মালদা, 19 জুন : “জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ছাড়া রাজ্যপালেরই ন্যায় পাওয়ার কোনও জায়গা নেই ৷ তাই তিনি সেখানে গিয়েছেন ৷” শনিবার দলীয় কর্মসূচিতে মালদায় এসে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি এদিন সাফ জানিয়ে দেন, জন বারলার বাংলা ভাগের দাবিতে দলের কোনও সমর্থন নেই ৷
বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় অন্তত সাতটি আসনে জয় নিশ্চিত বলে ভেবেছিল গেরুয়া শিবির ৷ কিন্তু সেটা হয়নি ৷ তারা থমকে গিয়েছে চারেই ৷ কেন এমন ফল হল, তা পর্যালোচনার পাশাপাশি নির্বাচন পরবর্তী সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ মালদায় আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ সন্ধেয় তিনি দলের জেলা সদর দফতর, শ্যামাপ্রসাদ ভবনে দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন ৷ তার আগে দফতরের বাইরে থাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেন ৷ তখনই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কেন দিল্লি গিয়ে বুধবারই রাজ্যপাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অরুনকুমার মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেছেন ?
উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, “রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে ৷ একই পাড়ার লোক শুধুমাত্র বিজেপি করে বলে হামলার শিকার হচ্ছেন ৷ তাঁর বাড়ি, দোকান ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ৷ বাড়ির মহিলাদের উপর আক্রমণ হচ্ছে ৷ কেন এমন হচ্ছে? এমন 11 হাজার ঘটনা আমাদের কাছে এসেছে ৷ আমরা তা রাজ্যপাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশনসহ সমস্ত কমিশনে পাঠিয়েছি ৷ এনিয়ে আমরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছি ৷"
তিনি আরও বলেন, "এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী বলে যাচ্ছেন কিছু হয়নি ৷ কিন্তু আদালত আমাদের কথা শুনেছে ৷ আদালত বলেছে, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব প্রশাসনের ৷ তবে আদালতের নির্দেশের পর পুলিশ কিছুটা সহযোগিতা করছে ৷ দেড় মাস ধরে রাজ্যে হিংসা চলছে ৷ আমরা বাধ্য হয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছি ৷ রাজ্যপাল ঘটনা দেখতে গেলে তাঁকে অপমান করা হয়েছে ৷ তাই তিনি নিজে মানবাধিকার কমিশনের কাছে গিয়েছেন ৷ কারণ, অন্য কোনও জায়গায় তাঁর ন্যায় পাওয়ার সুযোগ নেই ৷”
আরও পড়ুন : Malda Murder : 16 টি সিসিটিভির ঘেরাটোপ ! কীসের এত গোপনীয়তা কালিয়াচকের বাড়িতে ?
এদিকে দলীয় সাংসদ জন বারলার বাংলা ভাগের দাবি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, “এই রাজ্যে আর গণতন্ত্র নেই ৷ তাই হতাশ হয়ে অনেকে বলছেন, এখানে ন্যায় পাওয়া যাবে না ৷ সেই হতাশা থেকেই অনেকে এমন কথা বলছেন ৷ তবে এটা দলের বক্তব্য নয় ৷ বিজেপি রাজ্য ভাগের দাবিকে সমর্থন করে না ৷ আমরা শুধু চাই, এই রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক ৷”