মালদা, 27 জানুয়ারি : সুজাপুর, কালিয়াচকের মতো জায়গা মিনি পাকিস্তান কিংবা পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে । সেখানে ভারতের আইন কাজ করে না । এর পরিবর্তন প্রয়োজন । মালদা এসে এই মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু ।
সায়ন্তনবাবু বলেন, "আব্বাস সিদ্দিকি কিংবা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল এই রাজ্যে ভোটে প্রার্থী দিলেও তার বিশেষ কিছু প্রভাব পড়বে না । তাঁদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমঝোতা হয়ে যাবে । আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এটা তৃণমূলের গেম প্ল্যান । এদের দিয়ে মুসলিম ভোট সংগঠিত করে তৃণমূলের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা । মমতা এটাই চান । এখন নিজেদের মধ্যে হয়তো কিছু সমস্যা হয়েছে । তাই একে অপরকে ব্ল্যাকমেইল করছে । এরা সবাই বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোটে শামিল হবে । আব্বাস সিদ্দিকি বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে কথা চলছে । তাই এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার । ভাই-বোনের সম্পর্কের উপর সব নির্ভর করছে । আমরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির করি না । আমরা জাতীয়তাবাদী মানুষ । যাঁরা বাংলায় গণতন্ত্র রক্ষা করতে চান, কাটমানির দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দিতে চান, যাঁরা সোনার বাংলা গড়তে চান, পশ্চিমবঙ্গকে গুজরাত কিংবা কর্নাটকের মতো উন্নত ও আধুনিক রাজ্যে পরিণত করতে চান, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে আছেন ।"
গতকালের দিল্লির কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে সায়ন্তনবাবু বলেন,"গতকাল দিল্লিতে যা ঘটেছে তাতে আন্দোলনকারীদের কোথাও কৃষক বলে মনে হয়নি । তাঁদের কারও 500 একর, কারও 2000 একর জমি রয়েছে। লালকেল্লা থেকে ভারতের পতাকা নামিয়ে অন্য একটি পতাকা লাগানোর চেষ্টা কৃষকরা করতে পারেন না । আগামী পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই কৃষক আন্দোলনের ফল আমাদের পক্ষেই যাবে । এই আন্দোলনকারীরা কৃষক নন । কৃষকের বেশধারী ক্যাডার । যদি সত্যিই কৃষক আন্দোলন হয়, তবে দেশের সরকার ক্ষমতাচ্যূত হয়ে যেতে পারে । অথচ এক্ষেত্রে ভারতবর্ষের কোথাও কোনও প্রভাব নেই । শুধু কিছু সংবাদমাধ্যম লাফালাফি করছে । আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুসলমানদের ভোট পাওয়ার জন্য আমরা কিছু করছি না । ভারতবর্ষ ও বাংলার মানুষের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছি ।"
আরও পড়ুন :সাধারণতন্ত্র দিবসে বাংলায় নাশকতার ছক জঙ্গিদের! জারি হাই অ্যালার্ট
তিনি বলেন,"কালিয়াচক ও সুজাপুরের কিছু অংশ মিনি পাকিস্তান কিংবা পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে । এই জায়গাগুলিতে ভারতের আইন চলে না । যাঁরা এখানে ভারতীয় মুসলমান রয়েছেন তাঁদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই । সমস্যা পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানদের নিয়ে । 1947 সালের পর আমাদের রাজ্যে মুসলমানের সংখ্যা ছিল 12 থেকে 14 শতাংশ । এখন সেটা 30 শতাংশে পরিণত হয়েছে । আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে । 22 লাখ নতুন ভোটারের নাম এই তালিকায় তোলা হয়েছে । এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম ভোটার । আরও তিন থেকে চার লাখ ভুয়ো ভোটার রয়েছে । গত লোকসভা নির্বাচনের পর যে জেলাগুলিতে সবচেয়ে বেশি নতুন ভোটার সংযোজিত হয়েছে তার শীর্ষে রয়েছে মালদা । এরপরই রয়েছে মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ 24 পরগনা ও কোচবিহার জেলা । এই জেলাগুলি সবই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ।"