ETV Bharat / state

2 কোটির ইয়াবা বাজেয়াপ্ত করল STF, গ্রেপ্তার 2

author img

By

Published : Nov 21, 2019, 3:32 PM IST

গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পায় যে, কলকাতায় মাদক চোরাচালান করা হবে । তারপর তা পাঠানো হবে বাংলাদেশে । সেই সূত্রে চলছিল নজরদারি । গতকাল দুপুরে হেস্টিংস থানা এলাকার বেকারি রোডে আটক করা হয় দুই সন্দেহভাজনকে । পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ।

ধৃত 2

কলকাতা, 21 নভেম্বর : ফের উদ্ধার ইয়াবা । বাজার মূল্য প্রায় 2 কোটি টাকা । ঘটনায় মুর্শিদাবাদের দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) ।

গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পায় যে, কলকাতায় মাদক চোরাচালান করা হবে । তারপর তা পাঠানো হবে বাংলাদেশে । দিন কয়েক আগে উত্তর 24 পরগনার কয়েকজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ । কিন্তু গোয়েন্দারা খবর পায়, এবার আর উত্তর 24 পরগনা নয় মুর্শিদাবাদ দিয়ে পাচার হবে মাদক । সেই সূত্রে চলছিল নজরদারি । গতকাল দুপুরে হেস্টিংস থানা এলাকার বেকারি রোডে আটক করা হয় দুই সন্দেহভাজনকে । তাদের নাম টিঙ্কু শেখ ও শেখ জামাল হোসেন । পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় । তাদের তল্লাশি করতে পাওয়া যায় 1 লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট । যার বাজার দর প্রায় 2 কোটি টাকা । ধৃত দুজনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকায় ।

yaba
উদ্ধার কার ইয়াবা

7 নভেম্বর সকাল দশটা নাগাদ তল্লাশি চালানো হয় একটি গাড়িতে । নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে মাদুরদহ-চৌবাগা রোডে থামানো হয় গাড়িটি । সেই সময় গাড়িতে ছিল উত্তর 24 পরগনার তিন মাদক পাচারকারী । তাদের নাম মেহের আলি, সিরাজুল শেখ এবং ইন্দ্রজিত দাস । ইন্দ্রজিৎ গাড়ি চালাচ্ছিল । পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রটির মাথা মেহের আলি । প্রথমে তাদের আটক করে পুলিশ । তারপর তল্লাশি চালানো হয় গাড়িটিতে । আর তাতেই মেলে 50 টি ইয়াবার প্যাকেট । পুলিশ এই মাদকচক্রের পান্ডার খোঁজ চালাচ্ছিল । জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেহেরকে । সেই সূত্রেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স খোঁজ পায় ইয়েমাম রিয়াজউদ্দিনের । তার বাড়ি মণিপুরের ইম্ফলের ওয়াংওই থানা এলাকায় । বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তারাতলা ট্রান্সপোর্ট ডিপোর সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় । তার কাছে উদ্ধার হয় 60 লাখ টাকা মূল্যের মাদক ।

ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড । এই মাদক ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ জানিয়েছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফাইনের মিশ্রণে । ইদানিং না কি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের সঙ্গে ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে । সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বলছে মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দিয়ে কলকাতায় আসছে পার্টি ড্রাগ । কখনও তা ব্যবহার করা হচ্ছে এই শহরেই । কখনও আবার তা চলে যাচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে ।

কলকাতা, 21 নভেম্বর : ফের উদ্ধার ইয়াবা । বাজার মূল্য প্রায় 2 কোটি টাকা । ঘটনায় মুর্শিদাবাদের দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) ।

গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পায় যে, কলকাতায় মাদক চোরাচালান করা হবে । তারপর তা পাঠানো হবে বাংলাদেশে । দিন কয়েক আগে উত্তর 24 পরগনার কয়েকজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ । কিন্তু গোয়েন্দারা খবর পায়, এবার আর উত্তর 24 পরগনা নয় মুর্শিদাবাদ দিয়ে পাচার হবে মাদক । সেই সূত্রে চলছিল নজরদারি । গতকাল দুপুরে হেস্টিংস থানা এলাকার বেকারি রোডে আটক করা হয় দুই সন্দেহভাজনকে । তাদের নাম টিঙ্কু শেখ ও শেখ জামাল হোসেন । পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় । তাদের তল্লাশি করতে পাওয়া যায় 1 লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট । যার বাজার দর প্রায় 2 কোটি টাকা । ধৃত দুজনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকায় ।

