কলকাতা, 5 জানুয়ারি : বাইক চালকদের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছে মা উড়ালপুল । এই উড়ালপুলের আওতায় কলকাতার চারটি থানা আছে । কড়েয়া, তিলজলা, তপসিয়া, প্রগতি ময়দান থানা ।
এর মধ্যে তিলজলা এবং তপসিয়া থানা এলাকায় মা উড়ালপুলের নিচ থেকে চিনা মাঞ্জা ব্যবহার করে ঘুড়ি ওড়ানো হয়, যা পুরোপুরি নিষিদ্ধ । আর তার ফলে একাধিক বাইক চালক কখনও না কখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছেন (Accident in maa flyover) । কারও গলা কেটেছে, কারও বা নাক । এই মাঞ্জা সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল লালবাজার ।
লালবাজার সূত্রের খবর, এবার ব্যস্ত সময় বিশেষত সকালে অফিস টাইম এবং সন্ধের সময় মা উড়ালপুলের অধীনে তিনটি থানা এলাকায় কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কনস্টেবল এবং সার্জেন্ট পদমর্যাদার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে । সাধারণত তিলজলা আর তপসিয়া অঞ্চল থেকেই সবচেয়ে বেশি ঘুড়ি ওড়ে ৷ কোনও দুর্ঘটনা হলে আহত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে পিজি হাসপাতালের কাছে রাখা হবে কলকাতা পুলিশের একটি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স । চিনা মাঞ্জা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীদের ।
আরও পড়ুন : Bike Rider Injured on Maa Flyover : মা উড়ালপুলে ফের চিনা মাঞ্জায় জখম বাইক আরোহী
এর সঙ্গে তিলজলা এবং তপসিয়া এলাকায় ঘুড়ির দোকানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন থানার আধিকারিকেরা । ওই এলাকায় লুকিয়ে চলে চিনা মাঞ্জার ব্যবসা ৷ কেউ এই ঘাতক মাঞ্জা ব্যবহার করছে বা বিক্রি করছে, এমন ঘটনা সামনে এলে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করা হবে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, "চিনা মাঞ্জার প্রকোপ কমানোর জন্য তিন জেলায় এবং তপসিয়ার দিকে মা উড়ালপুলের উপর কাঁটাতার দেওয়া হয়েছিল । মনে করা হয়েছিল, এতে কাঁটাতারে চিনা মাঞ্জা লেগে সুতো কেটে যাবে এবং রেহাই পাবেন বাইক চালকরা ।" কিন্তু ওই কাঁটাতারে কোনও কাজই হচ্ছে না, অভিযোগ পুলিশের ।