ETV Bharat / state

পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষা নিয়ে জেলাশাসকের সিদ্ধান্তে BJP-তৃণমূল সংঘাত - BJP-TMCP clash regarding swab test malda

মালদা জেলাশাসকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে , শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও দিল্লি থেকে ফিরে আসা পরিযায়ীদেরই লালারস পরীক্ষা করা হবে ৷ অন্য কোনও রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও সোয়াব টেস্ট হবে না ৷ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে BJP ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে ৷

Malda
মালদা
author img

By

Published : May 19, 2020, 5:04 PM IST

মালদা , 19 মে : মালদা জেলায় গতকালই ফিরে এসেছে দুটি শ্রমিক স্পেশাল ৷ জেলায় ফিরে এসেছেন কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক ৷ কিন্তু তাঁদের কারও লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেনি জেলা প্রশাসন ৷ শুধু তাই নয় , জেলাশাসক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন , এখন থেকে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও দিল্লি থেকে ফিরে আসা পরিযায়ীদেরই লালারস পরীক্ষা করা হবে ৷ অন্য কোনও রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও সোয়াব টেস্ট হবে না ৷ আজ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনেছেন ৷ তিনি আজ এনিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও দাবি করেন ৷ যদিও শাসকদলের বিধায়কের বক্তব্য , এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশমতোই কাজ হচ্ছে ৷ সাংসদের উচিত, আগে এনিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করা ৷


দেশের মধ্যে শুধুমাত্র তিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ীদের লালারস সংগ্রহ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ গর্জে উঠেছেন BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ ETV ভারতকে তিনি বলেন , “একজনের নির্দেশেই আমাদের রাজ্য চলে৷ তিনি যেভাবে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, সেভাবেই চলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ শুধুমাত্র তিনটি রাজ্য কেন ? এখন সারা দেশে কোরোনার সংক্রমণ ঘটছে ৷ প্রধানমন্ত্রী কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ৷ তাহলে বাকি রাজ্যগুলি থেকে ফেরা শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষা করা হবে না কেন ? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষকে শামিল করানোর কোনও উদ্যোগও নিচ্ছেন না ৷ আজ রাজ্যে কোরোনা যেভাবে ছড়িয়েছে তার জন্য মূলত দায়ি মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি এতদিন পর কেন পরিযায়ীদের ঘরে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ? তাও মাত্র 105টি ট্রেন একমাস ধরে রাজ্যে ফিরবে ৷ এখন শ্রমিকরা একদিনও ভিনরাজ্যে থাকতে চাইছেন না ৷ তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে গিয়েছে ৷ হাজার হাজার কিলোমিটার হেঁটেই ঘরে ফিরছে ৷ তাঁরা একমাস ধরে কীভাবে অপেক্ষা করবে ? রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের যদি প্রথমেই ফিরিয়ে আনা যেত, তবে পশ্চিমবঙ্গে এত কোরোনা আক্রান্ত হত না ৷ সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারগুলিতে থাকার কোনও ব্যবস্থাই নেই ৷ চিকিৎসা পরিষেবাও নেই ৷ খাবার নেই ৷ জল নেই ৷ হরিশ্চন্দ্রপুরে কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা শ্রমিকরা গতকাল পরিষেবার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ৷ গতকাল থেকে মানিকচকের একটি সেন্টারে থাকা 300 শ্রমিককে খাবার দেওয়া হয়নি ৷ কিছুক্ষণ আগে তাঁদের শুধু মুড়ি দেওয়া হয়েছে ৷ এভাবে মানুষের সর্বনাশ করার অধিকার রাজ্য সরকারকে কে দিয়েছে ? এই শ্রমিকরা কেন ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিল ? কারণ, রাজ্য সরকার তাঁদের কাজ দিতে পারেনি ৷ কোরোনা নিয়ে মালদা জেলায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার জন্য দায়ি মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাজ্যে ফিরে আসা প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিকের সোয়াব টেস্ট করা উচিত ৷ কে কোরোনা নিয়ে আসছে কেউ জানে না ৷ তার মাধ্যমে এই রোগে আরও লোকজন সংক্রমিত হবে ৷ আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি , রাজ্য সরকার কোরোনা তথ্য গোপন করছে ৷ মালদা জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত তা আবার প্রমাণ করে দিল৷”

খগেনবাবুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শাসকদলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “কোরোনা রোগটার পরিচালনা করছে ভারত সরকার ৷ কেন্দ্র যেভাবে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছে, রাজ্যও সেভাবে চলছে৷ রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো চলছে প্রশাসন ৷ আমার ধারণা, ভারত সরকারের মারফৎ রাজ্য সরকার জেলাশাসককে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে , জেলাশাসক সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই কাজ করছেন ৷ তাছাড়া , তিনি এমন সিদ্ধান্তের কথা বলতে পারেন না ৷ BJP সাংসদের কাছে আমার অনুরোধ , তিনি যেন মানুষকে বিভ্রান্ত না করেন ৷ তিনি বরং তাঁর দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আগে জেনে নিন , ভারত সরকার কোরোনা মোকাবিলায় ঠিক কীভাবে কাজ করবে ৷ কারণ, প্রধানমন্ত্রী একবার বলছেন লকডাউন কঠোরভাবে মানতে হবে ৷ তার কিছুদিন পরে বলছেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল ৷ আসলে তিনি কী চাইছেন, সেটাই এখনও স্পষ্ট নয় ৷ সেটা আগে স্পষ্ট হওয়া উচিত ৷”

