ETV Bharat / state

হরিদেবপুরে মামাবাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও 2 - হরিদেবপুরে ডাকাতি

হরিদেবপুরে মামাবাড়ি থেকে ডাকাতি করা সোনা যে দু'জনকে বিক্রি করেছিল ঐন্দ্রিলা, তাদের গতকাল গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদে নিজের ছোটোবেলার কথা, পড়াশোনার কথা পুলিশকে জানায় ঐন্দ্রিলা ৷

ফোটো সৌজন্য়ে - Pixabay
author img

By

Published : Nov 9, 2019, 1:16 AM IST

কলকাতা, 9 নভেম্বর : হরিদেবপুর ডাকাতির ঘটনায় আরও 2জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷ মামাবাড়িতে ডাকাতির সোনা এই দুই ব্যক্তিকেই বিক্রি করেছিল ঐন্দ্রিলা ৷ বৃহস্পতিবারই ঘটনার কিনারা করে ফেলে পুলিশ ৷ গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ভাগ্নি ঐন্দ্রিলা রায়, তার দুই সাগরেদ পবিত্র দেবনাথ ও রূপম সমাদ্দারকে ৷

জামাতে লেগে থাকা বোনের রক্তের দাগ তাকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে ৷ তাই ডাকাতির পর সাগরেদদের সঙ্গে ঐন্দ্রিলা চলে যায় বাইপাসের ধারে একটি শপিং মলে ৷ নতুন পোশাক কিনে পুরোনো পোশাকটি প্যাকেটে ভরে ফেলে সে ৷ সেখান থেকে গড়িয়া গিয়ে একটি ডাস্টবিনে ওই প্যাকেট ফেলে দেয় তারা ৷ ওই প্যাকেটটিও ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷

ডাকাতির সোনা নিজেদের কাছে রাখা যাবে না ৷ সেগুলি বিক্রি করে দিতে হবে ৷ যেমন ভাবা, তেমন কাজ ৷ বোড়ালের সমরেশ দাস ও নেতাজিনগরের অঙ্কুশ অতুন্ডের সঙ্গে যোগোযোগ করে ঐন্দ্রিলা ৷ তাদের কাছে সোনা বিক্রি করে দেয় সে ৷ তদন্ত থেকে উঠে আসা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই গতকাল সমরেশ ও অঙ্কুশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷

ঐন্দ্রিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ছোটো থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো সে ৷ দমদমের একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশের পর সোজা লরেটো ৷ তবে তারপর পড়াশোনা আর এগোয়নি ৷ বাবা হঠাৎই প্যারালাইজ়ড হয়ে পড়ায় ইতি টানতে হয় পড়াশোনায় ৷ তারপর বিয়ে করে নেয় সে ৷ কিন্তু বৈবাহিক জীবনও সুখের ছিল না তার ৷ কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়াছাড়ি ৷ তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় কাজের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছে ঐন্দ্রিলা ৷ এমনকি, এসকর্ট সার্ভিসেও কলগার্ল হিসেবে কাজ করেছে সে ৷

নিজের জীবনকে নতুন করে গুছিয়ে নিতে পাকাপাকিভাবে কানাডায় চলে যেতে চেয়েছিল ঐন্দ্রিলা । তার বাড়ি চম্পাহাটির সাহেবপুর ইস্টে । কিন্তু কানাডায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন 19 লাখ টাকা । তখনই মাথায় আসে পেশায় চিকিৎসক মামা অরূপ দাসের কথা । কয়েক দিন আগে হরিদেবপুরের ডায়মন্ড পার্কের আবাসনে মামার বাড়িতে যায় ঐন্দ্রিলা । মামাকে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে 19 লাখ টাকা চায় । কিন্তু অরূপবাবু জানিয়ে দেন, এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় । এরপরই পবিত্র ও রূপমকে নিয়ে মামাবাড়িতে ডাকাতির ছক কষে বছর চৌত্রিশের ঐন্দ্রিলা ।

কলকাতা, 9 নভেম্বর : হরিদেবপুর ডাকাতির ঘটনায় আরও 2জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷ মামাবাড়িতে ডাকাতির সোনা এই দুই ব্যক্তিকেই বিক্রি করেছিল ঐন্দ্রিলা ৷ বৃহস্পতিবারই ঘটনার কিনারা করে ফেলে পুলিশ ৷ গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ভাগ্নি ঐন্দ্রিলা রায়, তার দুই সাগরেদ পবিত্র দেবনাথ ও রূপম সমাদ্দারকে ৷

জামাতে লেগে থাকা বোনের রক্তের দাগ তাকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে ৷ তাই ডাকাতির পর সাগরেদদের সঙ্গে ঐন্দ্রিলা চলে যায় বাইপাসের ধারে একটি শপিং মলে ৷ নতুন পোশাক কিনে পুরোনো পোশাকটি প্যাকেটে ভরে ফেলে সে ৷ সেখান থেকে গড়িয়া গিয়ে একটি ডাস্টবিনে ওই প্যাকেট ফেলে দেয় তারা ৷ ওই প্যাকেটটিও ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷

