কলকাতা, 18 নভেম্বর: সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাক্ষাৎ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির সঙ্গে । সেই সাক্ষাৎ নিয়ে কংগ্রেসকে তুলধনা করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । তার পালটা জবাবে সেলিমকে মীরজাফর বলে আক্রমণ করলেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম ।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ওঁর মাথা ব্যাথা কেন ? উনি কি ইন্ডিয়া জোট ভাঙার চক্রান্তে জড়িত হতে পড়ছেন ? এখানে ইন্ডিয়া জোট ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ৷ তাই সেটা ভাঙার জন্য মীরজাফরের কাজ করছেন !’’
উল্লেখ্য, অভিষেক ও রাহুলের সাক্ষাৎ নিয়ে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে সেলিমকে ৷ শুক্রবার বামেদের ইনসাফ যাত্রার মাঝেই কংগ্রেসকে তিনি এই নিয়ে কটাক্ষ করেন । সেলিম বলেন, ‘‘রাহুলের সঙ্গে দেখা করেও নিজেকে বাঁচাতে পারবেন না । আমরা বলছি চোর ধরো জেল ভরো । আর চোর গিয়ে কংগ্রেস নেতার পা ধরছেন । 2011 সালের কংগ্রেস সমর্থন না করলে মমতা ক্ষমতায় আসতেন না । কংগ্রেসের হাত ধরে মহাকরণে এসে ছয় মাস পর থেকে কংগ্রেস ভাঙিয়াছেন । কেউ দেখে শেখে, কেউ ঠেকে শেখে৷ বাংলার কংগ্রেসকে বুঝতে হবে ।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে সিপিএম ও তৃণমূল যুযুধান দুইপক্ষ ৷ অথচ জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে হারাতে যে ইন্ডিয়া জোট হয়েছে, সেখানে তৃণমূল ও সিপিএম দুই দলই আছে । ফলে প্রশ্ন উঠছে যে রাজ্যে তাহলে এই জোটের সমীকরণ কী হবে ? সিপিএম অবশ্য বারবার রাজ্যে তৃণমূল বিরোধিতায় সরব ৷ কিন্তু কংগ্রেস এই রাজ্যে সিপিএমের বন্ধু ৷ আবার জাতীয়স্তরের কথা ভেবে তারা তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলছে ৷ সেই সখ্যতারই ছবি উঠে আসে রাহুল ও অভিষেকের বৈঠকে ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে সিপিএম তৃণমূল বিরোধিতা বজায় রাখতেই চড়া সুরে বারবার আক্রমণ করছে ৷
এদিকে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যুবকের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিজেপি মরা ধরা রাজনীতি করছে । কেউ এমনিই হয়তো মারা গিয়েছে । তার তদন্ত হচ্ছে । যেকোনও মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক । বিজেপির আন্দোলনের পথ পাচ্ছে না ৷ তাই মরা ধরছে ৷
আরও পড়ুন: