ETV Bharat / state

এর আগেও একাধিকবার খুনের চেষ্টা হয়েছে BJP নেতাকে - Titagarh murder

ব‍্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম নেতা তড়িৎবরণ তোপদারের হাত ধরে উত্থান মণীশ শুক্লার ।

মণীশ শুক্লা খুন ও খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত, জানাল রাজ্য পুলিশ
মণীশ শুক্লা খুন ও খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত, জানাল রাজ্য পুলিশ
author img

By

Published : Oct 5, 2020, 1:39 PM IST

কলকাতা, 5 অক্টোবর : খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল মণীশ শুক্লার বিরুদ্ধে ৷ টিটাগড়ে BJP নেতা খুনে নীরবতা ভেঙে জানালে রাজ্য পুলিশ ৷ রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তি কয়েকটি হত্যা এবং হত্যার চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ৷

মণীশ শুক্লা । স্থানীয়রা বলেন, ব‍্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম নেতা তড়িৎবরণ তোপদারের হাত ধরে উত্থান । প্রাক্তন এই সাংসদের ভোট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন মণীশ । কিন্তু এই দশকের শুরু থেকে তড়িতের সঙ্গে মণীশের দূরত্ব তৈরি হয় । তিনি ক্রমশ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন । যদিও কেউ কেউ বলেন, অর্জুনের ঘনিষ্ঠ হয়েও তড়িতের হয়ে ভোট করাতেন তিনি । পরে 2006-07 সালে তড়িৎ ঘনিষ্ঠ CPI(M)-এর জোনাল কমিটির সম্পাদককে মারধরের ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর । তারপর থেকেই মণীশ হয়ে ওঠেন "ওয়ান্টেড"। এই সময় তিনি নাম লেখান তৃণমূলের খাতায় । 2009 সালে লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর হয়ে ময়দানে নামেন মণীশ । তাঁর দলবল সেই ভোটে দীনেশকে জেতানোর শপথ নিয়েছিল । উত্তর 24 পরগনা তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতির হাত ধরে 2011 সালের পর থেকে তিনি হয়ে ওঠেন বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের ঘনিষ্ঠ ।

আরও পড়ুন : সোশাল মিডিয়ায় দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য থেকে বিরত থাকার অনুরোধ রাজ্য পুলিশের

কিন্তু গত পৌর নির্বাচনে তৃণমূল তাঁকে দলীয় প্রতীক না দেওয়ায় দূরত্ব বাড়ে । টিটাগড় মিউনিসিপ্যালিটিতে দু'টি আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মণীশ । বলাই বাহুল্য দু'টি আসন থেকেই জেতেন । পরে ফিরে আসেন তৃণমূলে । কিন্তু অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে সখ্যতা রয়েই গেছিল । অর্জুন BJP-তে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্যারাকপুরে এঁটে উঠতে পারছিলেন না মণীশ । শিল্পাঞ্চলে এমনই কানাঘুষো ছিল । সেই সূত্র ধরেই তিনি নাকি অর্জুনের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন । তারপর থেকে ব্যারাকপুরে BJP-র "বাহুবলী" নেতা হিসেবে দ্রুত পরিচিতি পেতে শুরু করেন । শিল্পাঞ্চলে অর্জুন সিংয়ের যে কোনও কর্মসূচিতে মণীশ শুক্লাকে সামনে সারিতে দেখা যেত ।

আরও পড়ুন : রাজ্যের যা অবস্থা তাতে 356 জারি হওয়া উচিত : বাবুল সুপ্রিয়

মণীশকে এর আগেও একাধিকবার খুনের চেষ্টা করা হয়েছে । 2019 সালে শেষবার তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল । টিটাগড়েই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় । কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সে যাত্রা বেঁচে যান । ব্যারাকপুর পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে বেশ কয়েকটি খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হন মণীশ ।

কলকাতা, 5 অক্টোবর : খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল মণীশ শুক্লার বিরুদ্ধে ৷ টিটাগড়ে BJP নেতা খুনে নীরবতা ভেঙে জানালে রাজ্য পুলিশ ৷ রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তি কয়েকটি হত্যা এবং হত্যার চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ৷

মণীশ শুক্লা । স্থানীয়রা বলেন, ব‍্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম নেতা তড়িৎবরণ তোপদারের হাত ধরে উত্থান । প্রাক্তন এই সাংসদের ভোট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন মণীশ । কিন্তু এই দশকের শুরু থেকে তড়িতের সঙ্গে মণীশের দূরত্ব তৈরি হয় । তিনি ক্রমশ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন । যদিও কেউ কেউ বলেন, অর্জুনের ঘনিষ্ঠ হয়েও তড়িতের হয়ে ভোট করাতেন তিনি । পরে 2006-07 সালে তড়িৎ ঘনিষ্ঠ CPI(M)-এর জোনাল কমিটির সম্পাদককে মারধরের ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর । তারপর থেকেই মণীশ হয়ে ওঠেন "ওয়ান্টেড"। এই সময় তিনি নাম লেখান তৃণমূলের খাতায় । 2009 সালে লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর হয়ে ময়দানে নামেন মণীশ । তাঁর দলবল সেই ভোটে দীনেশকে জেতানোর শপথ নিয়েছিল । উত্তর 24 পরগনা তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতির হাত ধরে 2011 সালের পর থেকে তিনি হয়ে ওঠেন বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের ঘনিষ্ঠ ।

আরও পড়ুন : সোশাল মিডিয়ায় দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য থেকে বিরত থাকার অনুরোধ রাজ্য পুলিশের

কিন্তু গত পৌর নির্বাচনে তৃণমূল তাঁকে দলীয় প্রতীক না দেওয়ায় দূরত্ব বাড়ে । টিটাগড় মিউনিসিপ্যালিটিতে দু'টি আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মণীশ । বলাই বাহুল্য দু'টি আসন থেকেই জেতেন । পরে ফিরে আসেন তৃণমূলে । কিন্তু অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে সখ্যতা রয়েই গেছিল । অর্জুন BJP-তে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্যারাকপুরে এঁটে উঠতে পারছিলেন না মণীশ । শিল্পাঞ্চলে এমনই কানাঘুষো ছিল । সেই সূত্র ধরেই তিনি নাকি অর্জুনের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন । তারপর থেকে ব্যারাকপুরে BJP-র "বাহুবলী" নেতা হিসেবে দ্রুত পরিচিতি পেতে শুরু করেন । শিল্পাঞ্চলে অর্জুন সিংয়ের যে কোনও কর্মসূচিতে মণীশ শুক্লাকে সামনে সারিতে দেখা যেত ।

আরও পড়ুন : রাজ্যের যা অবস্থা তাতে 356 জারি হওয়া উচিত : বাবুল সুপ্রিয়

মণীশকে এর আগেও একাধিকবার খুনের চেষ্টা করা হয়েছে । 2019 সালে শেষবার তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল । টিটাগড়েই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় । কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সে যাত্রা বেঁচে যান । ব্যারাকপুর পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে বেশ কয়েকটি খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হন মণীশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.