কলকাতা, 2 অগস্ট: টানা বৃষ্টিতে ফের ভাসল কলকাতার বিভিন্ন এলাকা ৷ বর্ষার শুরু থেকে বৃষ্টির দেখা মেলেনি ৷ তবে মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৷ সেই আশঙ্কা সত্যি করে বিকেল থেকে আকাশ কালোমেঘে ছেয়ে যায় ৷ আর সন্ধ্যা ঘনাতেই বৃষ্টি নামে কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকায়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৷ আজও কলকাতা থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাতের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে থাকে ৷ মুষলধারে বৃষ্টি চলে ভোর পর্যন্ত ৷ বুধবার সকাল হতেই কলকাতার ফিরল চেনা জলছবি ৷ শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন এলাকা, অলি-গলি ভাসল জলে ৷ স্বাভাবিকভাবে, স্কুলের পড়ুয়া থেকে অফিযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন ৷ কিছু জায়গায় জল নামলেও দুপুর পর্যন্ত অনেক জায়গায় জল জমে আছে ৷ জলমগ্ন উত্তর কলকাতার কাশীপুর, রতন বাবুর ঘাট এলাকা, প্রমথ নাথ চৌধুরী লেন ৷ ঘরে, দোকানেও জল ঢুকে গিয়েছে ৷ এলাকাবাসীদের ক্ষোভ, কাউন্সিলর থেকে বরো চেয়ারম্যান সবাইকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি ৷
দক্ষিণে রবীন্দ্র সরোবরের রাস্তার একাংশ জলমগ্ন ৷ বড় রাস্তায় জল থাকায় গাড়ির গতি শ্লথ ৷ জল রয়েছে বেহালা, জোকার বেশ কিছু অংশে ৷ আলিপুর এলাকার বেশ কিছু ছোট রাস্তা, গলি জলমগ্ন ৷ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একাংশও জলমগ্ন ৷ মধ্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিট ও পূর্ব কলকাতার বেশ কিছু অংশে জল রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ, আজও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত 10টা থেকে সকাল 6টা পর্যন্ত মানিকতলা এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 43 মিলিমিটার, দত্তবাগানে 41 মিলিমিটার ৷ বেহালা এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে 90.8 মিলিমিটার, জোকায় 76 মিলিমিটার, বালিগঞ্জ 87 মিলিমিটার, গড়িয়া কামডহরি এলাকায় 91 মিলিমিটার, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায় 46 মিলিমিটার ৷ কলকাতা পৌরনিগমের এক আধিকারিক জানান, কলকাতার নিকাশিনালার যে ক্ষমতা, তার থেকে অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে ৷ তাই কিছু জায়গায় জল দাঁড়িয়েছে ৷ অনেক জায়গায় আবার নেমেও গিয়েছে ৷ তিনি আরও জানান, অভিযোগ এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ৷