মালদা, 20 জুন : মৌসুমি বায়ুর হত ধরে বর্ষা প্রবেশ করেছে রাজ্যে ৷ আর এতেই ফুলেফঁপে উঠতে শুরু করেছে বহু নদী ৷ মালদার ফুলহার নদীতেও তার অন্যথা ঘটেনি ৷ আর সে কারণেই চিন্তায় নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করা মানুষজন (Malda DM Visit Fulahar River Dam at the beginning of the monsoon) ৷ এবারও নদীপাড় কাটবে না তো? নদীর জলের চাপ আরও বাড়লে বাঁধ অক্ষত থাকবে তো? এই সকল প্রশ্ন জেলা প্রশাসনের একাংশেরও ।
তাই ঘরে বসে কিংবা আধিকারিকদের কথা শুনে নয়, সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ফুলহারের বাঁধ পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েছেন নয়া জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। সঙ্গে ছিলেন জেলা সেচ দফতর-সহ বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা। জেলাশাসকের বাঁধ পরিদর্শনের খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন মালতিপুরের বিধায়কও।
দায়িত্ব নিয়েই নতুন জেলাশাসক জানতে পেরেছিলেন, মালদায় নদী ভাঙন বড় সমস্যা। গঙ্গা আর ফুলহারের দাপটে প্রায় প্রতি বছরই বাড়িঘর-সহ জমি কিংবা আমের বাগান হারান অনেক মানুষ। ফুলহারের ভাঙনে গতবছরই নদীবাঁধের বেশ কিছুটা অংশ কেটে যায়। বন্যা আটকাতে তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামতির কাজও শুরু করে জেলা সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাংকমেন্ট ডিভিশন।
সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল এলাকায়। চিন্তিত ছিলেন ভাঙনপ্রবণ এলাকার দুই বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও আবদুর রহিম বক্সিও। তাই রবিবার বিকেলে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের সূর্যাপুরে ফুলহরের বাঁধ পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। পরিদর্শন শেষে বন্যা ও ভাঙন নিয়ে তিনি বিডিও দফতরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন।
আরও পড়ুন : বৃষ্টির জেরে উড়ে গেল বালাসনের ডাইভারসান সেতু
জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, "সূর্যাপুর ও সংলগ্ন এলাকায় আগেও ফুলহারের ভাঙন হয়েছে। ভাঙন প্রতিহত করতে এবার আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা মূলত সূর্যাপুর এলাকাই পরিদর্শন করেছি। প্রশাসনের পুরো টিম সঙ্গে ছিল। একজন বিধায়ক, আরেকজন প্রতিনিধিও ছিলেন। পরিদর্শনের পর একটি পর্যালোচনা মিটিং করা হয়েছে। ভাঙন ও বন্যা রোধে আগাম কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিংবা দুর্যোগ এলে তার পরবর্তী সময়ে কেমন পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে।"