ETV Bharat / state

কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ, ধৃত স্থানীয় তৃণমূল নেতা

কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে ধৃত স্থানীয় তৃণমূল নেতা । মালদার রতুয়ার কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থাকাকালীন মিশন নির্মল বাংলা-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা তিনি তছরুপ করেন বলে অভিযোগ । যদিও ধৃত প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে ।

ধৃত সুকেশ যাদব
author img

By

Published : Jun 19, 2019, 5:35 PM IST

Updated : Jun 19, 2019, 5:43 PM IST

মালদা 19 জুন : সরকারি প্রকল্পের টাকা তছরুপের অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান । মিশন নির্মল বাংলা-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের এক কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে রতুয়ার মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুকেশ যাদবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । 10 দিনের জেল হেপাজতের আর্জি জানিয়ে আজ ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় । যদিও ধৃত প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে ।

অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকাকালীন 2017 সালে নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্পের এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সুকেশ । অভিযোগ পেয়ে রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের তৎকালীন BDO অর্জুন পাল প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেন । তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে 2017 সালের 5 নভেম্বর সুকেশ যাদবের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন BDO । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয় । এরইমাঝে 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরপরই সুকেশ যাদব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন । কিন্তু দলবদল করেও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি সুকেশ । গতকাল গভীর রাতেই তাঁকে রতুয়া থানার পুলিশ মহানন্দটোলার শ্যামগোপটোলা গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে । জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের 406, 409, 420, 506 ও 120B ধারায় মামলা রুজু করেছে ।

আর খবর পড়ুন : তৃণমূলে সবাই কয়লা, হিরেদের BJP-তে নেওয়া হচ্ছে : কৈলাস

জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের BDO তদন্ত সাপেক্ষে 2017 সালের নভেম্বরে সুকেশ যাদবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । প্রায় 500 শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্পে প্রচুর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল সুকেশবাবুর বিরুদ্ধে । তবে মিশন নির্মল বাংলা নয়, আরও বেশকিছু প্রকল্পে সুকেশবাবুর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছিলেন BDO । তারই ভিত্তিতে গতকাল সুকেশবাবুকে গ্রেপ্তার করা হয় । "

আর খবর পড়ুন : তোলাবাজির টাকা ফেরত দিন, কর্মীদের নির্দেশ মমতার

মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, "গতকাল রাজ্যের দুই মন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করেন । সেই বৈঠকে সুকেশ যাদবের আর্থিক তছরুপের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় । বর্তমানে আমাকে দলের জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । জেলার দলীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ঠিক করেছি, যেভাবেই হোক, দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে হবে । যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । তারই জেরে সুকেশ যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তবে শুধু সুকেশ যাদবই নয়, দুর্নীতিতে জড়িত সবার বিরুদ্ধেই আমরা কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দল কোনওভাবেই ক্ষমা করবে না । "

ভিডিয়ো শুনুন মৌসম নুরের মন্তব্য

আরও খবর পড়ুন : মমতার থেকে বড় তোলাবাজ আর কেউ নন : সুজন

এদিকে আদালতে যাওয়ার পথে সুকেশ যাদব দাবি করেন, "কোনও প্রকল্প প্রধান একা করতে পারে না । কিন্তু এক্ষেত্রে রাজনীতি করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে । আমাদের অঞ্চলে সঠিকভাবেই কাজ হয়েছে । তা নিয়ে তদন্তও হয়েছিল ।" গতকালই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে করা বৈঠকে তোলাবাজির টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন । পাশাপাশি দুর্নীতি সঙ্গে দলীয় কর্মীরা যাতে না জড়ান সেই বার্তাও দেন ।

মালদা 19 জুন : সরকারি প্রকল্পের টাকা তছরুপের অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান । মিশন নির্মল বাংলা-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের এক কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে রতুয়ার মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুকেশ যাদবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । 10 দিনের জেল হেপাজতের আর্জি জানিয়ে আজ ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় । যদিও ধৃত প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে ।

অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকাকালীন 2017 সালে নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্পের এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সুকেশ । অভিযোগ পেয়ে রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের তৎকালীন BDO অর্জুন পাল প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেন । তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে 2017 সালের 5 নভেম্বর সুকেশ যাদবের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন BDO । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয় । এরইমাঝে 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরপরই সুকেশ যাদব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন । কিন্তু দলবদল করেও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি সুকেশ । গতকাল গভীর রাতেই তাঁকে রতুয়া থানার পুলিশ মহানন্দটোলার শ্যামগোপটোলা গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে । জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের 406, 409, 420, 506 ও 120B ধারায় মামলা রুজু করেছে ।

