মালদা, 9 জানুয়ারি: শুধু আর ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, জাল নোটের কারবার ধীরে ধীরে পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে ৷ তার প্রমাণ মিলতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলা পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের কপালে ৷ এমনকী এই কারবারে জড়িয়ে পড়ছেন বাড়ির বয়স্ক মহিলাও ৷ পুলিশের একাংশের বক্তব্য, এই কারবারে গোটা পরিবার জড়িয়ে গেলে সমস্যার শিকড় আরও গভীরে যাবে ৷ যদিও এই সমস্যার মোকাবিলায় ইতিমধ্যে নীল নকশা তৈরি করতে শুরু করেছেন জেলা পুলিশের কর্তারা ৷
প্রবল শীত আর ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সোমবার ভোরে এদেশে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিল দুই কারবারি ৷ তাদের নাম মহম্মদ শাহজাহান শেখ ও শামিম আখতার ৷ 34 বছরের শাহজাহান এবং 22 বছর বয়সি শামিম দুই ভাই ৷ বাড়ি কালিয়াচক থানার বড় সুজাপুর গ্রামে ৷ তাদের হেফাজত থেকে অবশ্য খুব বেশি জাল নোট উদ্ধার হয়নি ৷ মাত্র 51 হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে ৷ প্রতিটি 500 টাকার নোট ছিল ৷ কিন্তু তাদের জেরা করতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে পুলিশ ৷ দুই ভাই জানায়, এই কারবারে জড়িত তাদের মা’ও ৷ গ্রেফতার করা হয় 58 বছর বয়সি মা জালো বিবিকে ৷ 14 দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়ে গতকালই ইংরেজবাজার থানার পুলিশ তিনজনকে জেলা আদালতে পেশ করে ৷ ধৃতদের 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য দায়রা বিচারক ৷
নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরেই দফায় দফায় ধৃতদের জেরা করেন পুলিশকর্তারা ৷ জানা যায়, শুধু এই পরিবারই নয়, আরও কয়েকটি পরিবার জাল নোট কারবারের সঙ্গে জড়িত ৷ ইংরেজবাজারের মিলকি এবং বৈষ্ণবনগরের খাস চাঁদপুর গ্রামে এমন দু'টি পরিবারের সন্ধান দিয়েছে ধৃতরা ৷ এই দু'টি পরিবারের সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷
পুলিশের অনুমান, একাধিক পরিবার এই অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে ৷ যত তাড়াতাড়ি এই পরিবারগুলির সন্ধান পাওয়া যায়, দেশের অর্থনীতির পক্ষে ততই মঙ্গল ৷ পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, "জাল নোট-সহ ধৃত তিন কারবারিকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে ৷ তাদের কাছ থেকে এই অবৈধ কারবার সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে সেসব এখনই প্রকাশ করা যাবে না ৷ জেলা থেকে এই অবৈধ কারবার সমূলে উচ্ছেদ করতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ ৷"
আরও পড়ুন: