কলকাতা, 21 জুলাই : সতর্ক হওয়ার যখন প্রয়োজন ছিল, তখন সরকার সতর্ক হয়নি । কোরোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার দায় রাজ্য সরকারের । গতকাল এমন মন্তব্য করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । প্রসঙ্গত, গতকাল নবান্নে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন ।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, " এত বড় একটা ঘোষণা, অথচ মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবের দেখা নেই । স্বরাষ্ট্র সচিব গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা ঘোষণা করলেন । আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি টেস্ট, টেস্ট আর টেস্ট। কোয়ারানটিন সেন্টারে গিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে । সরকার ব্যস্ত তথ্য গোপনে । রাজ্য সরকার লকডাউন ভেঙেছে। মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন ভেঙেছেন। দোকান বাজার খুলে দেওয়া হয়েছে। মদের দোকানও খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ এই গোষ্ঠী সংক্রমণের দায় সরকারের। কোভিড, নন কোভিড চিকিৎসায় বারোটা বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে।" তিনি রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, "এটা কি ছ্যাবলামি হচ্ছে ? অবিলম্বে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুন। মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার এবং টেস্টের সুবিধা করে মানুষের পাশে দাঁড়ান। সর্বনাশের দায় রাজ্য সরকারের।"
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, " নবান্নে সর্বদলীয় সভায় আমরা যা বলেছিলাম রাজ্য সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। লকডাউনের নিয়ম ভেঙে রেশনের চাল চুরি করে সেগুলিকে ত্রাণ হিসেবে বণ্টন করেছে শাসক দল । দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি। তৃণমূল নেতারা লকডাউন ভেঙেছেন। ত্রাণ বণ্টনের নামে মানুষের মধ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ বাধিয়েছেন তাঁরাই।"
অন্যদিকে বিদ্যুতের “ভূতুড়ে বিল” নিয়ে সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন, এপ্রিল এবং মে মাসের বিদ্যুতের বিল বাতিল করতে হবে। চলতি মাসের বিল গত বছর জুলাই মাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যেন করা হয়। রাজ্যের অনুপ্রেরণার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে CESC-র । সেই টাকা তারা এভাবে তুলতে চাইছে। মানুষকে শোষণ করে।