ETV Bharat / state

বিরোধী শূন্যের হুঙ্কার ছেড়ে এখন তৃণমূলের গলায় বাম-কংগ্রেস না থাকার আফসোস - বাম-কংগ্রেস শূন্য বিধানসভা

গণতন্ত্রে একাধিক দল থাকলেই সেখানে বিধানসভার গরিমা বৃদ্ধি হয় । তাই আমি মনে করি এই বিধানসভায় একইভাবে সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত ছিল । বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় সচিব তাপস রায় ।

West Bengal Assembly Session
ছবি
author img

By

Published : Jul 6, 2021, 9:47 PM IST

Updated : Jul 6, 2021, 10:20 PM IST

কলকাতা, 6 জুলাই : একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের গলাতেই বিরোধীশূন্য করার কথা শোনা যেত । এখন সেই শাসকের গলাতেই উল্টো সুর । এখন রাজ্যের শাসক দল মনে করছে বহু দলীয় রাজনীতিতে একাধিক দলের উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন । আর তাই এই রাজ্যের মাটিতে থাকা প্রয়োজন বিরোধী দলগুলির ।

ঘটনার সূত্রপাত বিধানসভার বিধান পরিষদ নিয়ে প্রস্তাবের আলোচনায় । গোঘাটের বিধায়ক যিনি এক সময় বামপন্থী ছিলেন, তাঁর গলাতেই এদিন শোনা যায় বুদ্ধবাবুর 235-এর অহম বোধের জন্য আজ বিধানসভা সিপিএম শূন্য । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাতে সমর্থন জানিয়ে বলেন, গত বিধানসভায় মাত্র দু'টি আসন থেকে এবার জনগণ আমাদের 75-এ নিয়ে এসেছেন । আবার বাম-কংগ্রেসের মতো প্রবল শক্তি, যারা পশ্চিমবঙ্গের পরিষদীয় রাজনীতিতে প্রথমদিন থেকেই ছিল, তারা আজ শুন্য হয়ে গিয়েছে ।

শুভেন্দুর মতে, এসব রাজ্যের মানুষের বিজেপির প্রতি ভালবাসা ছাড়া আর কি ! যদিও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একমত নয়, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস । তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় সচিব তথা বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, "বিজেপি সিপিএম-কংগ্রেস শূন্য বিধানসভা চাইলেও, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তা চায় না । গণতন্ত্রে একাধিক দল থাকলেই সেখানে বিধানসভার গরিমা বৃদ্ধি হয় । তাই আমি মনে করি এই বিধানসভায় একইভাবে সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত ছিল ।"

আরও পড়ুন : বিধানসভায় তপ্ত মমতা, ফের উস্কে দিলেন বিজেপি-কমিশন আঁতাতের অভিযোগ

একই কথা শোনা যায় রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও । শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, "সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে । কিন্তু পরিষদীয় রাজনীতিতে তারা থাকবে না, এমনটা আমরা চাই না । এটা বহুদলীয় গণতন্ত্র । কাজেই বিরোধী আসনে সিপিএম বা কংগ্রেস থাকলে ভাল হত । আমরা সকলকে নিয়ে চলার পক্ষপাতী । সব দলের মতকে গুরুত্ব দিয়েই আমরা চলি ।"

এসব আলোচনার মধ্যেই অদ্ভুত ঘটনা ঘটল । জোট ধর্ম পালন করে বিধানসভায় সিপিএমের রেড ভলেন্টিয়ারের কাজের প্রশংসা করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । বললেন, "করোনা আবহে যেভাবে তারা কাজ করছে, দেশ ও দেশের বাইরেও তাদের প্রশংসা হচ্ছে ।" রাজনৈতিক মহলের মতে এভাবেই জোট সঙ্গীকে বিধানসভার চৌহদ্দিতে বাঁচিয়ে রাখলেন নওশাদ । প্রতিনিধিত্ব না থেকেও বিধানসভার আলোচনায় থাকল সিপিএম-কংগ্রেস ।