ডাকাতির সোনা নিজেদের কাছে রাখা যাবে না ৷ সেগুলি বিক্রি করে দিতে হবে ৷ যেমন ভাবা, তেমন কাজ ৷ বোড়ালের সমরেশ দাস ও নেতাজিনগরের অঙ্কুশ অতুন্ডের সঙ্গে যোগোযোগ করে ঐন্দ্রিলা ৷ তাদের কাছে সোনা বিক্রি করে দেয় সে ৷ তদন্ত থেকে উঠে আসা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই গতকাল সমরেশ ও অঙ্কুশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷

ঐন্দ্রিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ছোটো থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো সে ৷ দমদমের একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশের পর সোজা লরেটো ৷ তবে তারপর পড়াশোনা আর এগোয়নি ৷ বাবা হঠাৎই প্যারালাইজ়ড হয়ে পড়ায় ইতি টানতে হয় পড়াশোনায় ৷ তারপর বিয়ে করে নেয় সে ৷ কিন্তু বৈবাহিক জীবনও সুখের ছিল না তার ৷ কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়াছাড়ি ৷ তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় কাজের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছে ঐন্দ্রিলা ৷ এমনকি, এসকর্ট সার্ভিসেও কলগার্ল হিসেবে কাজ করেছে সে ৷

নিজের জীবনকে নতুন করে গুছিয়ে নিতে পাকাপাকিভাবে কানাডায় চলে যেতে চেয়েছিল ঐন্দ্রিলা । তার বাড়ি চম্পাহাটির সাহেবপুর ইস্টে । কিন্তু কানাডায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন 19 লাখ টাকা । তখনই মাথায় আসে পেশায় চিকিৎসক মামা অরূপ দাসের কথা । কয়েক দিন আগে হরিদেবপুরের ডায়মন্ড পার্কের আবাসনে মামার বাড়িতে যায় ঐন্দ্রিলা । মামাকে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে 19 লাখ টাকা চায় । কিন্তু অরূপবাবু জানিয়ে দেন, এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় । এরপরই পবিত্র ও রূপমকে নিয়ে মামাবাড়িতে ডাকাতির ছক কষে বছর চৌত্রিশের ঐন্দ্রিলা ।

Intro:কলকাতা, 7 নভেম্বর: হরিদেবপুর ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো 2। মামার বাড়িতে ডাকাতির সোনা 22 ব্যক্তিকেই বিক্রি করেছিল ভাগ্নি। তাদের নাম অঙ্কুশ অতুন্ডে এবং সমরেশ দাস। কিনারা হয়েছে গতকাল। এই ঘটনার কিনারা হয়েছে গতকালই। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ভাগ্নি ঐন্দ্রিলা রায় এবং তার দুই সাগরেদকে। ওই দুই যুবকের নাম পবিত্র দেবনাথ এবং রুপম সমাদ্দার। Body:জানা গেছে, ঐন্দ্রিলা সহ অন্যরা ডাকাতির পর সোজা যায় বাইপাসের ধারে একটি শপিং মলে। সেখানে ঐন্দ্রিলা নিজের পোশাক পরিবর্তন করে। তার জামাই লেগেছিল বোনের রক্তের ছিটে। সেই কারণেই নতুন পোশাক কিনে পুরনো পোশাকটি প্যাকেট বন্দী করে সে। তারপর তারা যায় গড়িয়ার। সেখানে একটি ডাস্টবিনে রক্ত লাগা পোশাক ফেলে দেয়। সেটি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারপরেই তারা বোড়ালের সমরেশ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অঙ্কুশ এবং সমরেশের কাছে বিক্রি করে ডাকাতি সোনা। অঙ্কুশের বাড়ি নেতাজি নগর থানা এলাকায়।

সমস্যার এক জীবন! রীতিমতো বহেমিয়ান। হরিদেবপুর ডাকাতির মূল অভিযুক্ত ঐন্দ্রিলা রায় অত্যন্ত ভালো রেজাল্ট করেছিল। দমদমের এক স্কুল থেকে মাধ্যমিকের পর সোজা লরেটো। না, পড়াশোনা আর এগোয়নি। এরই মাঝে বাবা হঠাৎই প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। তাই পড়াশোনার ইতি সেখানেই। এই মেয়েই বন্ধু জুটিয়ে সপরিবারে নিকেশ করতে চেয়েছিল মামাবাড়িতে।
Conclusion:ছেলেবেলা কেটেছে দমদম এলাকায়। পড়াশোনা এয়ারপোর্ট চত্বরের একটি নামি স্কুলে। সেখান থেকে ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করে সেকেন্ডারি। তখন তার বাবা কর্মক্ষম। একটি সাংস্কৃতিক সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। মোটের ওপর সচ্ছল জীবন প্রণালী ছিল ঐন্দ্রিলাদের। সেই সূত্রেই একাদশ শ্রেণিতে ঐন্দ্রিলাকে তার বাবা ভর্তি করে দেন শিয়ালদা এলাকার লরেটো স্কুলে। কিন্তু সে পড়াশোনা এগোয়নি। হরিদেবপুরে মূল অভিযুক্ত ছেড়ে দেয় পড়াশোনা। বাবার পঙ্গু হয়ে যাওয়া পাল্টে দেয় জীবনটা। পরে তার বিয়ে হয়। সেই বিয়েও টেকেনি। তারপর এখানে ওখানে কাজ। এমনকি এসকর্ট সার্ভিসেও কলগার্ল হিসেবে কাজ করেছে সে। ঐন্দ্রিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসছে এমন তথ্যই।



ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.