ETV Bharat / state

ক্ষমতা হারানোর দশ বছর পরেও লাল পতাকায় মুড়ল ব্রিগেড

আজ সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত ছেয়ে গিয়েছিল লাল পতাকায় । ব্রিগেডের মাঠেও আজ যে ভিড় হয়েছিল, তা নিঃসন্দেহে ভোটের ময়দানে বাড়তি অক্সিজেন দেবে দশ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বামফ্রন্টকে ।

বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশ
ছবি
author img

By

Published : Feb 28, 2021, 7:29 PM IST

কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : 2011 । 2021 । ব্যবধান দশ বছরের ।

পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর । 34 বছরের আধিপত্যের সমাপ্তি ঘটেছে । সরকারি ক্ষমতা নেই । প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাo নেই । লোকবল, সেদিনের সমর্থকরা, কেউই আজ আর নেই । ইদানিং শুধুই যেন তাঁদের হারানোর দিন ।

কিন্তু তাঁরা হারেননি । তৃণমূল-বিজেপির লাগাতার আক্রমণের মুখেও তাঁরা যে আজও আছেন, সেই অস্তিত্ব প্রমাণের তাগিদ ছিল বাম নেতাদের । সভা শেষে লাল পার্টির সমর্থকেরা বলছেন আমরা সফল । সত্যিই সফল । যেভাবে গত দু'দিন রাতে হাজার হাজার বাম সমর্থককে ব্রিগেডমুখী দেখা গিয়েছে, যেভাবে আজ সকাল থেকে ধর্মতলা চত্বর লাল পতাকায় মুড়ে গিয়েছিল, যেভাবে হাওড়া, শিয়ালদা, শ্যামবাজারের মতো এলাকায় বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল দেখা গিয়েছিল, তা তো বাম-অক্সিজেনেরই পরিচয় ।

গ্রাম বাংলায় নানা অত্যাচারের অভিযোগ মাঝে মধ্যেই শোনা গিয়েছে । অভিযোগের আঙুল থাকত তৃণমূলের দিকে । তাদের অত্যাচারেই নাকি ঘর ছাড়তে হত বাম কর্মীদের । গত 10 বছরে একের পর এক বাম কর্মী-সমর্থকদের দলবদলের ছবি দেখা গিয়েছিল । ভোট যত এগিয়ে আসছে, এই ছবিটা ততই প্রকট হয়ে পড়ছে । কিন্তু তাও আজ মোর্চার ব্রিগেডে যেভাবে লাল পতাকা হাতে সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়েছে, তা নিঃসন্দেহে আলোচনার বিষয় ।

বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশ
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফয়ের ব্রিগেড সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের ঢল

আরও পড়ুন : লড়াই হবে তবু মাথা নত নয়, বার্তা দেবলীনা হেমব্রমের

সেভাবে কোনও অতিপরিচিত মুখ এবারের ব্রিগেডে দেখা যায়নি । বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অসুস্থ । গৃহবন্দি । মানিক সরকার আসেননি । সূর্যকান্ত মিশ্র সেভাবে জনমোহিনী বক্তা নন । কালের নিয়মে আজ অনেকটাই ম্রিমমান দেবলীনা হেমব্রম । বিমান বসু বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত । কিছুটা হলেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পাওয়া গিয়েছে মহম্মদ সেলিমকে । আসলে বাম নেতাদের সেই দিন আজ নেই । কিন্তু সমর্থকদের আশা আছে । যেভাবে লাল-পতাকা হাতে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক ব্রিগেডের চারপাশে বিভিন্ন জায়গায় আটকে ছিলেন তা নিঃসন্দেহে আলিমুদ্দিনের মুখে হাসি ফুটিয়েছে । বাদশা মৈত্র, ঐশী ঘোষেরা কিছুটা সময় বক্তব্য রেখেছেন বটে । তাঁরা যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন হাজার হাজার করতালিতে ব্রিগেডের বাতাস ভারী হয়েছে । বুঝিয়ে দিয়েছেন দশ বছর পরেও তাঁরা একইভাবে বামমনস্ক আছেন । হাজারো প্রতিবন্ধকতা, হাজারো প্রলোভন সত্বেও বিরোধী শিবিরে যাননি তাঁরা । একটা তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে থাকা রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এই সমর্থন কার্যত নতুন চালিকাশক্তির মতো কাজ করে ।

আরও পড়ুন : সরকার বদলাতে এককাট্টা হয়ে লড়তে হবে : অধীর

এবারের ভোটে তৃণমূল, বিজেপি না বাম-কংগ্রেস জোট, কারা ক্ষমতায় আসবে, সেটা জানতে মাসদু'য়েক অপেক্ষা করতে হবে । কিন্তু দশ বছর ক্ষমতার বহুদূরে থাকা একটা দলের ব্রিগেড সমাবেশে যেভাবে জনসমাগম ঘটল, তা আগামীদিনের বাম নেতৃত্বর মনোবলকে বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।

কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : 2011 । 2021 । ব্যবধান দশ বছরের ।

পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর । 34 বছরের আধিপত্যের সমাপ্তি ঘটেছে । সরকারি ক্ষমতা নেই । প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাo নেই । লোকবল, সেদিনের সমর্থকরা, কেউই আজ আর নেই । ইদানিং শুধুই যেন তাঁদের হারানোর দিন ।

কিন্তু তাঁরা হারেননি । তৃণমূল-বিজেপির লাগাতার আক্রমণের মুখেও তাঁরা যে আজও আছেন, সেই অস্তিত্ব প্রমাণের তাগিদ ছিল বাম নেতাদের । সভা শেষে লাল পার্টির সমর্থকেরা বলছেন আমরা সফল । সত্যিই সফল । যেভাবে গত দু'দিন রাতে হাজার হাজার বাম সমর্থককে ব্রিগেডমুখী দেখা গিয়েছে, যেভাবে আজ সকাল থেকে ধর্মতলা চত্বর লাল পতাকায় মুড়ে গিয়েছিল, যেভাবে হাওড়া, শিয়ালদা, শ্যামবাজারের মতো এলাকায় বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল দেখা গিয়েছিল, তা তো বাম-অক্সিজেনেরই পরিচয় ।

গ্রাম বাংলায় নানা অত্যাচারের অভিযোগ মাঝে মধ্যেই শোনা গিয়েছে । অভিযোগের আঙুল থাকত তৃণমূলের দিকে । তাদের অত্যাচারেই নাকি ঘর ছাড়তে হত বাম কর্মীদের । গত 10 বছরে একের পর এক বাম কর্মী-সমর্থকদের দলবদলের ছবি দেখা গিয়েছিল । ভোট যত এগিয়ে আসছে, এই ছবিটা ততই প্রকট হয়ে পড়ছে । কিন্তু তাও আজ মোর্চার ব্রিগেডে যেভাবে লাল পতাকা হাতে সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়েছে, তা নিঃসন্দেহে আলোচনার বিষয় ।

বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশ
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফয়ের ব্রিগেড সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের ঢল

আরও পড়ুন : লড়াই হবে তবু মাথা নত নয়, বার্তা দেবলীনা হেমব্রমের

সেভাবে কোনও অতিপরিচিত মুখ এবারের ব্রিগেডে দেখা যায়নি । বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অসুস্থ । গৃহবন্দি । মানিক সরকার আসেননি । সূর্যকান্ত মিশ্র সেভাবে জনমোহিনী বক্তা নন । কালের নিয়মে আজ অনেকটাই ম্রিমমান দেবলীনা হেমব্রম । বিমান বসু বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত । কিছুটা হলেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পাওয়া গিয়েছে মহম্মদ সেলিমকে । আসলে বাম নেতাদের সেই দিন আজ নেই । কিন্তু সমর্থকদের আশা আছে । যেভাবে লাল-পতাকা হাতে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক ব্রিগেডের চারপাশে বিভিন্ন জায়গায় আটকে ছিলেন তা নিঃসন্দেহে আলিমুদ্দিনের মুখে হাসি ফুটিয়েছে । বাদশা মৈত্র, ঐশী ঘোষেরা কিছুটা সময় বক্তব্য রেখেছেন বটে । তাঁরা যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন হাজার হাজার করতালিতে ব্রিগেডের বাতাস ভারী হয়েছে । বুঝিয়ে দিয়েছেন দশ বছর পরেও তাঁরা একইভাবে বামমনস্ক আছেন । হাজারো প্রতিবন্ধকতা, হাজারো প্রলোভন সত্বেও বিরোধী শিবিরে যাননি তাঁরা । একটা তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে থাকা রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এই সমর্থন কার্যত নতুন চালিকাশক্তির মতো কাজ করে ।

আরও পড়ুন : সরকার বদলাতে এককাট্টা হয়ে লড়তে হবে : অধীর

এবারের ভোটে তৃণমূল, বিজেপি না বাম-কংগ্রেস জোট, কারা ক্ষমতায় আসবে, সেটা জানতে মাসদু'য়েক অপেক্ষা করতে হবে । কিন্তু দশ বছর ক্ষমতার বহুদূরে থাকা একটা দলের ব্রিগেড সমাবেশে যেভাবে জনসমাগম ঘটল, তা আগামীদিনের বাম নেতৃত্বর মনোবলকে বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.