কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: বিধানসভা চত্বরে ও তার বাইরে ‘মমতা চোর’ স্লোগান তুলেছে বিজেপি ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই চোর বলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে স্লোগান তুলছেন বিজেপি বিধায়করা ৷ এই নিয়ে সোমবার বিরোধী দলনেতাকে পালটা জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত পকেটমারের সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷
পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য এ দিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তার আগে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল, ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের ভবিষ্যৎ-সহ একাধিক ইস্যুতে সরব হন ৷ তার মধ্যেই তাঁকে বিরোধী দলনেতার তরফে তোলা দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের প্রসঙ্গ আসে ৷
যা শুনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে চোর-চোর করে চিৎকার করে, তাকে কাগজে মুড়ে টিভির পর্দায় দু’হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে ৷ ...ছোটবেলায় শুনতাম... পকেটমার হইতে সাবধান ৷ রাস্তায়, ভিড়ে বা বাসে যে চুরি করে, সে কিছুটা দূরে গিয়ে চোর চোর করে চিৎকার করে ৷ এগুলো হচ্ছে সেই পকেটমার ৷ নিজেরা পকেটমেরে চোর চোর বলে চিৎকার করে ৷ বাঙালি যদি ভাবে তাহলে মেলাতে পারবে ৷’’
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘...বিজেপির নেতারা হচ্ছে এই পকেটমার ৷ তৃণমূলের যাদের চোর বলছে, তাদের টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা যায়নি ৷ বিজেপির লোকেদের দেখা গিয়েছে ৷...যে কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিল, সে কি ধোয়া তুলসিপাতা আজ বিজেপিতে গিয়েছে বলে !’’
পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের সরকারের পতন হবে বলেও যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সেই নিয়েও জবাব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, ‘‘উনি স্পষ্টত ইঙ্গিত করতে চাইছেন যে সরকার ভেঙে দেবেন ৷ উনি যদি মনে করেন, মানুষের জনমত ভেঙে দিয়ে সফল হবেন, চেষ্টা করে দেখুক, তার জবাব মানুষ দেবেন ৷ চেষ্টা করতে বা বড় বড় ভাষণ দিতে ট্যাক্স লাগে না ৷...24-এর নির্বাচনের আগে বাজার গরম করছেন ৷’’
অভিষেকের সামনে এ দিন রাম মন্দির ও বিজেপির সাফল্যের প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যারা ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করে, আমি মনে করি, তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া ৷ রামমন্দির উদ্বোধনের ঠিক দু‘মাস আগে বা রামমন্দিরকে ঢাল করে যারা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইছে, আমি মনে করি এই রাজনীতি দীর্ঘমেয়াদী হয় না ৷ মানুষ জানে ৷...উন্নয়ন বাদ দিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের রাজনৈতিক পতন সময়ের অপেক্ষা ৷’’
এছাড়া এ দিন মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গেও তিনি আবারও জানান যে জোর করে সদস্যপদ খারিজ করার চক্রান্ত করছে বিজেপি ৷ মহুয়া এই নিয়ে নিজের লড়াই নিজেই লড়ছেন ৷ ঠিক যেমন তিনি ও তাঁর স্ত্রী গত সাড়ে তিন বছর ধরে ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন ৷
আরও পড়ুন: