কলকাতা, 19 অক্টোবর: একদিকে পুজো যেমন আম বাঙালির জন্য বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব । একইভাবে সাধারণ শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের জন্য পুজো আয়ের বড় সম্বল । প্যান্ডেল শিল্পী থেকে প্রতিমা শিল্পী, এমনকী প্রতিমার সাজসজ্জার সঙ্গে জড়িত থাকা এমন বহু মানুষ সারা বছরভর অপেক্ষা করে এই কয়েকটা দিনের জন্য । দুর্গাপুজো রাজ্যের লোকপ্রসার শিল্পীদের জন্য একটা বড় আয়ের জায়গা ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে লোকপ্রসার শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বাউল, ঢাকি, ছৌ নাচের শিল্পী, আদিবাসী নৃত্যশিল্পী, গম্ভীরা পালাকার, পুতুল নাটকের দল, কালিকাপাতারির দল, ভাটিয়ালি গানের শিল্পীরা, ঘোড়ানাচ শিল্পীরা, রায়বেঁশে নৃত্যশিল্পীরা, সাঁওতালি নৃত্যশিল্পীরা ও ঝুমুর গানের দলের শিল্পীদের প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয় ৷
এবার পুজোর মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুজোর উদ্যোক্তাদের এই লোক শিল্পীদের ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন । সেই মতো তথ্য সংস্কৃতি দফতর সূত্রে খবর, ভালো সংখ্যক শিল্পীর কাজের সংস্থান হয়েছে এবারের পুজোয় । শহর ও শহরতলি মিলে প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি লোকপ্রসার শিল্পী এবার দুর্গাপুজোয় শহরমুখী হয়েছেন । আর তাতেই হাসি চওড়া হচ্ছে লোকপ্রসার শিল্পীদের ।
প্রসঙ্গত, দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ছোট-বড় অনেক পুজোয় সরকারের কাছ থেকে এই শিল্পীদের তালিকা চাওয়া হয় । তাদের চাহিদা মতো লোকপ্রসার শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়েছে । বাকিটা উদ্যোক্তা এবং শিল্পীদের নিজেদের ব্যাপার । ভালো লাগছে যে উৎসবের মরশুমে এই লোকপ্রসার শিল্পীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গিয়েছে ।
সারা বাংলা লোকপ্রসার ও শিল্পী শ্রমজীবী ফেডারেশনের থেকে অলোকেশ দাস বলেন, ‘‘এ বছর পুজোর বায়না অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটা ভালো । বিভিন্ন জেলা থেকে এবং শহর কলকাতা থেকেও পুজো উদ্যোক্তারা যোগাযোগ করছেন ।’’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে এটা সম্ভব হয়েছে বলে তাঁর দাবি ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চমীতে শহরে ঢাকির দল, বায়নার বাজার ঘিরে মিলল মিশ্র প্রতিক্রিয়া