ETV Bharat / state

প্রকাশ্যে বিক্রি 'নিষিদ্ধ' তামাক, ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা

author img

By

Published : Feb 13, 2021, 9:43 PM IST

সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তামাক জাত বস্তু বিক্রির উপর । কিন্তু পান মশলার দোকানগুলি দেখলে তা বোঝার উপায় নেই । দোকানিরাও বিক্রি করছেন... আর খদ্দেরও জুটে যাচ্ছে ।

Tobacco sale in West Bengal
পশ্চিমবঙ্গে তামাক বিক্রি

কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি : সত্যিই কি পশ্চিমবঙ্গে গুটকা এবং তামাকজাতীয় পদার্থ নিষিদ্ধ হয়েছে ? কারণ 2019 সালের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের জারি করা একটি নোটিশে বলা হয়েছিল রাজ্যে তামাক জাতীয় বস্তু নিষিদ্ধ করা হচ্ছে । কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শহরের বেশিরভাগ পান মশলা দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গুটকা । যাঁরা গুটকা বিক্রেতা তাঁরা সরাসরি সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে বলছে যে, সরকার থেকে এই জিনিসগুলি তৈরি করাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে । ফলে আমরা দোকানের রাখছি । গ্রাহকের চাহিদা রয়েছে । পাশাপাশি যাঁরা গুটকা সেবন করছেন, তাঁরা আবার দোষ চাপাচ্ছেন দোকানদারদের উপর । বলছেন, যদি গুটকা বিক্রি হয় তাহলে তো আমরা কিনবই । সরকার থেকে উচিত বন্ধ করে দেওয়া, যাতে দোকানেও আর পাওয়া না যায় । তাহলে আর আমরা কিনতেও পারব না।

অবাধে রাস্তার ধারে ধারে দোকানগুলিতে বিক্রি হচ্ছে গুটকা এবং পান মশলা, চুইংগাম জাতীয় নেশার সামগ্রী । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক জানান, "চুইং টোবাকোগুলি আইন মোতাবেক খাদ্য সামগ্রীর তালিকাভুক্ত । তাই এক বছরের বেশি নিষিদ্ধ করা যায় না । প্রতিবছর রিনিউ করতে হয় এই নিষেধাজ্ঞা ।"

নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার বিকোচ্ছে তামাক

আরও পড়ুন : বছরে 550 কোটির তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি হয় পশ্চিম বর্ধমানে

তবে এই বিষয়ে চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি, "ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি ওরাল ক্যান্সারের শিকার হন । কারণ, এতটাই ভয়াবহ টোবাকো । তামাক জাতীয় সমস্ত ধরনের বস্তু নিষিদ্ধ হলে ওরাল ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ কিছুটা হলেও পশ্চিমবঙ্গে আয়ত্তে আনা যায় ।

এই বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের এক আধিকারিক বলেন , "করোনাকালে যাতে কমপ্লিট সেফটি রেজিস্ট্রেশন আইন লঙ্ঘন না হয় তার জন্য কলকাতার প্রতিটি থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে । কলকাতার আনাচ-কানাচ থেকে রোজই গড়ে 10 থেকে 12 জন গুটকা এবং তামাক জাতীয় জিনিস সেবন করে রাস্তায় থুথু ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার হচ্ছে ।"

কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি : সত্যিই কি পশ্চিমবঙ্গে গুটকা এবং তামাকজাতীয় পদার্থ নিষিদ্ধ হয়েছে ? কারণ 2019 সালের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের জারি করা একটি নোটিশে বলা হয়েছিল রাজ্যে তামাক জাতীয় বস্তু নিষিদ্ধ করা হচ্ছে । কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শহরের বেশিরভাগ পান মশলা দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গুটকা । যাঁরা গুটকা বিক্রেতা তাঁরা সরাসরি সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে বলছে যে, সরকার থেকে এই জিনিসগুলি তৈরি করাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে । ফলে আমরা দোকানের রাখছি । গ্রাহকের চাহিদা রয়েছে । পাশাপাশি যাঁরা গুটকা সেবন করছেন, তাঁরা আবার দোষ চাপাচ্ছেন দোকানদারদের উপর । বলছেন, যদি গুটকা বিক্রি হয় তাহলে তো আমরা কিনবই । সরকার থেকে উচিত বন্ধ করে দেওয়া, যাতে দোকানেও আর পাওয়া না যায় । তাহলে আর আমরা কিনতেও পারব না।

অবাধে রাস্তার ধারে ধারে দোকানগুলিতে বিক্রি হচ্ছে গুটকা এবং পান মশলা, চুইংগাম জাতীয় নেশার সামগ্রী । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক জানান, "চুইং টোবাকোগুলি আইন মোতাবেক খাদ্য সামগ্রীর তালিকাভুক্ত । তাই এক বছরের বেশি নিষিদ্ধ করা যায় না । প্রতিবছর রিনিউ করতে হয় এই নিষেধাজ্ঞা ।"

নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার বিকোচ্ছে তামাক

আরও পড়ুন : বছরে 550 কোটির তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি হয় পশ্চিম বর্ধমানে

তবে এই বিষয়ে চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি, "ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি ওরাল ক্যান্সারের শিকার হন । কারণ, এতটাই ভয়াবহ টোবাকো । তামাক জাতীয় সমস্ত ধরনের বস্তু নিষিদ্ধ হলে ওরাল ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ কিছুটা হলেও পশ্চিমবঙ্গে আয়ত্তে আনা যায় ।

এই বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের এক আধিকারিক বলেন , "করোনাকালে যাতে কমপ্লিট সেফটি রেজিস্ট্রেশন আইন লঙ্ঘন না হয় তার জন্য কলকাতার প্রতিটি থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে । কলকাতার আনাচ-কানাচ থেকে রোজই গড়ে 10 থেকে 12 জন গুটকা এবং তামাক জাতীয় জিনিস সেবন করে রাস্তায় থুথু ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার হচ্ছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.