মালদা, 28 জুলাই: আমের জেলা মালদা। সেই জেলায় বিকল্প চাষ হিসাবে এবার বিদেশি ফল উৎপাদনের দিকে জোর দিয়েছে জেলা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর (Malda Dragon Fruit)। তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ড্রাগন ফল । ইতিমধ্যে এই ফলের চাষ করে ভালো লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন কৃষকরা । ধীরে ধীরে চাষের পরিধিও বাড়ছে । যা নিয়ে উৎফুল্ল সংশ্লিষ্ট দফতর ।
কয়েক বছর আগেও মালদার মানুষ ড্রাগন ফলের নাম জানতেন না । কিন্তু এখন জেলায় এই ফল উৎপাদনের সৌজন্যে সবাই এই ফলের নাম জানেন । এই ফলের কার্যকারিতাও জানেন বেশিরভাগ মানুষ । বিশেষত, বর্তমানে মানুষ যেসব লাইফ স্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নিরসনে এই ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য । তাই এখন বাজারে এই ফল বিকোচ্ছে কমবেশি 100 টাকা কিলো দরে ।
আরও পড়ুন: শস্যবীমার আওতায় এনে চাষের হার বাড়াতে উদ্যোগ মালদা জেলা প্রশাসনের
জেলা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক বলেন, "বর্তমান সময়ে মানুষ ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, হাঁটু ব্যথা, চোখের সমস্যার মতো লাইফ স্টাইল ডিজিজে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন । এসব অসুখকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । আর ড্রাগন ফলে এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর মাত্রায় রয়েছে । তাই এই ফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে ।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা কয়েক বছর ধরে বামনগোলা, হবিবপুর, গাজোল ও চাঁচল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় অল্পবিস্তর জমিতে এই ফলের চাষ শুরু করেছিলাম । এই চাষে লাভ ভালো হওয়ায় এখন চাষিরা নিজেরাই ড্রাগন ফলের চাষের পরিধি বাড়াচ্ছেন। এ'বছর আমরা বেশ কিছু চাষিকে এই ফল চাষ করার পদ্ধতি শিখিয়েছি । জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই ফল গাছ থেকে পাড়ার উপযোগী হয়। তবে চারা রোপণের পর থেকে গাছে ফল আসতে অন্তত এক বছর সময় লাগে । এই চাষ করতে হলে প্রতিটি গাছের জন্য একটি করে সিমেন্টের পোল লাগবে। আর লাগবে গাড়ির টায়ার । যাকে অবলম্বন করে ড্রাগন ফলের গাছ বৃদ্ধি পাবে । আমরা আশাবাদী, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মালদা জেলায় ব্যাপক হারে ড্রাগন ফলের উৎপাদন হবে ।"