কলকাতা, 8 অগাস্ট : মাদক পাচারের চেষ্টায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (STF) ৷ তাদের কাছে 50 লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ৷ কলকাতার ইয়াবা চক্রের কিংপিনের খোঁজ মেলেনি এখনও । তবে, বাংলাদেশ থেকে আসা মাদকের মিডল ম্যানদের খোঁজ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স । সেইমতো তাদের উপর শুরু হয়েছিল নজরদারি । তদন্তে তারা জানতে পারে, আবার বড়সড় কন্সাইনমেন্টে কলকাতায় ইয়াবা ঢোকানোর চেষ্টা হবে । এবার কলকাতার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে । তাই রাখা হয়েছিল নজর । আর তাতেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স আর হাতে ধরা পড়ল ওই দুই মাদক পাচারকারী । তারা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গেছে ।
3 অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কলকাতায় আনা হয়েছিল ইয়াবা । গার্ডেনরিচে নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু কলকাতার কারবারিদের হাতে মাদক তুলে দেওয়ার আগেই STF গ্রেপ্তার করে দু'জনকে । তাদের নাম ইসমাইল হোসেন ও কারিফুল শেখ । ইসমাইলের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে । আর কারিফুল মালদার ইংলিশ বাজারের কমলাবাড়ির বাসিন্দা । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কমল হোসেন নামে আরও একজনের নাম জানতে পারে পুলিশ ৷ কমল মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা ।
কমল ও কারিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, শুধু মালদা নয় মুর্শিদাবাদে ছড়িয়েছে ইয়াবা চক্রের জাল । সেখানেও তৈরি হয়েছে মিডিল ম্যান । তারা বাংলাদেশি মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে কলকাতায় । কারিফুলরা জিজ্ঞাসাবাদে মসিবুর রহমান ও আসাবুর রহমান নামের দুই মিডিল ম্যানের কথা স্পেশাল টাস্কফোর্সকে জানায় ৷ এই মসিবুর সুতির বাসিন্দা । আর আসাবুরের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় । তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করে তদন্তকারীরা । জানা যায়, ওই দুই ব্যক্তি প্রচুর ইয়াবা নিয়ে কলকাতায় আসছে । সেই সূত্রেই তাদের গতকাল সল্টলেক স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করে STF । উদ্ধার হয় 10 কেজি 369 গ্রাম ইয়াবা । যার মূল্য 50 লাখ টাকা ৷
প্রসঙ্গত, ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড । বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেটের নেশায় প্রায় সর্বস্বান্ত । এবার কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ সূত্রে খবর, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণে । ইদানিং না কি আবার এই মাদকের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের সঙ্গে ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে । সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশ । তারপর সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছে কলকাতায় ।