মালদা, 10 অগস্ট : বেকার যুবকদের হাতিয়ার করে কারবার চালাচ্ছে চোরাকারবারিরা । সামান্য কিছু টাকার আশায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেই কাজ করছে যুবকরা । সীমান্তে চোরাকারবার করতে গিয়ে ধৃত যুবকের বয়ানে এমনই তথ্য হাতে এসেছে বিএসএফের (BSF) ।
বিএসএফের 159 নম্বর ব্যাটেলিয়নের (159 Battalion BSF) কর্তাদের কাছে সীমান্তে চোরা কারবারের খবর ছিল । তার ভিত্তিতে কর্তব্যরত জওয়ানদের সতর্ক করা ছিল । তবে বিএসএফকে ফাঁকি দিতে রাতের অন্ধকারের বদলে দুপুরের সময় বেছে নিয়েছিল কারবারিরা । গতকাল দুপুর দুটো নাগাদ পান্নাপুর বিওপিতে (Pannapur BOP) কর্তব্যরত জওয়ানরা দুই যুবককে কাঁটাতারের দিকে এগোতে দেখে । জওয়ানদের আসতে দেখে পালানোর চেষ্টা করলেও জওয়ানরা তাদের ধরে ফেলে ৷ তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় 2 কেজি গাঁজা ।
বিএসএফের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ধৃত দুই যুবকের নাম হীরা মোহন (22) ও বিশাল মণ্ডল (18) । ধৃতরা হবিবপুরের চরণতল এলাকার বাসিন্দা । জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, কার্তিক মণ্ডল নামে এক কারবারি তাদের গাঁজা ভর্তি ব্যাগ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি কারবারি নীহার আলির হাতে তুলে দিতে বলেছিল । এই কাজের জন্য তাদের 2 হাজার টাকা দেওয়া হত । উদ্ধার হওয়া গাঁজা ও ধৃত দুই যুবককে হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন : fishermen detained : জলসীমা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশি নৌবাহিনীর হাতে 14 ভারতীয় মৎস্যজীবী আটক
159 নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডিং অফিসার হর্ষনন্দন যোশী জানান, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবার রোখা বিএসএফের কর্তব্য । বিএসএফের জওয়ানরা সেই দায়িত্ব পালন করছেন । সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের কড়া প্রহরার জন্য চোরাকারবারিরা বেকার যুবকদের নিশানা করছে । টাকার প্রলোভন দেখিয়ে যুবকদের চোরাকারবারে ঠেলে দিচ্ছে এই কারবারের পান্ডারা ।
ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য মালদা জেলাকে চোরাকারবারিরা বরাবর করিডর হিসেবে ব্যবহার করত । ইয়াবা ট্যাবলেট, গরু, ফেনসিডিল, গাঁজা, ব্রাউন সুগার পাচারের এমন অনেক তথ্য সামনে এসেছে । বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই বেআইনি কাজে রাজি হয়ে যাচ্ছে বহু যুবক । যুবসমাজ কি বেকারত্বের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে সমাজের মূল স্রোতে থাকতে পারবে ? নাকি অর্থ উপার্জনের জন্য চোরাকারবারিদের পাতা ফাঁদে পা দেবে, সেটাই এখন দেখার ।