ETV Bharat / state

বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় মাদক পাচারের চেষ্টা, গ্রেপ্তার 2 - STF arrested two

3 অগাস্ট মাদক পাচারের চেষ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ইসমাইল ও কারিফুলকে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে মসিবুর ও আসাবুরের কথা ৷ গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করে STF ৷

উদ্ধার হওয়া ড্রাগ
author img

By

Published : Aug 8, 2019, 10:04 AM IST

কলকাতা, 8 অগাস্ট : মাদক পাচারের চেষ্টায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (STF) ৷ তাদের কাছে 50 লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ৷ কলকাতার ইয়াবা চক্রের কিংপিনের খোঁজ মেলেনি এখনও । তবে, বাংলাদেশ থেকে আসা মাদকের মিডল ম্যানদের খোঁজ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স । সেইমতো তাদের উপর শুরু হয়েছিল নজরদারি । তদন্তে তারা জানতে পারে, আবার বড়সড় কন্সাইনমেন্টে কলকাতায় ইয়াবা ঢোকানোর চেষ্টা হবে । এবার কলকাতার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে । তাই রাখা হয়েছিল নজর । আর তাতেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স আর হাতে ধরা পড়ল ওই দুই মাদক পাচারকারী । তারা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গেছে ।

3 অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কলকাতায় আনা হয়েছিল ইয়াবা । গার্ডেনরিচে নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু কলকাতার কারবারিদের হাতে মাদক তুলে দেওয়ার আগেই STF গ্রেপ্তার করে দু'জনকে । তাদের নাম ইসমাইল হোসেন ও কারিফুল শেখ । ইসমাইলের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে । আর কারিফুল মালদার ইংলিশ বাজারের কমলাবাড়ির বাসিন্দা । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কমল হোসেন নামে আরও একজনের নাম জানতে পারে পুলিশ ৷ কমল মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা ।

কমল ও কারিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, শুধু মালদা নয় মুর্শিদাবাদে ছড়িয়েছে ইয়াবা চক্রের জাল । সেখানেও তৈরি হয়েছে মিডিল ম্যান । তারা বাংলাদেশি মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে কলকাতায় । কারিফুলরা জিজ্ঞাসাবাদে মসিবুর রহমান ও আসাবুর রহমান নামের দুই মিডিল ম্যানের কথা স্পেশাল টাস্কফোর্সকে জানায় ৷ এই মসিবুর সুতির বাসিন্দা । আর আসাবুরের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় । তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করে তদন্তকারীরা । জানা যায়, ওই দুই ব্যক্তি প্রচুর ইয়াবা নিয়ে কলকাতায় আসছে । সেই সূত্রেই তাদের গতকাল সল্টলেক স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করে STF । উদ্ধার হয় 10 কেজি 369 গ্রাম ইয়াবা । যার মূল্য 50 লাখ টাকা ৷

প্রসঙ্গত, ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড । বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেটের নেশায় প্রায় সর্বস্বান্ত । এবার কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ সূত্রে খবর, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণে । ইদানিং না কি আবার এই মাদকের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের সঙ্গে ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে । সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশ । তারপর সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছে কলকাতায় ।

কলকাতা, 8 অগাস্ট : মাদক পাচারের চেষ্টায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (STF) ৷ তাদের কাছে 50 লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ৷ কলকাতার ইয়াবা চক্রের কিংপিনের খোঁজ মেলেনি এখনও । তবে, বাংলাদেশ থেকে আসা মাদকের মিডল ম্যানদের খোঁজ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স । সেইমতো তাদের উপর শুরু হয়েছিল নজরদারি । তদন্তে তারা জানতে পারে, আবার বড়সড় কন্সাইনমেন্টে কলকাতায় ইয়াবা ঢোকানোর চেষ্টা হবে । এবার কলকাতার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে । তাই রাখা হয়েছিল নজর । আর তাতেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স আর হাতে ধরা পড়ল ওই দুই মাদক পাচারকারী । তারা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গেছে ।

3 অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কলকাতায় আনা হয়েছিল ইয়াবা । গার্ডেনরিচে নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু কলকাতার কারবারিদের হাতে মাদক তুলে দেওয়ার আগেই STF গ্রেপ্তার করে দু'জনকে । তাদের নাম ইসমাইল হোসেন ও কারিফুল শেখ । ইসমাইলের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে । আর কারিফুল মালদার ইংলিশ বাজারের কমলাবাড়ির বাসিন্দা । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কমল হোসেন নামে আরও একজনের নাম জানতে পারে পুলিশ ৷ কমল মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা ।

