মালদা, 4 জুলাই: কথা ছিল, ভোট গ্রহণের তিনদিন আগে মালদা শহর থেকে সামান্য দূরে সুস্থানি মোড়ে নির্বাচনী জনসভা করবেন ফিরহাদ হাকিম ৷ সেইমতো প্রস্তুতিও নিয়েছিল তৃণমূল জেলা কমিটি ৷ কিন্তু হঠাৎ করেই সেই সভা সরিয়ে নিয়ে আসা হয় শহরের আরও কাছে ৷ 12 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পাঠানটুলিতে ৷ কথা ছিল, বেলা দু'টোয় সেখানে সভা শুরু করবেন ফিরহাদ ৷ কিন্তু সভায় মেরে কেটে শ'তিনেক মানুষ ৷ সবাই দলের কর্মী ৷ সাধারণ মানুষের দেখা নেই ৷ ফলে সভা শুরু হতে দেরি হতে থাকে ৷ অবশেষে চারটে নাগাদ সেখানে উপস্থিত হন ববি ৷ তিনি আসতেই শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি ৷ মিনিট দু'য়েকের মধ্যে সভাস্থল ফাঁকা ৷ অগত্যা মিনিট পাঁচেক বক্তব্য রেখেই থেমে যান তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতা ৷
পাঁচ মিনিটের বক্তব্যে ফিরহাদ বলেন, "তৃণমূল আছে বলেই বাংলা সুস্থ আছে ৷ আজ যদি পুরো রাজত্ব বিজেপির হত, তবে এটা যোগীর রাজ্যে পরিণত হত ৷ তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন মুখ্যমন্ত্রী আছেন, বাংলার মানুষ এবং বাংলা সুরক্ষিত আছে ৷ এখন আবার দেখছি, কিছু কংগ্রেসের ঝান্ডা উড়ছে ৷ কেন কংগ্রেসের পতাকা উড়ছে ? একুশের নির্বাচনে মালদার সব মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিল ৷ সেটা দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে ৷ তাই ওরা এখন তৃণমূলের ভোট ভাগ করতে চায় ৷ সংখ্যালঘু, তফশিলি ভোট ভাগ করতে চায় ৷ সেই ভোট ভাগ করতে এখন কংগ্রেস আর সিপিএমকে দালাল হিসাবে চিহ্নিত করেছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "আজ সেই সিপিএমের হাত ধরে কংগ্রেস বলছে, আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চল ৷ এটা ঠিক, কিছু স্থানীয় সমস্যা রয়েছে ৷ সেসব আমাদের নেতৃত্ব দেখবে ৷ সমাধানও করবে ৷" বক্তব্যের পর এদিনের সভামঞ্চে ফিরহাদের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের 45 নম্বর আসনের সিপিএম প্রার্থী শিল্পী রায় ৷ এরপরেই রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের পীরগঞ্জে নির্বাচনি সভার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ফিরহাদ ৷
আরও পড়ুন: 'ধনকড়ের মতো ঘুরে ফিরে উপরাষ্ট্রপতি হয়ে যাবেন', রাজ্য়পালকে কটাক্ষ মদনের