কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: বিজেপি দলে কোনও পচা আলু নেবে না ৷ আজ এভাবেই দলের ও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি । তৃণমূলের নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগদান করার বিষয়ে এ দিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, "দল বাড়াতে গেলে লোক দরকার হয়। তবে আমরা কোন পচা আলু নেব না। পরিষ্কার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোক চাই ৷ যিনি সত্যিই দেশ ও দশের জন্য কিছু করতে চান ৷ তাকে আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে স্বাগত জানাব । তৃণমূল কর্মী যারা যারা 2011 সালের আগে সততার সঙ্গে দলটা করেছিলেন ৷ যারা চেয়েছিলেন যে সত্যি পশ্চিমবঙ্গে একটা পরিবর্তন হোক ৷ তাদেরকে বিজেপিতে স্বাগত ।"
সুকান্ত মজুমদার জানান, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর আজ বৈঠক হয়েছে । বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "আজ আমার দীর্ঘক্ষণ রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্যা তৈরি হয়েছে । উনি আশ্বস্ত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে সংবিধান সবার উপরে । লা গণেশনের সময় লোকায়ুক্ত গঠন করা হয়েছিল ৷ সেই লোকায়ুক্ত গঠন সংবিধান মেনে হয়নি । লোকায়ুক্ত সরানোর কথা বলেছেন রাজ্যপাল । উনি বলেছেন দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ।"
মতুয়াদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সিএএ হবেই । কেউ আটকাতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রীও সেটা বুঝতে পেরেছেন । তিনি দেখবেন এখন সিএএ থেকে এনআরসি'তে চলে এসেছেন । মতুয়াদের নাগরিকত্ব দরকার । একটা পাসপোর্ট করতে হলে তাঁদের 71-এর আগের দলিল দেখাতে হচ্ছে । সবার জন্য এক আইন সমান হতে হবে । এক যাত্রায় তো পৃথক ফল হতে পারে না ।"
সুকান্ত জানান, রাজ্যপাল দুর্নীতি দূর করার কথার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি বলেছি কিছু মানুষ দুর্নীতি করেছে ৷ তাদের শাস্তি হওয়া দরকার । বাংলার সাধারণ মানুষ যেন এই চোরেদের জন্য বঞ্চিত না-হয় । যারা চুরি করেছেন তারা শাস্তি পাক ৷ চোরগুলো জেলের ভেতরে ঢুকুক । তাই দুর্নীতিগ্রস্তরা শাস্তি পাওয়ার পর এবং দুর্নীতি কবলে পড়া সাধারণ মানুষ যাতে তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না হয়, কেন্দ্র সরকারের থেকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের বিজেপি সরকারের ।"
অমর্ত্য সেনের বিষয় রাজ্য সভাপতি জানান, অমর্ত্য সেনের মত একজন মানুষের নামের সঙ্গে জমি বিতর্ক একেবারেই মানানসই নয় ৷ তাই এই বিতর্ক যত তাড়াতাড়ি মিটে যায় ততই ভালো । সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, "এই রাজ্যে চাকরি যে টাকা দিয়ে হয়েছে, তা প্রমাণিত । ব্রাত্য বসুর আনুকূল্যে চাকরি পেয়েছেন । তৃণমূল নেতা যাকে টাকা দিয়েছে তার বাড়িতে যান । সবাই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ।"
আরও পড়ুন: 'শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসছে !' কেন একথা বললেন সুকান্ত ?