কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: জমে উঠেছে 46তম 'আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলা' বা 'কলকাতা বইমেলা' (Kolkata Book Fair) । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়। বইয়ের স্টলে পছন্দের লেখকের বই, কিংবা নতুন কোনও লেখকের বই দেখে ও বেছে কিনে নিচ্ছেন আগতরা ৷ বইয়ের পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে বসেছে চট নির্মিত জিনিসের দোকান এবং খাবারের স্টল । ফলে মেলায় আগতরা বইয়ের পাশাপাশি একবার উঁকি দিচ্ছেন রকমারি জিনিসের দোকানেও ৷
বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে ঝিলের ধার ঘেষে অন্যান্যবারের মতো এবারেও জমিয়ে চলছে সব জিনিসের বিকিকিনি পর্ব । এর মধ্যে রয়েছে ডোকরা, চটের গয়না, ব্যাগ, পেইন্টিং, প্রিন্টেড জামা-সহ ঘর সাজানোর নানান জিনিস । বইয়ের দোকানের পাশাপাশি এই সব দোকানেও ভিড় কম নেই । চলছে দর কষাকষি । তবে, তা বেশিদূর বাড়ছে কমছে না । জিনিসগুলি অভিনবত্বের গুণে এতটাই নজরকাড়া যে দামের কথা চিন্তা না-করেই মানুষ কিনে নিচ্ছেন পছন্দের জিনিসটি । ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের মুখেই হাসি । এরই মাঝে দেখা গেল গিল্ডের তরফ থেকে ভলান্টিয়ার এসে বিক্রেতাদের বলছেন, "সব গুটিয়ে নিয়ে উঠে পড়ুন । বইমেলায় এই সব বিক্রি করা যাবে না ।"
বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা গেল, প্রতিবারই গিল্ড দোকান বসার আজ অনুমতি দিচ্ছি, কাল অনুমতি দিচ্ছি বলে যায় ৷ আর এমনটা চলে দিনের পর দিন ধরে । এরই মাঝে নিজেদের হাতে গড়া জিনিসের পসরা সাজিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বসে যান তাঁরা । রোজই এসে একবার করে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের । আবার কিছুক্ষণ পর সব ঠিক । তারা যথা আবার যথা জায়গায় এসে বসে পড়েন ৷ তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, "রোজই আমরা বসি, উঠি তারপর আবার বসি । এভাবেই চলছে অনেকদিন ধরে । এখনও গিল্ড দেয়নি অনুমতি । অনেক মানুষ আমাদের জিনিস পত্র কিনে নিয়ে যায় । তারা আনন্দ পায় । রকমারি জিনিস মানুষের মন ভালো করে দেয় । তাই এগুলির বিক্রিতে বাধা দেওয়ার কারণ কী আমাদের জানা নেই ।"