ETV Bharat / state

মালদার কালিয়াচক ও সুজাপুর মিনি পাকিস্তান, ভারতের আইন চলে না : সায়ন্তন - মালদার খবর

মালদায় এসে দলীয় বৈঠক শেষে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন,"আব্বাস সিদ্দিকি কিংবা আসাদুদ্দিন ওয়েইসিদের দিয়ে মুসলিম ভোট সংগঠিত করে তৃণমূলের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা । এরা সবাই বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোটে শামিল হবে । মালদার কালিয়াচক ও সুজাপুরের কিছু অংশ মিনি পাকিস্তান কিংবা পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে । এই জায়গাগুলিতে ভারতের আইন চলে না ।"

statement of Sayantan basu regarding upcoming assembly election
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে সায়ন্তনের বক্তব্য
author img

By

Published : Jan 28, 2021, 10:14 AM IST

মালদা, 27 জানুয়ারি : সুজাপুর, কালিয়াচকের মতো জায়গা মিনি পাকিস্তান কিংবা পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে । সেখানে ভারতের আইন কাজ করে না । এর পরিবর্তন প্রয়োজন । মালদা এসে এই মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু ।

সায়ন্তনবাবু বলেন, "আব্বাস সিদ্দিকি কিংবা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল এই রাজ্যে ভোটে প্রার্থী দিলেও তার বিশেষ কিছু প্রভাব পড়বে না । তাঁদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমঝোতা হয়ে যাবে । আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এটা তৃণমূলের গেম প্ল্যান । এদের দিয়ে মুসলিম ভোট সংগঠিত করে তৃণমূলের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা । মমতা এটাই চান । এখন নিজেদের মধ্যে হয়তো কিছু সমস্যা হয়েছে । তাই একে অপরকে ব্ল্যাকমেইল করছে । এরা সবাই বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোটে শামিল হবে । আব্বাস সিদ্দিকি বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে কথা চলছে । তাই এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার । ভাই-বোনের সম্পর্কের উপর সব নির্ভর করছে । আমরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির করি না । আমরা জাতীয়তাবাদী মানুষ । যাঁরা বাংলায় গণতন্ত্র রক্ষা করতে চান, কাটমানির দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দিতে চান, যাঁরা সোনার বাংলা গড়তে চান, পশ্চিমবঙ্গকে গুজরাত কিংবা কর্নাটকের মতো উন্নত ও আধুনিক রাজ্যে পরিণত করতে চান, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে আছেন ।"

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে সায়ন্তনের বক্তব্য

গতকালের দিল্লির কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে সায়ন্তনবাবু বলেন,"গতকাল দিল্লিতে যা ঘটেছে তাতে আন্দোলনকারীদের কোথাও কৃষক বলে মনে হয়নি । তাঁদের কারও 500 একর, কারও 2000 একর জমি রয়েছে। লালকেল্লা থেকে ভারতের পতাকা নামিয়ে অন্য একটি পতাকা লাগানোর চেষ্টা কৃষকরা করতে পারেন না । আগামী পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই কৃষক আন্দোলনের ফল আমাদের পক্ষেই যাবে । এই আন্দোলনকারীরা কৃষক নন । কৃষকের বেশধারী ক্যাডার । যদি সত্যিই কৃষক আন্দোলন হয়, তবে দেশের সরকার ক্ষমতাচ্যূত হয়ে যেতে পারে । অথচ এক্ষেত্রে ভারতবর্ষের কোথাও কোনও প্রভাব নেই । শুধু কিছু সংবাদমাধ্যম লাফালাফি করছে । আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুসলমানদের ভোট পাওয়ার জন্য আমরা কিছু করছি না । ভারতবর্ষ ও বাংলার মানুষের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছি ।"

আরও পড়ুন :সাধারণতন্ত্র দিবসে বাংলায় নাশকতার ছক জঙ্গিদের! জারি হাই অ্যালার্ট

তিনি বলেন,"কালিয়াচক ও সুজাপুরের কিছু অংশ মিনি পাকিস্তান কিংবা পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে । এই জায়গাগুলিতে ভারতের আইন চলে না । যাঁরা এখানে ভারতীয় মুসলমান রয়েছেন তাঁদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই । সমস্যা পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানদের নিয়ে । 1947 সালের পর আমাদের রাজ্যে মুসলমানের সংখ্যা ছিল 12 থেকে 14 শতাংশ । এখন সেটা 30 শতাংশে পরিণত হয়েছে । আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে । 22 লাখ নতুন ভোটারের নাম এই তালিকায় তোলা হয়েছে । এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম ভোটার । আরও তিন থেকে চার লাখ ভুয়ো ভোটার রয়েছে । গত লোকসভা নির্বাচনের পর যে জেলাগুলিতে সবচেয়ে বেশি নতুন ভোটার সংযোজিত হয়েছে তার শীর্ষে রয়েছে মালদা । এরপরই রয়েছে মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা ও কোচবিহার জেলা । এই জেলাগুলি সবই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ।"