কমল ও কারিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, শুধু মালদা নয় মুর্শিদাবাদে ছড়িয়েছে ইয়াবা চক্রের জাল । সেখানেও তৈরি হয়েছে মিডিল ম্যান । তারা বাংলাদেশি মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে কলকাতায় । কারিফুলরা জিজ্ঞাসাবাদে মসিবুর রহমান ও আসাবুর রহমান নামের দুই মিডিল ম্যানের কথা স্পেশাল টাস্কফোর্সকে জানায় ৷ এই মসিবুর সুতির বাসিন্দা । আর আসাবুরের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় । তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করে তদন্তকারীরা । জানা যায়, ওই দুই ব্যক্তি প্রচুর ইয়াবা নিয়ে কলকাতায় আসছে । সেই সূত্রেই তাদের গতকাল সল্টলেক স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করে STF । উদ্ধার হয় 10 কেজি 369 গ্রাম ইয়াবা । যার মূল্য 50 লাখ টাকা ৷

প্রসঙ্গত, ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড । বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেটের নেশায় প্রায় সর্বস্বান্ত । এবার কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ সূত্রে খবর, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণে । ইদানিং না কি আবার এই মাদকের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের সঙ্গে ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে । সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশ । তারপর সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছে কলকাতায় ।

Intro:কলকাতা, 7 অগাস্ট: এখনও খোঁজ মেলেনি কলকাতার ইয়াবা চক্রের কিংপিনের। তবে বাংলাদেশ থেকে আসা মাদকের মিডিলম্যানদের খোঁজ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। তাদের উপর শুরু হয়েছিল নজরদারি। তদন্তকারীরা জানতে পারে, আবারো বড়োসড়ো কন্সাইনমেন্টে কলকাতায় ইয়াবা ঢোকানোর চেষ্টা হবে। এবার কলকাতার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে। সেই মতো রাখা হয়েছিল নজর। আর তাতেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স আর হাতে ধরা পড়ল দুই মাদক পাচারকারী। তারা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ধৃতদের কাছে উদ্ধার হয়েছে 50 লাখের ইয়াবা।
Body:বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কলকাতায় আনা হয়েছিল ইয়াবা। কথা ছিল, গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেটা 3 অগাস্ট। ওই পাচারকারীরা কলকাতার কারবারীদের হাতে মাদক তুলে দেওয়ার আগেই STF গ্রেপ্তার করে দু'জনকে। তাদের নাম ইসমাইল হোসেন এবং কারিফুল সেখ। ইসমাইলের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আর কারিফুল মালদার ইংলিশ বাজারের কমলাবাড়ির বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এই দলে আছে আরও একজন। তার নাম কমল হোসেন। সে মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা। কমল এবং কারিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, শুধু মালদা নয় মুর্শিদাবাদে ছড়িয়েছে ইয়াবা চক্রের জাল। সেখানেও তৈরি হয়েছে মিডিল ম্যান। তারা বাংলাদেশী মাদক কারবারীদের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে পৌছে দিচ্ছে কলকাতায়। কারিফুলরা স্পেশাল টাস্কফোর্সকে জানায়, মসিবুর রহমান এবং আসাবুর রহমানের কথা। মসিবুর সুতির বাসিন্দা। আসাবুরের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ এলাকায়। তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করে তদন্তকারীরা। জানা যায়, ওই দুই ব্যক্তি প্রচুর ইয়াবা নিয়ে কলকাতায় আসছে। সেই সূত্রেই তাদের আজ সল্টলেক স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকায় থাকে গ্রেপ্তার করে STF। উদ্ধার হয় 10 কেজি 369 গ্রাম ইয়াবা। Conclusion:ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেট এর নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্বান্ত। সে দিক থেকে কলকাতাতেও আসছে এই মাদক। ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে। পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রনে। ইদানিং নাকি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন। মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কখনো আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের ইনহেল করা হয়। থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে। সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশ। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছে কলকাতায়। সম্প্রতি কলকাতায় পার্টি ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ইয়াবা। ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.