ETV Bharat / state

হরিশ্চন্দ্রপুরে মহিলাকে শ্লীলতাহানির দায়ে আটক বিজেপির যুব নেতা - Bengal Election 2021

অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে আটক করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ সঞ্জয় ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি যুব মোর্চার সহকারী আহ্বায়ক ৷

bjp-youth-leader-detain-for-molesting-a-woman-in-harishchandrapur
bjp-youth-leader-detain-for-molesting-a-woman-in-harishchandrapur
author img

By

Published : Mar 31, 2021, 10:39 AM IST

Updated : Mar 31, 2021, 12:12 PM IST

মালদা, 31 মার্চ : ভোটের মুখে শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত বিজেপির যুব নেতা ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুব নেতাকে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ ঘটনার প্রতিবাদে আজ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ৷ তাদের দাবি, ওই যুব নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, অভিযোগকারিনীর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তদন্ত সাপেক্ষেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

ঘটনার সূত্রপাত হোলিতে রং দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৷ অভিযোগকারী মহিলা বলেন, “সোমবার সন্ধে ছ'টা নাগাদ আমাকে দু'জন রং দিতে আসে ৷ ওই দু’জনের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ৷ তাদের মুখ চিনি ৷ বিশেষ কিছু জানি না ৷ সেই সময় আমার বাড়িতে কেউ ছিল না ৷ স্বামী ও ছেলে রঙ খেলতে বেরিয়েছিল ৷ আমি ওদের বাড়ির ভিতর ঢুকতে বারণ করি ৷ কিন্তু আমার বারণ সত্বেও ওরা জোর করে ঘরে ঢোকে ৷ ওরা দু’জনেই মদ খেয়ে ছিল ৷ ওদের একজন আমার হাত ধরে রাখে, আরেকজন আমার শরীরে রং দেয় ৷ রং দেওয়ার আছিলায় শরীরের গোপন জায়গাতেও হাত দেয় ৷ আমি চিৎকার করে উঠি ৷ কিন্তু আমাদের বাড়ির আশেপাশে কেউ থাকে না ৷"

অভিযোগকারী মহিলা আরও বলেন, "ওদের একজনের নাম সঞ্জয় দাস, আরেকজনের নাম বিধান দাস ৷ ওরা আমাকে হুমকি দেয়, ওরা বিজেপির নেতা ৷ কোথাও অভিযোগ করেও কিছু করতে পারব না ৷ ওরা আমাদের এলাকাছাড়া করারও হুমকি দেয় ৷ আমি জোরে চিৎকার শুরু করলে ওরা পালিয়ে যায় ৷ রাতেই আমি এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷”

অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে আটক করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ সঞ্জয় ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি যুব মোর্চার সহকারী আহ্বায়ক ৷ তাঁর ভাতৃবধূ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য ৷ সঞ্জয়কে আটক করার প্রতিবাদে আজ দফায় দফায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা ৷ আইসির সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন হরিশ্চন্দ্রপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী মতিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ৷

আরও পড়ুন: মহিলার শ্লীলতাহানি, আটক অভিযুক্ত

এই ঘটনা প্রসঙ্গে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ ৷ পুরোপুরি সাজানো ঘটনা ৷ এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷ খবর পেয়ে আজ আমরা সব স্তরের কর্মীরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এসেছিলাম ৷ আইসির সঙ্গে কথাও বলেছি ৷ আইসিকে বলেছি, মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত করতে ৷ ঘটনার সময় ওই মহিলা সেখানে ছিলেন না ৷ ঘটনাটি ঘটে দুপুর সাড়ে তিনটের সময় ৷ আর ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন রাত সাড়ে ন’টায় ৷ এতেই বোঝা যাচ্ছে, এটা সাজানো ঘটনা ৷ তদন্তেই সব বেরিয়ে আসবে ৷ আর মতিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাও ভিত্তিহীন ৷ এই ঘটনায় আমাদের দলের কোনও কর্মী জড়িত থাকলে তাঁর শাস্তি হোক ৷ কিন্তু গত বছর হোলিতেও ওই মহিলা বাবলু কর্মকার নামে আমাদের এক কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন ৷ পরে ভয়ে ওই কর্মী তৃণমূলে চলে যান ৷ আমরা চাই, এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক ৷”

এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস বলেন, “আমি শুনেছি বিজেপির এক নেতা এক মহিলাকে তাঁর অনিচ্ছা সত্বেও রং দিয়েছে ৷ তাঁর শ্লীলতাহানি করেছে ৷ এসব বাংলায় চলে না ৷ এসব উত্তরপ্রদেশ কিংবা বিহারে হয় ৷ ওই দুই রাজ্যে মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে ৷ বাংলায় এই সংস্কৃতি নেই ৷ বিজেপি এই সংস্কৃতি এখানে আমদানি করতে চাইছে ৷ মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না ৷ এখানে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আইন আইনের পথে চলবে ৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ৷”

পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, “এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ একজনকে আটক করেছে ৷ গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ তদন্ত সাপেক্ষেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ৷”

মালদা, 31 মার্চ : ভোটের মুখে শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত বিজেপির যুব নেতা ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুব নেতাকে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ ঘটনার প্রতিবাদে আজ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ৷ তাদের দাবি, ওই যুব নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, অভিযোগকারিনীর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তদন্ত সাপেক্ষেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

ঘটনার সূত্রপাত হোলিতে রং দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৷ অভিযোগকারী মহিলা বলেন, “সোমবার সন্ধে ছ'টা নাগাদ আমাকে দু'জন রং দিতে আসে ৷ ওই দু’জনের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ৷ তাদের মুখ চিনি ৷ বিশেষ কিছু জানি না ৷ সেই সময় আমার বাড়িতে কেউ ছিল না ৷ স্বামী ও ছেলে রঙ খেলতে বেরিয়েছিল ৷ আমি ওদের বাড়ির ভিতর ঢুকতে বারণ করি ৷ কিন্তু আমার বারণ সত্বেও ওরা জোর করে ঘরে ঢোকে ৷ ওরা দু’জনেই মদ খেয়ে ছিল ৷ ওদের একজন আমার হাত ধরে রাখে, আরেকজন আমার শরীরে রং দেয় ৷ রং দেওয়ার আছিলায় শরীরের গোপন জায়গাতেও হাত দেয় ৷ আমি চিৎকার করে উঠি ৷ কিন্তু আমাদের বাড়ির আশেপাশে কেউ থাকে না ৷"

অভিযোগকারী মহিলা আরও বলেন, "ওদের একজনের নাম সঞ্জয় দাস, আরেকজনের নাম বিধান দাস ৷ ওরা আমাকে হুমকি দেয়, ওরা বিজেপির নেতা ৷ কোথাও অভিযোগ করেও কিছু করতে পারব না ৷ ওরা আমাদের এলাকাছাড়া করারও হুমকি দেয় ৷ আমি জোরে চিৎকার শুরু করলে ওরা পালিয়ে যায় ৷ রাতেই আমি এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷”

অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে আটক করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ সঞ্জয় ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি যুব মোর্চার সহকারী আহ্বায়ক ৷ তাঁর ভাতৃবধূ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য ৷ সঞ্জয়কে আটক করার প্রতিবাদে আজ দফায় দফায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা ৷ আইসির সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন হরিশ্চন্দ্রপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী মতিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ৷

আরও পড়ুন: মহিলার শ্লীলতাহানি, আটক অভিযুক্ত

এই ঘটনা প্রসঙ্গে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ ৷ পুরোপুরি সাজানো ঘটনা ৷ এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷ খবর পেয়ে আজ আমরা সব স্তরের কর্মীরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এসেছিলাম ৷ আইসির সঙ্গে কথাও বলেছি ৷ আইসিকে বলেছি, মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত করতে ৷ ঘটনার সময় ওই মহিলা সেখানে ছিলেন না ৷ ঘটনাটি ঘটে দুপুর সাড়ে তিনটের সময় ৷ আর ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন রাত সাড়ে ন’টায় ৷ এতেই বোঝা যাচ্ছে, এটা সাজানো ঘটনা ৷ তদন্তেই সব বেরিয়ে আসবে ৷ আর মতিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাও ভিত্তিহীন ৷ এই ঘটনায় আমাদের দলের কোনও কর্মী জড়িত থাকলে তাঁর শাস্তি হোক ৷ কিন্তু গত বছর হোলিতেও ওই মহিলা বাবলু কর্মকার নামে আমাদের এক কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন ৷ পরে ভয়ে ওই কর্মী তৃণমূলে চলে যান ৷ আমরা চাই, এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক ৷”

এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস বলেন, “আমি শুনেছি বিজেপির এক নেতা এক মহিলাকে তাঁর অনিচ্ছা সত্বেও রং দিয়েছে ৷ তাঁর শ্লীলতাহানি করেছে ৷ এসব বাংলায় চলে না ৷ এসব উত্তরপ্রদেশ কিংবা বিহারে হয় ৷ ওই দুই রাজ্যে মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে ৷ বাংলায় এই সংস্কৃতি নেই ৷ বিজেপি এই সংস্কৃতি এখানে আমদানি করতে চাইছে ৷ মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না ৷ এখানে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আইন আইনের পথে চলবে ৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ৷”

পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, “এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ একজনকে আটক করেছে ৷ গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ তদন্ত সাপেক্ষেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ৷”

Last Updated : Mar 31, 2021, 12:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.