মালদা, 16 ফেব্রুয়ারি: উর্দির দাদাগিরি ৷ কম দামে মাছ না-পাওয়ায় বিক্রেতাকে বঁটির কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল থানার দারিয়াপুর বাজারে ৷ আহত মাছ বিক্রেতা বর্তমানে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত মাছ বিক্রেতার ছেলে ৷
আক্রান্ত মাছ বিক্রেতার নাম আনন্দ দাস ৷ বয়স 61 বছর ৷ বাড়ি চাঁচল থানারই ইমামপুর গ্রামে ৷ তিনি দারিয়ারপুর বাজারে প্রতিদিনই মাছ বিক্রি করেন ৷ আজ দুপুরে তাঁর কাছে মাছ কিনতে আসেন চাঁচল থানায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ মালো ৷ কৃষ্ণ আনন্দর কাছে দাবি করেন, তাঁকে কম দামে মাছ দিতে হবে ৷ কিন্তু তাঁর কথায় রাজি হননি আনন্দ ৷ অভিযোগ, নিজের মনমতো দামে মাছ না-পেয়ে কৃষ্ণ অকথ্য ভাষায় বিক্রেতাকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন ৷ এরপর হঠাৎ তিনি আনন্দর আঁশবঁটি দিয়ে তাঁর মাথায় কোপ বসান ৷ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছুটে আসলে সেখান থেকে সরে পড়েন কৃষ্ণ ৷ স্থানীয়রাই ওই মাচ বিক্রেতাকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান ৷
ঘটনাক্রমে আনন্দর ছেলের নামও কৃষ্ণ ৷ তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রতিদিনই দারিয়াপুর ইমামপুর বাজারে মাছ বিক্রি করেন ৷ আজ এই ছেলেটি আনন্দর কাছে মাছ কিনতে যান ৷ এই ছেলেটি সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও তিনি মাঝেমধ্যে গালিমপুর বাজারে মাছ বিক্রি করেন ৷ তাঁর বাড়ি বাকিপুরে ৷ আনন্দর তাঁকে যে দাম বলেন, তার থেকে পাঁচ টাকা কম দিতে চায় তিনি ৷ এত আনন্দ রাজি হননি বলে তিনি জানান ৷
কৃষ্ণ দাস বলেন, "এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয় ৷ তারপর ছেলেটি বাবাকে মারধর করতে শুরু করেন ৷ সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ ৷ হঠাৎ বাবার মাছ কাটার বঁটি দিয়ে তিনি বাবার মাথায় কোপ মারেন ৷ বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ পাঁচটি সেলাই পড়েছে ৷ বাবা চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না ৷ এই ঘটনায় আমি ওই সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ মালোর নামে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ আমি চাই, পুলিশ তদন্ত করে ওকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুক ৷ ও বলছে, পুলিশে কাজ করার জন্য ওর নাকি কিছুই হবে না ৷ বর্তমানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের অত্যাচার অসম্ভব বেড়ে গিয়েছে ৷ এসব বন্ধ হওয়া উচিত ৷"
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও উত্তর দিতে চাননি ৷ সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ তবে চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ মালোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