মালদা, 9 মার্চ : 100 দিনের কাজের প্রকল্পে বিল পাস হচ্ছে না ৷ সেই অভিযোগে এক পঞ্চায়েত আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে (Government Officer Beaten by Son of Panchayet Member in Malda) ৷ তিনি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে ঠিকাদারের কাজ করেন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ মারধরের ঘটনায় আহত আধিকারিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ এই ঘটনায় মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷ সরকারি আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা ৷
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ 100 দিনের কাজের প্রকল্পের বিভিন্ন বিল আটকে রেখেছে ৷ এই পঞ্চায়েতেই ঠিকাদারি করেন তৃণমূলের সদস্য হাসিনা বিবির ছেলে শেখ হাসিদুল ৷ তাঁরও বিল আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ জানা গিয়েছে, এ নিয়ে আজ পঞ্চায়েতের গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিক পার্থ দেব উপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন হাসিদুল ৷ অভিযোগ তর্কাতর্কির মাঝেই তিনি নাকি গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিককে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেন (Panchayet Officer Beaten in Malda) ৷ এর পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ পার্থবাবুকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Madhyamik Examination 2022: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সাহায্যে বুথের আয়োজন মালদা জেলা পুলিশের
হাসপাতালে ওই চিকিৎসাধীন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কথা বলতে চাননি ৷ এমনকি এ নিয়ে সেভাবে মুখ খোলেননি পঞ্চায়েত প্রধান এবং হরিশচন্দ্রপুরের জয়েন্ট বিডিও ৷ পঞ্চায়েত প্রধান জয়নব নেশার বক্তব্য, “তেমন কিছু গণ্ডগোল হয়নি ৷ বাইরের লোক এসে ঝামেলা করেছে ৷ মেম্বারের ছেলে এই ঘটনায় জড়িত নেই ৷” জয়েন্ট বিডিও বিপ্লব ঘোষ জানান, “গ্রাম পঞ্চায়েতের এক আধিকারিকের উপর হামলা হয়েছে ৷ তাঁকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলাম ৷ তাঁর উপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা বলতে পারব না। সেটা তিনিই বলতে পারবেন ৷”
আরও পড়ুন : Malda fire: মালদার ফলবাজারে বিধ্বংসী আগুন, কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা
মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত সচিব মহম্মদ আনিসুর রহমানও এ নিয়ে সাবধানী ৷ তিনি বলেন, “আমি সেই সময় উপরে ছিলাম ৷ গোলমালের শব্দ পেয়ে নিচে যাই ৷ শুনলাম, 100 দিনের কাজে মাস্টার রোল নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছে ৷ এ নিয়ে কথা চালাচালি হয়েছে ৷ কোনও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি ৷” তবে, এই ঘটনা নিয়ে হাসিনা বিবি কিংবা তাঁর ছেলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তাঁরা দু’জনেই নিজেদের ফোন বন্ধ করে রেখেছেন ৷
এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি ৷ দলের হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কো-কনভেনর দীপক ঋষি বলেন, “এতদিন মানুষ মার খাচ্ছিল ৷ আমাদের কর্মীরা মার খাচ্ছিল ৷ এ বার সরকারি আধিকারিকরাও মার খাচ্ছেন ৷ বাংলার মানুষ তৃণমূলকে আর ক্ষমতায় রাখবেন না ৷’’