yaba
উদ্ধার কার ইয়াবা

7 নভেম্বর সকাল দশটা নাগাদ তল্লাশি চালানো হয় একটি গাড়িতে । নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে মাদুরদহ-চৌবাগা রোডে থামানো হয় গাড়িটি । সেই সময় গাড়িতে ছিল উত্তর 24 পরগনার তিন মাদক পাচারকারী । তাদের নাম মেহের আলি, সিরাজুল শেখ এবং ইন্দ্রজিত দাস । ইন্দ্রজিৎ গাড়ি চালাচ্ছিল । পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রটির মাথা মেহের আলি । প্রথমে তাদের আটক করে পুলিশ । তারপর তল্লাশি চালানো হয় গাড়িটিতে । আর তাতেই মেলে 50 টি ইয়াবার প্যাকেট । পুলিশ এই মাদকচক্রের পান্ডার খোঁজ চালাচ্ছিল । জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেহেরকে । সেই সূত্রেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স খোঁজ পায় ইয়েমাম রিয়াজউদ্দিনের । তার বাড়ি মণিপুরের ইম্ফলের ওয়াংওই থানা এলাকায় । বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তারাতলা ট্রান্সপোর্ট ডিপোর সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় । তার কাছে উদ্ধার হয় 60 লাখ টাকা মূল্যের মাদক ।

ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড । এই মাদক ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ জানিয়েছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফাইনের মিশ্রণে । ইদানিং না কি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের সঙ্গে ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে । সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বলছে মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দিয়ে কলকাতায় আসছে পার্টি ড্রাগ । কখনও তা ব্যবহার করা হচ্ছে এই শহরেই । কখনও আবার তা চলে যাচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে ।

Intro:কলকাতা, ২১ নভেম্বর: ফের শহরে উদ্ধার ইয়াবা। এবার প্রায় দুই কোটি টাকার মাদক। ঘটনায় মুর্শিদাবাদের 2 কুখ্যাত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।Body:গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, বড়োসড়ো মাদকের চোরাচালান হবে কলকাতায়। এই শহর থেকে মাদক নিয়ে পাঠানো হবে বাংলাদেশে। দিন কয়েক আগেই উত্তর 24 পরগনার কয়েকজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু গোয়েন্দারা খবর পায়, এবার আর উত্তর 24 পরগনা নয় মুর্শিদাবাদ দিয়ে পাচার হবে মাদক। সেই সূত্রে চলছিল নজরদারি। গতকাল দুপুরে হেস্টিংস থানা এলাকার বেকারি রোডে আটক করা হয় দুই সন্দেহভাজনকে। কাজের তল্লাশি করতে পাওয়া যায় 1 লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। যার বাজার দর প্রায় দুই কোটি টাকা। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের পর রাত সাড়ে দশটা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় টিংকু শেখ এবং শেখ জামাল হোসেনকে। দুজনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকায়।

গত 7 নভেম্বর সকাল দশটা নাগাদ তল্লাশি চালানো হয় একটি গাড়িতে। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে মাদুরদহ-চৌবাগা রোডে থামানো হয় গাড়িটি। সেই সময় গাড়িতে ছিল উত্তর 24 পরগনার তিন মাদক পাচারকারী। তাদের নাম মেহের আলি, সিরাজুল শেখ এবং ইন্দ্রজিত দাস। ইন্দ্রজিৎ গাড়ি চালাচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রটির মাথা মেহের আলি। প্রথমে তাদের আটক করে পুলিশ। তারপর তল্লাশি চালানো হয় গাড়িটিতে। আর তাতেই মেলে ৫০ টি প্যাকেট। এই প্যাকেটেই ছিল ইয়াবা।

পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছিল এই মাদকচক্রের পান্ডার। করা হচ্ছিল মেহেরকে। সেই সূত্রেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স খোঁজ পায় নং ইয়েমাম রিয়াজউদ্দিনের। তার বাড়ি মণিপুরের ইম্ফলের ওয়াংওই থানা এলাকায়। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তারাতলা ট্রান্সপোর্ট ডিপোর সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তার কাছে উদ্ধার হয় ৬০ লাখ টাকা মূল্যের মাদক।
Conclusion:ইয়াবার উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেট এর নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্বান্ত। সে দিক থেকে কলকাতাতেও আসছে এই মাদক। ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে। পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রনে। ইদানিং নাকি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন। মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কখনো আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের ইনহেল করা হয়। থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বলছে মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দিয়ে কলকাতায় আসছে পার্টি ড্রাগ। কখনো তা ব্যবহার করা হচ্ছে এই শহরেই। কখনো আবার কাজ চলে যাচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে। এই চক্রটির কলকাতার বন্দর এলাকা থেকে মাদক নিয়ে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করছে গোয়েন্দারা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.