ETV Bharat / state

Gariahat Murder Case : রক্তমাখা জামা ধোওয়ায় সন্দেহ, গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে গ্রেফতার পরিচারিকা - গড়িয়াহাট জোরা খুনে

খুনের ঘটনা ঘটানোর পর আততায়ী বা আততায়ীরা কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা বালিগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ঘটনার পর স্নিফার ডগ এনে ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সেখানেই দেখা যায় স্নিপার ডগ ঘর থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত যায়। এখান থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান আততায়ী বা আততায়ীরা খুনের ঘটনা ঘটানোর পর বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বেরিয়ে গিয়েছে। এর জন্য রেল পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

Gariahat Murder Case
রক্তমাখা জামা ধোওয়ায় সন্দেহ, গড়িয়াহাট জোরা খুনে গ্রেফতার পরিচারিকা
author img

By

Published : Oct 20, 2021, 9:40 PM IST

কলকাতা, 20 অক্টোবর : গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার সুবীর চাকির বাড়ির পরিচারিকা মিঠু হালদার। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাকে ৷ গত রবিবার গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। সেই সূত্রেই সুবীর চাকির বাড়ির পরিচারিকা ও সন্দেহভাজন দু'জনকে ডায়মন্ড হারবার থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা ৷ কথাবার্তার অসঙ্গতি থাকার তাদের লালবাজারে এনে জেরা করা হয়। তারপর পরিচারিকা মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷

এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা বলেন, "এই ঘটনায় আরও অনেকেই যুক্ত আছে ৷ প্রত্যকেই গ্রেফতার করতে হবে। তার পরই এই খুনের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।" তদন্তে নেমে পুলিশ জানাতে পারে, মৃত সুবীর চাকির পরিচিত এক মহিলা তাঁদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত ৷ যার বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার জেলার ডায়মন্ড হারবার থানার অধীনে। সেই মত এদিন লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের দুই অফিসার ডায়মন্ড হারবার থানায় গিয়ে ওই মহিলাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৷ ভাড়া বাড়িতে রক্তমাখা জামা ধুতে গিয়েই সব তথ্য সামনে আসে। পরিচারিকার খবর পেয়ে লালবাজারের গোয়েন্দারা এদিন মিঠুর ভাড়া বাড়িতে যান। বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেহ আরও প্রকট হয়।

লালবাজার সূত্রের খবর বাড়িওয়ালা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, টিভিতে তাঁরা দেখেন গড়িয়াহাটে জোড়া খুন হয়েছে। কাকতালীয়ভাবে সেদিন সকালেই মিঠু বাড়ির কল তলায় একটি রক্তমাখা জামা ধুচ্ছিল। সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। জিজ্ঞাসা করায় মিঠু জানায়, তার ছেলে ভাসানের সময় মারামারি করেছিল। তাতে জামায় রক্ত লেগেছিল, সেটাই সে ধুচ্ছে ৷ তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, নিরঞ্জনে কোনও মারামারির ঘটনা ঘটেনি ৷ এরপরই যাবতীয় সন্দেহ গিয়ে পড়ে মিঠুর উপর। এদিন সকালে ডায়মন্ড হারবার থানায় মিঠু ও তার পরিচিত দুই ব্যক্তিকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা। পরে মিঠুকে লালবাজারে ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কান্নায় ভেঙে পড়ে মিঠু। কিন্তু কী কারণে এই জোড়া খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয় গোয়েন্দাদের ৷

আরও পড়ুন : কাকুলিয়ার বাড়ি ছাড়াও সুবীর চাকির অন্যান্য সম্পত্তির দিকেও নজর ছিল আততায়ীদের

খুনের ঘটনা ঘটানোর পর আততায়ী বা আততায়ীরা কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা বালিগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ঘটনার পর স্নিফার ডগ এনে ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সেখানেই দেখা যায় স্নিপার ডগ ঘর থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত যায়। এখান থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান আততায়ী বা আততায়ীরা খুনের ঘটনা ঘটানোর পর বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বেরিয়ে গিয়েছে। এর জন্য রেল পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

কলকাতা, 20 অক্টোবর : গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার সুবীর চাকির বাড়ির পরিচারিকা মিঠু হালদার। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাকে ৷ গত রবিবার গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। সেই সূত্রেই সুবীর চাকির বাড়ির পরিচারিকা ও সন্দেহভাজন দু'জনকে ডায়মন্ড হারবার থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা ৷ কথাবার্তার অসঙ্গতি থাকার তাদের লালবাজারে এনে জেরা করা হয়। তারপর পরিচারিকা মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷

এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা বলেন, "এই ঘটনায় আরও অনেকেই যুক্ত আছে ৷ প্রত্যকেই গ্রেফতার করতে হবে। তার পরই এই খুনের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।" তদন্তে নেমে পুলিশ জানাতে পারে, মৃত সুবীর চাকির পরিচিত এক মহিলা তাঁদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত ৷ যার বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার জেলার ডায়মন্ড হারবার থানার অধীনে। সেই মত এদিন লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের দুই অফিসার ডায়মন্ড হারবার থানায় গিয়ে ওই মহিলাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৷ ভাড়া বাড়িতে রক্তমাখা জামা ধুতে গিয়েই সব তথ্য সামনে আসে। পরিচারিকার খবর পেয়ে লালবাজারের গোয়েন্দারা এদিন মিঠুর ভাড়া বাড়িতে যান। বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেহ আরও প্রকট হয়।

লালবাজার সূত্রের খবর বাড়িওয়ালা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, টিভিতে তাঁরা দেখেন গড়িয়াহাটে জোড়া খুন হয়েছে। কাকতালীয়ভাবে সেদিন সকালেই মিঠু বাড়ির কল তলায় একটি রক্তমাখা জামা ধুচ্ছিল। সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। জিজ্ঞাসা করায় মিঠু জানায়, তার ছেলে ভাসানের সময় মারামারি করেছিল। তাতে জামায় রক্ত লেগেছিল, সেটাই সে ধুচ্ছে ৷ তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, নিরঞ্জনে কোনও মারামারির ঘটনা ঘটেনি ৷ এরপরই যাবতীয় সন্দেহ গিয়ে পড়ে মিঠুর উপর। এদিন সকালে ডায়মন্ড হারবার থানায় মিঠু ও তার পরিচিত দুই ব্যক্তিকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা। পরে মিঠুকে লালবাজারে ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কান্নায় ভেঙে পড়ে মিঠু। কিন্তু কী কারণে এই জোড়া খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয় গোয়েন্দাদের ৷

আরও পড়ুন : কাকুলিয়ার বাড়ি ছাড়াও সুবীর চাকির অন্যান্য সম্পত্তির দিকেও নজর ছিল আততায়ীদের

খুনের ঘটনা ঘটানোর পর আততায়ী বা আততায়ীরা কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা বালিগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ঘটনার পর স্নিফার ডগ এনে ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সেখানেই দেখা যায় স্নিপার ডগ ঘর থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত যায়। এখান থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান আততায়ী বা আততায়ীরা খুনের ঘটনা ঘটানোর পর বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বেরিয়ে গিয়েছে। এর জন্য রেল পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.