ETV Bharat / state

Malda Teenage Boy Death: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল মালদার কিশোরের - ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু

ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল মালদার এক কিশোরের (Malda Teenage Boy Death) ৷ শোকস্তব্ধ পরিবারের সদস্যরা ৷ পাশে থাকার আশ্বাস প্রশাসনের ৷

Malda Teenage Boy Death in another state while returning from work
Malda Teenage Boy Death: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল মালদার কিশোরের
author img

By

Published : Sep 26, 2022, 4:45 PM IST

মালদা, 26 সেপ্টেম্বর: আটানব্বইয়ে গঙ্গা কেড়ে নিয়েছিল তাঁর ভিটেমাটি ৷ আর এবার পেটের খিদে কেড়ে নিল একমাত্র ছেলেকেও ! সন্তান হারিয়ে শোকে বিধ্বস্ত বাবা ৷ কী নিয়ে বেঁচে থাকবেন তিনি , জানেন না ৷ এই অসহনীয় অবস্থাতেও সেই প্রৌঢ় মুখোমুখি হলেন ইটিভি ভারতের ক্যামেরার ৷ ছেলে হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই কথা বললেন সাংবাদিকের সঙ্গে ৷

সন্তানহারা এই বাবার নাম তালামুন মোমিন ৷ তিনি মালদার (Malda) মানিকচকের কামালতিপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ গঙ্গার বাঁধের পাশেই তাঁদের ভাঙাচোরা ঘর ৷ তালামুন গামছা ফেরি করেন ৷ তাতে সামান্য যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার ঠিকমতো চলে না ৷ সেই কারণেই মাধ্যমিক পাশ করার পর মাসখানেক আগে একমাত্র ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে ৷ এই প্রথমবার ৷ পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়া তো দূরের কথা, উপরন্তু দুর্ঘটনায় সেই একমাত্র ছেলেই ছেড়ে চলে গেল তাঁদের (Malda Teenage Boy Death) ৷ এখন শুধুই হা-হুতাশ করছেন তালামুন ৷ ভাবছেন, কেন পাঠালেন ছেলেটাকে কাজের খোঁজে !

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকের

অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না ৷ একসময় তাঁর বড় বাড়ি ছিল ৷ ছিল চাষের জমি ৷ তখন সংসারে অভাব ছিল না ৷ কিন্তু, গঙ্গার ভাঙন বাড়ি-জমি সব কেড়ে নিয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফেও সেই সময় কোনও সাহায্য মেলেনি ৷ তা যদি পাওয়া যেত, তাহলে নাবালক ছেলেটাকে এভাবে কাজের খোঁজে গিয়ে প্রাণ হারাতে হত না ৷

ছেলে হারিয়ে বিধ্বস্ত পরিবার ৷

কামালতিপুর গ্রামটি মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আয়ুব আলি জানালেন, "মাসখানেক আগে গাঁয়ের আরও কয়েকজনের সঙ্গে 17 বছরের ভিকন মোমিনও ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে যায় ৷ বাড়ির একমাত্র ছেলে ছিল সে ৷ পেটের তাগিদেই ভিনরাজ্যে গিয়েছিল ৷ সেখানে রেল লাইনের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজ করছিল ৷ গত শনিবার রাতে কাজ সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা যায় ছেলেটি ৷ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন ৷ সবেমাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছিল ভিকন ৷ সরকারের কাছে আমার আর্জি, এই পরিবারটিকে যথাসাধ্য সাহায্য করা হোক ৷ এঁদের ভিটেমাটি গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে ৷ এখন পঞ্চায়েতে কোনও কাজ নেই ৷ 100 দিনের কাজও এক বছর ধরে বন্ধ ৷ অনেকে সেই কাজ করে এখনও মজুরি পাননি ৷ এখানে কোনও কলকারখানা নেই ৷ তাই বাধ্য হয়েই এখানকার মানুষকে বাইরে কাজে যেতে হয় ৷"

ছেলে হারানো তালামুন বললেন, "আটানব্বইয়ে গঙ্গার ভাঙনে ঘর পড়ে যাওয়ার পর বাঁধের ধারে উঠে আসি আমরা ৷ ভিকন আমার একমাত্র ছেলে ৷ এবারই প্রথম বাইরে কাজ করতে গিয়েছিল সে ৷ গত শনিবার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে আমার ছেলে ৷ এমনটা যে হতে পারে, কখনও ভাবিনি ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ বাইরে খাটলে বেশি মজুরি পাওয়া যায় ৷ তাই ছেলেকে বাইরে পাঠিয়েছিলাম ৷ বিডিও এসেছিলেন ৷ ফটো তুলে নিয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁর কাছে সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি ৷"

