? তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন চাঁচলের বাসিন্দা সেনাকর্মী সাজ্জাদ আলি । তাই ঠিক করেন, তাঁর এলাকার ছেলেমেয়েদেরও সেনা কিংবা আধাসেনায় নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন । আর তার জন্য প্রয়োজন সঠিক শরীরিক প্রশিক্ষণ । এই ভাবনা মাথায় আসতেই গ্রামের বেকার ছেলেমেয়েদের ট্রেনিং দিতে শুরু করেন ভারতীয় সেনার কমান্ডো সাজ্জাদ আলি (Commando Sajjad Ali)। প্রায় দু’বছর ধরে চলছে তাঁর সেই শারীরিক প্রশিক্ষণ শিবির (Physical training camp) । এখানে প্রশিক্ষণ নিতে কোনও টাকাপয়সা দিতে হয় না । সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন তিনি । এই মুহূর্তে সেখানে ট্রেনিং নিচ্ছেন এলাকার প্রায় দেড়শো জন ছেলেমেয়ে। সাজ্জাদ আলি ছুটিতে বাড়ি এলে নিজে সেখানে প্রশিক্ষণ দেন ৷ আর তাঁর অবর্তমানে সেই প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করেন তাঁর প্রশিক্ষিত বন্ধুরা ।

সাজ্জাদ আলি ভারতীয় সেনার একজন কমান্ডো । মুম্বইয়ে পোস্টিং রয়েছেন তিনি ৷ বর্তমানে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন । প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে চাঁচল হাটে শুরু হয় তাঁর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ক্লাস । প্রায় চার ঘণ্টা ক্লাস চলে । বছর দু’য়েক আগে হাতে গোনা 5-6 জন ছেলেমেয়ে সেই ক্লাসে যোগ দিয়েছিলেন । এখন সংখ্যাটা প্রায় দেড়শো । রয়েছেন জনা দশেক মেয়েও । সাজ্জাদ আলি বলেন, “ছোট থেকে খুব কষ্ট করে মানুষ হয়েছি ৷ অনেক কষ্টে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছি । আমার এলাকায় গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি । চাঁচলে বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । তাঁদের অনেকেই সেনা কিংবা আধাসেনায় কাজ করতে চান । কিন্তু ফিজিক্যাল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পেরে ফিরে আসেন । তাই তাঁদের জন্য আমি ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি । তাঁদের যেন আর ফিরে আসতে না হয় । সেনাবাহিনীতে কাজ পেতে গেলে কী ধরনের ফিজিক্যাল ট্রেনিং প্রয়োজন, তার একটা ধারণা আমার আছে । আমি সেটাই এখানকার ছেলেমেয়েদের শেখাই ৷ শুধু চাকরিই নয়, এখানকার ছেলেমেয়েরা যাতে দেশের সেবাও করতে পারেন, সেটাও চাই আমি । ট্রেনিংয়ের পরিকাঠামো এখানে কিছু নেই । যা করার আমরা নিজেরাই করি । বিষয়টি আমি চাঁচল থানার আইসিকে জানিয়েছি । তিনিও এতে খুব খুশি । তিনিও এই ছেলেমেয়েদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন । আমি যখন এখানে থাকি না তখন আমার বন্ধু রবিউল হাসান, নওয়াজ এবং দিলওয়ার হোসেন বাচ্চাদের ট্রেনিং দেন ৷ তাঁদেরও পিটি কোর্স করা আছে ৷’’

ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বছর দেড়েক ধরে ওই শিবিরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন নার্গিস পারভিন । স্কুল জীবনে অ্যাথলেটিকসে রাজ্যস্তরে ভাল ফল করেছেন তিনি । সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছেন । সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়ে সেনায় চাকরি করবে, তা প্রথমে মেনে নিতে পারেননি অভিভাবকরা । ধীরে ধীরে তাঁদের ভরসা জুগিয়েছেন । তিনি বলেন, “ছোট থেকেই সেনায় চাকরি করার স্বপ্ন । দেশের সুরক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করার স্বপ্ন চোখেই বড় হয়েছি । কিন্তু চাঁচলে ফিজিক্যাল ট্রেনিং দেওয়ার মতো কোচ ছিল না । অথচ বাইরে সেই সুযোগ রয়েছে । হঠাৎ জানতে পারি, সাজ্জাদ স্যার চাঁচলের ছেলেদের ট্রেনিং দিচ্ছেন । তখনই মাথায় আসে, স্যারকে গিয়ে বলব, ছেলেরা ট্রেনিং নিতে পারলে মেয়েরা পারবে না কেন ? স্যারের কাছে এসে সেকথা বললাম । তিনি মেয়েদের ট্রেনিং দিতে রাজি হন । এই ট্রেনিংয়ে আমিই প্রথম মেয়ে । পরে আরও অনেক মেয়ে এখানে ট্রেনিং নিচ্ছেন । এখানে কোনও টাকাপয়সা লাগে না । স্যার আমাদের কাছে গর্বের । তাঁর জন্যই আমরা সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছি । আমি ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও তফাৎ দেখি না । এখন ভারতের মেয়েরা অলিম্পিকস থেকে মেডেল নিয়ে আসছেন । তাহলে আমরা পারব না কেন ? শুধু চেষ্টা করে যেতে হবে ।”

চাঁচলের ছেলেমেয়েদের সেনায় সুযোগ করে দিতে প্রশিক্ষণ শিবির সেনা কমান্ডো’র

আরেক শিক্ষার্থী সৌরভ শীল বলেন, “এখানে সেনায় নিয়োগের জন্য যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । আমি খুব গরিব ঘরের ছেলে । জুতো কিংবা টি-শার্ট কেনার ক্ষমতাও ছিল না । স্যারই সব কিনে দিয়েছেন । শুধু আমাকেই নয়, যাদের এসব কেনার ক্ষমতা নেই, স্যার সবাইকেই কিনে দেন । এখন আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে ৷ আমি সেনায় নিশ্চিতভাবে চাকরি পাব । প্রায় দেড় বছর ধরে আমি এখানে ট্রেনিং নিচ্ছি । প্রথমে 7-8 জন দিয়ে শুরু হয়েছিল । এখন একশো পেরিয়ে গিয়েছে । জনা দশেক মেয়েও রয়েছে ।”

দু’মাস ধরে এখানে ট্রেনিং নিতে আসছেন মহবিল খানের ছেলে । চাঁচল হাটে ছেলের ট্রেনিং দেখতে এসে তিনি বলেন, “অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম, এখানে সেনায় চাকরির জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয় । চাঁচলে এসবের সুযোগ ছিল না । শেষ পর্যন্ত সাজ্জাদ স্যার সেই সুযোগ করে দিয়েছেন । অনেক ছেলেমেয়ে এখানে ট্রেনিং নিচ্ছে । আমাদেরও ভাল লাগছে । এর জন্য আমি সাজ্জাদ স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । ছোট থেকেই ছেলে দেশের কাজ করার কথা বলত । সেই আশায় আমরাও ওকে এখানে পাঠাচ্ছি । ওকে বলেছি, পরিশ্রম করেই সেনায় চাকরি পাওয়া যায় । তাই ওকেও পরিশ্রম করে যেতে হবে ।”

শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিংই নয় । সেনায় চাকরিপ্রার্থী ছেলেমেয়েদের জন্য সাজ্জাদ আলি ও তাঁর তিন বন্ধু এক শিক্ষক নিয়োগ করেছেন । তার জন্য তাঁরা ওই শিক্ষককে প্রতি মাসে আট হাজার টাকা সাম্মানিক দেন । সেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অঙ্ক, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ট্রেনিং দেন । প্রতিদিন ফিজিক্যাল ট্রেনিং শেষে ছেলেমেয়েদের সেই শিক্ষকের কাছে পড়াশোনাও করতে হয় । যদিও সেই শিক্ষক ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়ালেই রেখেছেন । এবারই প্রথম তাঁদের প্রশিক্ষিত 20 জন ছেলেমেয়ে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর জওয়ান হওয়ার জন্য আবেদন দাখিল করেছেন ।