আর খবর পড়ুন : তৃণমূলে সবাই কয়লা, হিরেদের BJP-তে নেওয়া হচ্ছে : কৈলাস

জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের BDO তদন্ত সাপেক্ষে 2017 সালের নভেম্বরে সুকেশ যাদবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । প্রায় 500 শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্পে প্রচুর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল সুকেশবাবুর বিরুদ্ধে । তবে মিশন নির্মল বাংলা নয়, আরও বেশকিছু প্রকল্পে সুকেশবাবুর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছিলেন BDO । তারই ভিত্তিতে গতকাল সুকেশবাবুকে গ্রেপ্তার করা হয় । "

আর খবর পড়ুন : তোলাবাজির টাকা ফেরত দিন, কর্মীদের নির্দেশ মমতার

মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, "গতকাল রাজ্যের দুই মন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করেন । সেই বৈঠকে সুকেশ যাদবের আর্থিক তছরুপের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় । বর্তমানে আমাকে দলের জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । জেলার দলীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ঠিক করেছি, যেভাবেই হোক, দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে হবে । যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । তারই জেরে সুকেশ যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তবে শুধু সুকেশ যাদবই নয়, দুর্নীতিতে জড়িত সবার বিরুদ্ধেই আমরা কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দল কোনওভাবেই ক্ষমা করবে না । "

ভিডিয়ো শুনুন মৌসম নুরের মন্তব্য

আরও খবর পড়ুন : মমতার থেকে বড় তোলাবাজ আর কেউ নন : সুজন

এদিকে আদালতে যাওয়ার পথে সুকেশ যাদব দাবি করেন, "কোনও প্রকল্প প্রধান একা করতে পারে না । কিন্তু এক্ষেত্রে রাজনীতি করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে । আমাদের অঞ্চলে সঠিকভাবেই কাজ হয়েছে । তা নিয়ে তদন্তও হয়েছিল ।" গতকালই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে করা বৈঠকে তোলাবাজির টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন । পাশাপাশি দুর্নীতি সঙ্গে দলীয় কর্মীরা যাতে না জড়ান সেই বার্তাও দেন ।

Intro:মালদা, ১৯ জুন : মিশন নির্মল বাংলা সহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি টাকা তছরুপের দায়ে রতুয়ার মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের আবেদন জানিয়ে আজ ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে৷ যদিও ধৃতের দাবি, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে৷ গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে৷Body:         রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুকেশ যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১৭ সালে তিনি নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন৷ এই অভিযোগ পেয়ে রতুয়া ১ ব্লকের তৎকালীন বিডিও অর্জুন পাল প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেন৷ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর তিনি সুকেশ যাদবের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুকেশ যাদব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন৷ কিন্তু দলবদল করেও তিনি নিজেকে বাঁচাতে পারেননি৷ গতকাল গভীর রাতে রতুয়া থানার পুলিশ মহানন্দটোলার শ্যামগোপটোলা গ্রামের বাড়ি থেকে সুকেশবাবুকে গ্রেফতার করে৷ ১০ দিনের হেপাজতে চেয়ে আজ সুকেশবাবুকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ৷ জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের 406, 409, 420, 506 ও 120B ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷
         এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, "মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে রতুয়া ১-এর বিডিও তদন্ত সাপেক্ষে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সুকেশ যাদবের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ প্রায় ৫০০ শৌচাগার নির্মাণে প্রচুর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল সুকেশবাবুর বিরুদ্ধে৷ তবে শুধু মিশন নির্মল বাংলা নয়, আরও কিছু প্রকল্পে সুকেশবাবুর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছিলেন বিডিও৷ তারই ভিত্তিতে গতকাল সুকেশবাবুকে গ্রেফতার করা হয়৷ পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানিয়ে আজ তাঁকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে৷"
Conclusion:         যদিও আদালতে যাওয়ার পথে সুকেশবাবু দাবি করেন, "কোনও প্রকল্প প্রধান একা করতে পারে না৷ এর সঙ্গে পঞ্চায়েতের অন্যান্যরাও জড়িত থাকে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে আমাকে রাজনীতি করে ব্যক্তিগতভাবে ফাঁসানো হয়েছে৷ আমাদের অঞ্চলে সঠিকভাবেই কাজ হয়েছে৷ তদন্তেও তা প্রমাণিত হয়েছিল৷ আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার৷" অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর বলেন, "গতকাল রাজ্যের দুই মন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন৷ সেই বৈঠকে সুকেশ যাদবের সরকারি টাকা তছরুপের বিষয়টি উঠেছিল৷ তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল৷ বর্তমানে আমাকে দলের জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ অবজারভারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ঠিক করেছি, যেভাবেই হোক, দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে হবে৷ তার জন্য যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তারই জেরে সুকেশ যাদবকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তবে শুধু সুকেশ যাদবই নয়, দুর্নীতিতে জড়িত সবার বিরুদ্ধেই আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব৷"
Last Updated : Jun 19, 2019, 5:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.