ETV Bharat / state

TMC Bijaya Sammilani: 12 দিনে হাজার বিজয়া সম্মিলনী, জনভিত্তিতে শান তৃণমূলের

12 দিনে এক হাজার বিজয়া সম্মিলনীর (Bijaya Sammilani) আয়োজন করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Public Relations)৷ বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমেই উৎসবের মরশুমে রাজনীতির মঞ্চে না থেকেও জনসংযোগ বাড়িয়ে নেওয়ায় (TMC Bijaya Sammilani) উদ্যোগী হল শাসক দল (One thousand Bijaya Sammilani in just 12 days)৷

TMC focuses on Public Relations, arranges one thousand Bijaya Sammilani in just 12 days
থাম্বনেইল
author img

By

Published : Oct 23, 2022, 1:46 PM IST

কলকাতা, 23 অক্টোবর: 12 দিনে হাজার (TMC Bijaya Sammilani)। জনসংযোগ রক্ষার প্রচেষ্টায় বিরোধীদের পেছনে ফেলল শাসক তৃণমূল (TMC Public Relations)। এ বার দুর্গা পুজোর আগে থেকেই বেশ চাপে ছিল বাংলার শাসক দল । সিবিআই-ইডি-সহ কেন্দ্রীয় সংস্থার সক্রিয়তা যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক তৃণমূলকে একটু ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল, তখন তারা ফিরে আসার রাস্তা হিসাবে এই বিজয়া সম্মিলনীকেই (Bijaya Sammilani) অস্ত্র করেছিল । ভাবমূর্তি উদ্ধারে এই জনসংযোগ কর্মসূচিকেই বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিল দল । দলের তরফ থেকে ঠিক করা হয়েছিল, গোটা রাজ্যে 500-র বেশি বিজয়া সম্মিলনী করা হবে । রবিবার পর্যন্ত সেই হিসেব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, এই বিজয়া সম্মিলনীর সংখ্যা 1000 ছাড়িয়ে গিয়েছে । আর এই বিজয়া সম্মিলনীগুলি থেকেই নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সংগ্রহ করে নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল (One thousand Bijaya Sammilani in just 12 days)।

দলের এক শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস যে কোনও ধরনের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত । অনেকেই মনে করছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সক্রিয়তার কারণে রাজ্যের শাসক দল নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে । আর অনেক বেশি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি করছে বিরোধী দলগুলি । কিন্তু বাস্তব তা নয় । উৎসবের দিনগুলিতে তৃণমূল সরাসরি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চায় না । আর সে কারণেই এই জনসংযোগ কর্মসূচি । আর সরাসরি রাজপথে না নেমেও এ ভাবে মানুষের দরজায় পৌঁছে যাওয়ার এটা ছিল একটা কৌশল । যেখানে এলাকার চেনা মুখ ও নেতাদের মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া যাবে ।

আরও পড়ুন: বিজয়া সম্মিলনীকে হাতিয়ার করে জনসংযোগে জোর বিজেপির

সবচেয়ে বড় কথা, এই বিজয়া সম্মিলনীগুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপস্থিত ছিলেন না দলের দুই শীর্ষ মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । একদিকে অভিষেক অসুস্থতার কারণে বিদেশে ৷ আর মমতা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত । কাজেই কখনও কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরা ধাপে ধাপে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে এই কর্মসূচিগুলিতে অংশগ্রহণ করেছেন এবং অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই কৌশলে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন দলের তৃণমূল স্তরে ।

এ বারের এই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চকেই দল ব্যবহার করছে পুরনো সৈনিকদের আবার সক্রিয় করার জন্য । কম-বেশি সব বিজয়া সম্মিলনীতেই পুরনোদের সংবর্ধনা দিয়ে তাঁদের সক্রিয় হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে । একইসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যে কর্মীরা বসে গিয়েছেন তাঁদের আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে । মোটের উপর বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও নিঃশব্দে পুজোর মধ্যেও সংগঠন গোছানোর কাজ করছে তৃণমূল ।

কলকাতা, 23 অক্টোবর: 12 দিনে হাজার (TMC Bijaya Sammilani)। জনসংযোগ রক্ষার প্রচেষ্টায় বিরোধীদের পেছনে ফেলল শাসক তৃণমূল (TMC Public Relations)। এ বার দুর্গা পুজোর আগে থেকেই বেশ চাপে ছিল বাংলার শাসক দল । সিবিআই-ইডি-সহ কেন্দ্রীয় সংস্থার সক্রিয়তা যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক তৃণমূলকে একটু ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল, তখন তারা ফিরে আসার রাস্তা হিসাবে এই বিজয়া সম্মিলনীকেই (Bijaya Sammilani) অস্ত্র করেছিল । ভাবমূর্তি উদ্ধারে এই জনসংযোগ কর্মসূচিকেই বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিল দল । দলের তরফ থেকে ঠিক করা হয়েছিল, গোটা রাজ্যে 500-র বেশি বিজয়া সম্মিলনী করা হবে । রবিবার পর্যন্ত সেই হিসেব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, এই বিজয়া সম্মিলনীর সংখ্যা 1000 ছাড়িয়ে গিয়েছে । আর এই বিজয়া সম্মিলনীগুলি থেকেই নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সংগ্রহ করে নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল (One thousand Bijaya Sammilani in just 12 days)।

দলের এক শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস যে কোনও ধরনের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত । অনেকেই মনে করছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সক্রিয়তার কারণে রাজ্যের শাসক দল নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে । আর অনেক বেশি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি করছে বিরোধী দলগুলি । কিন্তু বাস্তব তা নয় । উৎসবের দিনগুলিতে তৃণমূল সরাসরি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চায় না । আর সে কারণেই এই জনসংযোগ কর্মসূচি । আর সরাসরি রাজপথে না নেমেও এ ভাবে মানুষের দরজায় পৌঁছে যাওয়ার এটা ছিল একটা কৌশল । যেখানে এলাকার চেনা মুখ ও নেতাদের মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া যাবে ।

আরও পড়ুন: বিজয়া সম্মিলনীকে হাতিয়ার করে জনসংযোগে জোর বিজেপির

সবচেয়ে বড় কথা, এই বিজয়া সম্মিলনীগুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপস্থিত ছিলেন না দলের দুই শীর্ষ মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । একদিকে অভিষেক অসুস্থতার কারণে বিদেশে ৷ আর মমতা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত । কাজেই কখনও কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরা ধাপে ধাপে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে এই কর্মসূচিগুলিতে অংশগ্রহণ করেছেন এবং অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই কৌশলে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন দলের তৃণমূল স্তরে ।

এ বারের এই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চকেই দল ব্যবহার করছে পুরনো সৈনিকদের আবার সক্রিয় করার জন্য । কম-বেশি সব বিজয়া সম্মিলনীতেই পুরনোদের সংবর্ধনা দিয়ে তাঁদের সক্রিয় হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে । একইসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যে কর্মীরা বসে গিয়েছেন তাঁদের আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে । মোটের উপর বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও নিঃশব্দে পুজোর মধ্যেও সংগঠন গোছানোর কাজ করছে তৃণমূল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.