মালদা, 9 অগস্ট : অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন মালদার চাঁচলের বাসিন্দারা । সেখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শেষ করলেও, তাঁদের চাকরি নেই । কী করে তাঁরা নিজেদের আগামী দিনগুলো গড়ে তুলবেন ? তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন চাঁচলের বাসিন্দা সেনাকর্মী সাজ্জাদ আলি । তাই ঠিক করেন, তাঁর এলাকার ছেলেমেয়েদেরও সেনা কিংবা আধাসেনায় নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন । আর তার জন্য প্রয়োজন সঠিক শরীরিক প্রশিক্ষণ । এই ভাবনা মাথায় আসতেই গ্রামের বেকার ছেলেমেয়েদের ট্রেনিং দিতে শুরু করেন ভারতীয় সেনার কমান্ডো সাজ্জাদ আলি (Commando Sajjad Ali)। প্রায় দু’বছর ধরে চলছে তাঁর সেই শারীরিক প্রশিক্ষণ শিবির (Physical training camp) । এখানে প্রশিক্ষণ নিতে কোনও টাকাপয়সা দিতে হয় না । সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন তিনি । এই মুহূর্তে সেখানে ট্রেনিং নিচ্ছেন এলাকার প্রায় দেড়শো জন ছেলেমেয়ে। সাজ্জাদ আলি ছুটিতে বাড়ি এলে নিজে সেখানে প্রশিক্ষণ দেন ৷ আর তাঁর অবর্তমানে সেই প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করেন তাঁর প্রশিক্ষিত বন্ধুরা ।

সাজ্জাদ আলি ভারতীয় সেনার একজন কমান্ডো । মুম্বইয়ে পোস্টিং রয়েছেন তিনি ৷ বর্তমানে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন । প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে চাঁচল হাটে শুরু হয় তাঁর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ক্লাস । প্রায় চার ঘণ্টা ক্লাস চলে । বছর দু’য়েক আগে হাতে গোনা 5-6 জন ছেলেমেয়ে সেই ক্লাসে যোগ দিয়েছিলেন । এখন সংখ্যাটা প্রায় দেড়শো । রয়েছেন জনা দশেক মেয়েও । সাজ্জাদ আলি বলেন, “ছোট থেকে খুব কষ্ট করে মানুষ হয়েছি ৷ অনেক কষ্টে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছি । আমার এলাকায় গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি । চাঁচলে বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । তাঁদের অনেকেই সেনা কিংবা আধাসেনায় কাজ করতে চান । কিন্তু ফিজিক্যাল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পেরে ফিরে আসেন । তাই তাঁদের জন্য আমি ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি । তাঁদের যেন আর ফিরে আসতে না হয় । সেনাবাহিনীতে কাজ পেতে গেলে কী ধরনের ফিজিক্যাল ট্রেনিং প্রয়োজন, তার একটা ধারণা আমার আছে । আমি সেটাই এখানকার ছেলেমেয়েদের শেখাই ৷ শুধু চাকরিই নয়, এখানকার ছেলেমেয়েরা যাতে দেশের সেবাও করতে পারেন, সেটাও চাই আমি । ট্রেনিংয়ের পরিকাঠামো এখানে কিছু নেই । যা করার আমরা নিজেরাই করি । বিষয়টি আমি চাঁচল থানার আইসিকে জানিয়েছি । তিনিও এতে খুব খুশি । তিনিও এই ছেলেমেয়েদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন । আমি যখন এখানে থাকি না তখন আমার বন্ধু রবিউল হাসান, নওয়াজ এবং দিলওয়ার হোসেন বাচ্চাদের ট্রেনিং দেন ৷ তাঁদেরও পিটি কোর্স করা আছে ৷’’

ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বছর দেড়েক ধরে ওই শিবিরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন নার্গিস পারভিন । স্কুল জীবনে অ্যাথলেটিকসে রাজ্যস্তরে ভাল ফল করেছেন তিনি । সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছেন । সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়ে সেনায় চাকরি করবে, তা প্রথমে মেনে নিতে পারেননি অভিভাবকরা । ধীরে ধীরে তাঁদের ভরসা জুগিয়েছেন । তিনি বলেন, “ছোট থেকেই সেনায় চাকরি করার স্বপ্ন । দেশের সুরক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করার স্বপ্ন চোখেই বড় হয়েছি । কিন্তু চাঁচলে ফিজিক্যাল ট্রেনিং দেওয়ার মতো কোচ ছিল না । অথচ বাইরে সেই সুযোগ রয়েছে । হঠাৎ জানতে পারি, সাজ্জাদ স্যার চাঁচলের ছেলেদের ট্রেনিং দিচ্ছেন । তখনই মাথায় আসে, স্যারকে গিয়ে বলব, ছেলেরা ট্রেনিং নিতে পারলে মেয়েরা পারবে না কেন ? স্যারের কাছে এসে সেকথা বললাম । তিনি মেয়েদের ট্রেনিং দিতে রাজি হন । এই ট্রেনিংয়ে আমিই প্রথম মেয়ে । পরে আরও অনেক মেয়ে এখানে ট্রেনিং নিচ্ছেন । এখানে কোনও টাকাপয়সা লাগে না । স্যার আমাদের কাছে গর্বের । তাঁর জন্যই আমরা সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছি । আমি ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও তফাৎ দেখি না । এখন ভারতের মেয়েরা অলিম্পিকস থেকে মেডেল নিয়ে আসছেন । তাহলে আমরা পারব না কেন ? শুধু চেষ্টা করে যেতে হবে ।”

চাঁচলের ছেলেমেয়েদের সেনায় সুযোগ করে দিতে প্রশিক্ষণ শিবির সেনা কমান্ডো’র

আরেক শিক্ষার্থী সৌরভ শীল বলেন, “এখানে সেনায় নিয়োগের জন্য যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । আমি খুব গরিব ঘরের ছেলে । জুতো কিংবা টি-শার্ট কেনার ক্ষমতাও ছিল না । স্যারই সব কিনে দিয়েছেন । শুধু আমাকেই নয়, যাদের এসব কেনার ক্ষমতা নেই, স্যার সবাইকেই কিনে দেন । এখন আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে ৷ আমি সেনায় নিশ্চিতভাবে চাকরি পাব । প্রায় দেড় বছর ধরে আমি এখানে ট্রেনিং নিচ্ছি । প্রথমে 7-8 জন দিয়ে শুরু হয়েছিল । এখন একশো পেরিয়ে গিয়েছে । জনা দশেক মেয়েও রয়েছে ।”

দু’মাস ধরে এখানে ট্রেনিং নিতে আসছেন মহবিল খানের ছেলে । চাঁচল হাটে ছেলের ট্রেনিং দেখতে এসে তিনি বলেন, “অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম, এখানে সেনায় চাকরির জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয় । চাঁচলে এসবের সুযোগ ছিল না । শেষ পর্যন্ত সাজ্জাদ স্যার সেই সুযোগ করে দিয়েছেন । অনেক ছেলেমেয়ে এখানে ট্রেনিং নিচ্ছে । আমাদেরও ভাল লাগছে । এর জন্য আমি সাজ্জাদ স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । ছোট থেকেই ছেলে দেশের কাজ করার কথা বলত । সেই আশায় আমরাও ওকে এখানে পাঠাচ্ছি । ওকে বলেছি, পরিশ্রম করেই সেনায় চাকরি পাওয়া যায় । তাই ওকেও পরিশ্রম করে যেতে হবে ।”

শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিংই নয় । সেনায় চাকরিপ্রার্থী ছেলেমেয়েদের জন্য সাজ্জাদ আলি ও তাঁর তিন বন্ধু এক শিক্ষক নিয়োগ করেছেন । তার জন্য তাঁরা ওই শিক্ষককে প্রতি মাসে আট হাজার টাকা সাম্মানিক দেন । সেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অঙ্ক, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ট্রেনিং দেন । প্রতিদিন ফিজিক্যাল ট্রেনিং শেষে ছেলেমেয়েদের সেই শিক্ষকের কাছে পড়াশোনাও করতে হয় । যদিও সেই শিক্ষক ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়ালেই রেখেছেন । এবারই প্রথম তাঁদের প্রশিক্ষিত 20 জন ছেলেমেয়ে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর জওয়ান হওয়ার জন্য আবেদন দাখিল করেছেন ।

Last Updated : Aug 11, 2021, 7:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.