যদিও এদিন শাসকদলের এই বক্তব্যকে সেভাবে আমল দিতে চাইছে না সিপিএম নেতৃত্ব । তৃণমূলের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রাক্তন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এ রাজ্যে বিজেপির জন্য জায়গা করে দিয়েছে তো তৃণমূলই । তাই রাজ্যের শাসকদলের এই কুম্ভীরাশ্রু অর্থহীন । অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, "আজ তৃণমূল নেতাদের গলায় একথা শুনে ভাল লাগছে । তবে তৃণমূলের বোধোদয়ে কিছুটা দেরি হয়ে গেল ।"

কলকাতা, 6 জুলাই : একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের গলাতেই বিরোধীশূন্য করার কথা শোনা যেত । এখন সেই শাসকের গলাতেই উল্টো সুর । এখন রাজ্যের শাসক দল মনে করছে বহু দলীয় রাজনীতিতে একাধিক দলের উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন । আর তাই এই রাজ্যের মাটিতে থাকা প্রয়োজন বিরোধী দলগুলির ।

ঘটনার সূত্রপাত বিধানসভার বিধান পরিষদ নিয়ে প্রস্তাবের আলোচনায় । গোঘাটের বিধায়ক যিনি এক সময় বামপন্থী ছিলেন, তাঁর গলাতেই এদিন শোনা যায় বুদ্ধবাবুর 235-এর অহম বোধের জন্য আজ বিধানসভা সিপিএম শূন্য । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাতে সমর্থন জানিয়ে বলেন, গত বিধানসভায় মাত্র দু'টি আসন থেকে এবার জনগণ আমাদের 75-এ নিয়ে এসেছেন । আবার বাম-কংগ্রেসের মতো প্রবল শক্তি, যারা পশ্চিমবঙ্গের পরিষদীয় রাজনীতিতে প্রথমদিন থেকেই ছিল, তারা আজ শুন্য হয়ে গিয়েছে ।

শুভেন্দুর মতে, এসব রাজ্যের মানুষের বিজেপির প্রতি ভালবাসা ছাড়া আর কি ! যদিও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একমত নয়, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস । তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় সচিব তথা বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, "বিজেপি সিপিএম-কংগ্রেস শূন্য বিধানসভা চাইলেও, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তা চায় না । গণতন্ত্রে একাধিক দল থাকলেই সেখানে বিধানসভার গরিমা বৃদ্ধি হয় । তাই আমি মনে করি এই বিধানসভায় একইভাবে সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত ছিল ।"

আরও পড়ুন : বিধানসভায় তপ্ত মমতা, ফের উস্কে দিলেন বিজেপি-কমিশন আঁতাতের অভিযোগ

একই কথা শোনা যায় রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও । শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, "সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে । কিন্তু পরিষদীয় রাজনীতিতে তারা থাকবে না, এমনটা আমরা চাই না । এটা বহুদলীয় গণতন্ত্র । কাজেই বিরোধী আসনে সিপিএম বা কংগ্রেস থাকলে ভাল হত । আমরা সকলকে নিয়ে চলার পক্ষপাতী । সব দলের মতকে গুরুত্ব দিয়েই আমরা চলি ।"

এসব আলোচনার মধ্যেই অদ্ভুত ঘটনা ঘটল । জোট ধর্ম পালন করে বিধানসভায় সিপিএমের রেড ভলেন্টিয়ারের কাজের প্রশংসা করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । বললেন, "করোনা আবহে যেভাবে তারা কাজ করছে, দেশ ও দেশের বাইরেও তাদের প্রশংসা হচ্ছে ।" রাজনৈতিক মহলের মতে এভাবেই জোট সঙ্গীকে বিধানসভার চৌহদ্দিতে বাঁচিয়ে রাখলেন নওশাদ । প্রতিনিধিত্ব না থেকেও বিধানসভার আলোচনায় থাকল সিপিএম-কংগ্রেস ।

যদিও এদিন শাসকদলের এই বক্তব্যকে সেভাবে আমল দিতে চাইছে না সিপিএম নেতৃত্ব । তৃণমূলের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রাক্তন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এ রাজ্যে বিজেপির জন্য জায়গা করে দিয়েছে তো তৃণমূলই । তাই রাজ্যের শাসকদলের এই কুম্ভীরাশ্রু অর্থহীন । অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, "আজ তৃণমূল নেতাদের গলায় একথা শুনে ভাল লাগছে । তবে তৃণমূলের বোধোদয়ে কিছুটা দেরি হয়ে গেল ।"

Last Updated : Jul 6, 2021, 10:20 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.