মালদা , 19 মে : মালদা জেলায় গতকালই ফিরে এসেছে দুটি শ্রমিক স্পেশাল ৷ জেলায় ফিরে এসেছেন কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক ৷ কিন্তু তাঁদের কারও লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেনি জেলা প্রশাসন ৷ শুধু তাই নয় , জেলাশাসক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন , এখন থেকে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও দিল্লি থেকে ফিরে আসা পরিযায়ীদেরই লালারস পরীক্ষা করা হবে ৷ অন্য কোনও রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও সোয়াব টেস্ট হবে না ৷ আজ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনেছেন ৷ তিনি আজ এনিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও দাবি করেন ৷ যদিও শাসকদলের বিধায়কের বক্তব্য , এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশমতোই কাজ হচ্ছে ৷ সাংসদের উচিত, আগে এনিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করা ৷


দেশের মধ্যে শুধুমাত্র তিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ীদের লালারস সংগ্রহ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ গর্জে উঠেছেন BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ ETV ভারতকে তিনি বলেন , “একজনের নির্দেশেই আমাদের রাজ্য চলে৷ তিনি যেভাবে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, সেভাবেই চলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ শুধুমাত্র তিনটি রাজ্য কেন ? এখন সারা দেশে কোরোনার সংক্রমণ ঘটছে ৷ প্রধানমন্ত্রী কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ৷ তাহলে বাকি রাজ্যগুলি থেকে ফেরা শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষা করা হবে না কেন ? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষকে শামিল করানোর কোনও উদ্যোগও নিচ্ছেন না ৷ আজ রাজ্যে কোরোনা যেভাবে ছড়িয়েছে তার জন্য মূলত দায়ি মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি এতদিন পর কেন পরিযায়ীদের ঘরে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ? তাও মাত্র 105টি ট্রেন একমাস ধরে রাজ্যে ফিরবে ৷ এখন শ্রমিকরা একদিনও ভিনরাজ্যে থাকতে চাইছেন না ৷ তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে গিয়েছে ৷ হাজার হাজার কিলোমিটার হেঁটেই ঘরে ফিরছে ৷ তাঁরা একমাস ধরে কীভাবে অপেক্ষা করবে ? রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের যদি প্রথমেই ফিরিয়ে আনা যেত, তবে পশ্চিমবঙ্গে এত কোরোনা আক্রান্ত হত না ৷ সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারগুলিতে থাকার কোনও ব্যবস্থাই নেই ৷ চিকিৎসা পরিষেবাও নেই ৷ খাবার নেই ৷ জল নেই ৷ হরিশ্চন্দ্রপুরে কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা শ্রমিকরা গতকাল পরিষেবার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ৷ গতকাল থেকে মানিকচকের একটি সেন্টারে থাকা 300 শ্রমিককে খাবার দেওয়া হয়নি ৷ কিছুক্ষণ আগে তাঁদের শুধু মুড়ি দেওয়া হয়েছে ৷ এভাবে মানুষের সর্বনাশ করার অধিকার রাজ্য সরকারকে কে দিয়েছে ? এই শ্রমিকরা কেন ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিল ? কারণ, রাজ্য সরকার তাঁদের কাজ দিতে পারেনি ৷ কোরোনা নিয়ে মালদা জেলায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার জন্য দায়ি মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাজ্যে ফিরে আসা প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিকের সোয়াব টেস্ট করা উচিত ৷ কে কোরোনা নিয়ে আসছে কেউ জানে না ৷ তার মাধ্যমে এই রোগে আরও লোকজন সংক্রমিত হবে ৷ আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি , রাজ্য সরকার কোরোনা তথ্য গোপন করছে ৷ মালদা জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত তা আবার প্রমাণ করে দিল৷”

খগেনবাবুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শাসকদলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “কোরোনা রোগটার পরিচালনা করছে ভারত সরকার ৷ কেন্দ্র যেভাবে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছে, রাজ্যও সেভাবে চলছে৷ রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো চলছে প্রশাসন ৷ আমার ধারণা, ভারত সরকারের মারফৎ রাজ্য সরকার জেলাশাসককে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে , জেলাশাসক সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই কাজ করছেন ৷ তাছাড়া , তিনি এমন সিদ্ধান্তের কথা বলতে পারেন না ৷ BJP সাংসদের কাছে আমার অনুরোধ , তিনি যেন মানুষকে বিভ্রান্ত না করেন ৷ তিনি বরং তাঁর দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আগে জেনে নিন , ভারত সরকার কোরোনা মোকাবিলায় ঠিক কীভাবে কাজ করবে ৷ কারণ, প্রধানমন্ত্রী একবার বলছেন লকডাউন কঠোরভাবে মানতে হবে ৷ তার কিছুদিন পরে বলছেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল ৷ আসলে তিনি কী চাইছেন, সেটাই এখনও স্পষ্ট নয় ৷ সেটা আগে স্পষ্ট হওয়া উচিত ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.