কলকাতা, 29 জানুয়ারি: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন ৷ তাছাড়া বছর ঘুরলেই 2024 এর শুরুতে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন ৷ লোকসভার ভোটের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে এই রাজ্যে 'কার্যত সেমিফাইনাল' হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল । যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বারবারই বলতে শোনা গিয়েছে, গত 10 বছরে সরকারের উন্নয়নের কাজকে সামনে রেখেই মানুষের দরজায় ভোট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে যাবেন শাসক দলের নেতারা । তার আগে বড় ঘোষণা করতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ৷
সোমবার রয়েছে রাজ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠক । মনে করা হচ্ছে, এই মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও এক দফায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে ৷ সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বিভিন্ন স্কুলে ফাঁকা থাকা প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । কারণ, শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও নতুন করে শিক্ষক নিয়োগে কিছুটা ধীরে চলারই পক্ষপাতি (WB Teacher Recruitment process) ৷
আরও পড়ুন: 15 ফেব্রুয়ারি পেশ হতে পারে রাজ্য বাজেট, জানালেন চন্দ্রিমা
কিন্তু এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নবান্নের তরফ থেকে ফের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হতে পারে ৷ সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে, সোমবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হতে পারে সোমবার । কিন্তু যদি কোনও কারণে আগামিকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি পেশ করা না হয়, তাহলে পরবর্তী সভার বৈঠকে অবশ্যই এই বিষয়টিকে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে ।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রধান শিক্ষকদের শূন্যপদের যে সংখ্যা আদালতকে জানানো হয়েছিল, তা হল 2325টি । আর এই 2325টি স্কুলেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েই অগ্রাধিকার দিতে চাইছে রাজ্য (Head Master recruitment in WB) ৷ তবে জানা গিয়েছে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি প্রস্তুত করে ফেলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন । ইতিমধ্যেই এই বিধি রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে । শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বিধি পেশের আগে এই বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল । এই বিষয়ে আইনজীবীদের তরফ থেকে ছাড়পত্র চলে আসার পর এখন রাজ্য মন্ত্রিসভায় পেশ করা হতে পারে সেই প্রস্তাব ৷ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেই তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে ৷