মালদা, 26 সেপ্টেম্বর: আটানব্বইয়ে গঙ্গা কেড়ে নিয়েছিল তাঁর ভিটেমাটি ৷ আর এবার পেটের খিদে কেড়ে নিল একমাত্র ছেলেকেও ! সন্তান হারিয়ে শোকে বিধ্বস্ত বাবা ৷ কী নিয়ে বেঁচে থাকবেন তিনি , জানেন না ৷ এই অসহনীয় অবস্থাতেও সেই প্রৌঢ় মুখোমুখি হলেন ইটিভি ভারতের ক্যামেরার ৷ ছেলে হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই কথা বললেন সাংবাদিকের সঙ্গে ৷

সন্তানহারা এই বাবার নাম তালামুন মোমিন ৷ তিনি মালদার (Malda) মানিকচকের কামালতিপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ গঙ্গার বাঁধের পাশেই তাঁদের ভাঙাচোরা ঘর ৷ তালামুন গামছা ফেরি করেন ৷ তাতে সামান্য যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার ঠিকমতো চলে না ৷ সেই কারণেই মাধ্যমিক পাশ করার পর মাসখানেক আগে একমাত্র ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে ৷ এই প্রথমবার ৷ পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়া তো দূরের কথা, উপরন্তু দুর্ঘটনায় সেই একমাত্র ছেলেই ছেড়ে চলে গেল তাঁদের (Malda Teenage Boy Death) ৷ এখন শুধুই হা-হুতাশ করছেন তালামুন ৷ ভাবছেন, কেন পাঠালেন ছেলেটাকে কাজের খোঁজে !

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকের

অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না ৷ একসময় তাঁর বড় বাড়ি ছিল ৷ ছিল চাষের জমি ৷ তখন সংসারে অভাব ছিল না ৷ কিন্তু, গঙ্গার ভাঙন বাড়ি-জমি সব কেড়ে নিয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফেও সেই সময় কোনও সাহায্য মেলেনি ৷ তা যদি পাওয়া যেত, তাহলে নাবালক ছেলেটাকে এভাবে কাজের খোঁজে গিয়ে প্রাণ হারাতে হত না ৷

ছেলে হারিয়ে বিধ্বস্ত পরিবার ৷

কামালতিপুর গ্রামটি মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আয়ুব আলি জানালেন, "মাসখানেক আগে গাঁয়ের আরও কয়েকজনের সঙ্গে 17 বছরের ভিকন মোমিনও ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে যায় ৷ বাড়ির একমাত্র ছেলে ছিল সে ৷ পেটের তাগিদেই ভিনরাজ্যে গিয়েছিল ৷ সেখানে রেল লাইনের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজ করছিল ৷ গত শনিবার রাতে কাজ সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা যায় ছেলেটি ৷ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন ৷ সবেমাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছিল ভিকন ৷ সরকারের কাছে আমার আর্জি, এই পরিবারটিকে যথাসাধ্য সাহায্য করা হোক ৷ এঁদের ভিটেমাটি গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে ৷ এখন পঞ্চায়েতে কোনও কাজ নেই ৷ 100 দিনের কাজও এক বছর ধরে বন্ধ ৷ অনেকে সেই কাজ করে এখনও মজুরি পাননি ৷ এখানে কোনও কলকারখানা নেই ৷ তাই বাধ্য হয়েই এখানকার মানুষকে বাইরে কাজে যেতে হয় ৷"

ছেলে হারানো তালামুন বললেন, "আটানব্বইয়ে গঙ্গার ভাঙনে ঘর পড়ে যাওয়ার পর বাঁধের ধারে উঠে আসি আমরা ৷ ভিকন আমার একমাত্র ছেলে ৷ এবারই প্রথম বাইরে কাজ করতে গিয়েছিল সে ৷ গত শনিবার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে আমার ছেলে ৷ এমনটা যে হতে পারে, কখনও ভাবিনি ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ বাইরে খাটলে বেশি মজুরি পাওয়া যায় ৷ তাই ছেলেকে বাইরে পাঠিয়েছিলাম ৷ বিডিও এসেছিলেন ৷ ফটো তুলে নিয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁর কাছে সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.