মালদা, 27 জানুয়ারি : সুজাপুর, কালিয়াচকের মতো জায়গা মিনি পাকিস্তান কিংবা পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে । সেখানে ভারতের আইন কাজ করে না । এর পরিবর্তন প্রয়োজন । মালদা এসে এই মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু ।

সায়ন্তনবাবু বলেন, "আব্বাস সিদ্দিকি কিংবা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল এই রাজ্যে ভোটে প্রার্থী দিলেও তার বিশেষ কিছু প্রভাব পড়বে না । তাঁদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমঝোতা হয়ে যাবে । আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এটা তৃণমূলের গেম প্ল্যান । এদের দিয়ে মুসলিম ভোট সংগঠিত করে তৃণমূলের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা । মমতা এটাই চান । এখন নিজেদের মধ্যে হয়তো কিছু সমস্যা হয়েছে । তাই একে অপরকে ব্ল্যাকমেইল করছে । এরা সবাই বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোটে শামিল হবে । আব্বাস সিদ্দিকি বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে কথা চলছে । তাই এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার । ভাই-বোনের সম্পর্কের উপর সব নির্ভর করছে । আমরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির করি না । আমরা জাতীয়তাবাদী মানুষ । যাঁরা বাংলায় গণতন্ত্র রক্ষা করতে চান, কাটমানির দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দিতে চান, যাঁরা সোনার বাংলা গড়তে চান, পশ্চিমবঙ্গকে গুজরাত কিংবা কর্নাটকের মতো উন্নত ও আধুনিক রাজ্যে পরিণত করতে চান, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে আছেন ।"

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে সায়ন্তনের বক্তব্য

গতকালের দিল্লির কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে সায়ন্তনবাবু বলেন,"গতকাল দিল্লিতে যা ঘটেছে তাতে আন্দোলনকারীদের কোথাও কৃষক বলে মনে হয়নি । তাঁদের কারও 500 একর, কারও 2000 একর জমি রয়েছে। লালকেল্লা থেকে ভারতের পতাকা নামিয়ে অন্য একটি পতাকা লাগানোর চেষ্টা কৃষকরা করতে পারেন না । আগামী পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই কৃষক আন্দোলনের ফল আমাদের পক্ষেই যাবে । এই আন্দোলনকারীরা কৃষক নন । কৃষকের বেশধারী ক্যাডার । যদি সত্যিই কৃষক আন্দোলন হয়, তবে দেশের সরকার ক্ষমতাচ্যূত হয়ে যেতে পারে । অথচ এক্ষেত্রে ভারতবর্ষের কোথাও কোনও প্রভাব নেই । শুধু কিছু সংবাদমাধ্যম লাফালাফি করছে । আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুসলমানদের ভোট পাওয়ার জন্য আমরা কিছু করছি না । ভারতবর্ষ ও বাংলার মানুষের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছি ।"

আরও পড়ুন :সাধারণতন্ত্র দিবসে বাংলায় নাশকতার ছক জঙ্গিদের! জারি হাই অ্যালার্ট

তিনি বলেন,"কালিয়াচক ও সুজাপুরের কিছু অংশ মিনি পাকিস্তান কিংবা পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে । এই জায়গাগুলিতে ভারতের আইন চলে না । যাঁরা এখানে ভারতীয় মুসলমান রয়েছেন তাঁদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই । সমস্যা পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানদের নিয়ে । 1947 সালের পর আমাদের রাজ্যে মুসলমানের সংখ্যা ছিল 12 থেকে 14 শতাংশ । এখন সেটা 30 শতাংশে পরিণত হয়েছে । আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে । 22 লাখ নতুন ভোটারের নাম এই তালিকায় তোলা হয়েছে । এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম ভোটার । আরও তিন থেকে চার লাখ ভুয়ো ভোটার রয়েছে । গত লোকসভা নির্বাচনের পর যে জেলাগুলিতে সবচেয়ে বেশি নতুন ভোটার সংযোজিত হয়েছে তার শীর্ষে রয়েছে মালদা । এরপরই রয়েছে মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা ও কোচবিহার জেলা । এই জেলাগুলি সবই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.