কলকাতা, 20 অক্টোবর: সল্টলেকের ইজেডসিসি'তে বঙ্গ বিজেপির সাতটি মোর্চাকে নিয়ে বৈঠক হয়ে গেল শুক্রবার ৷ যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানের (Smriti Irani) উপস্থিতিতে এই বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা-সহ অন্যান্যরা।
ঘাস এবং পদ্ম শিবিরের পাখির চোখ এখন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনকে শিখিয়ে-পড়িয়ে নিতে কোমর বেঁধেছে গেরুয়া শিবির। নবান্ন অভিযানের পর থেকে বারে বারে একাধিক বৈঠক, তারপর প্রাক-পুজো সম্মিলনী এবং এখন জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে কার্য-কর্তাদের মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখা এবং জনসংযোগে মন দিয়েছে বিজেপি।
2021 রাজ্য বিজেপির যে ধরাশায়ী অবস্থা হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি যাতে না-হয়, তাই দলের নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করা এবং তাদের আরও সক্রিয় করাই বৈঠকগুলির অন্যতম উদ্দেশ্য। তাই সম্প্রতি একাধিক সাংগঠনিক রদবদলও করা হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। মোর্চার ক্ষেত্রেও একাধিক পদের পরিবর্তন করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকেও মোর্চার সভাপতি ও কর্মীদের আরও বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার এদিনের বৈঠকে বলেন, "আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী অনন্য প্রতিভার অধিকারী। তাঁর লেখা বই বিক্রি করে নাকি খরচ চলে। রেকর্ড বিক্রি হয় তাঁর বই। আমার মনে হয় না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বইয়েরও বোধহয় এত বিক্রি ছিল। ডাক্তারির ক্ষেত্রেও পৃথিবীর সেরা ডাক্তার ডক্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনভাবে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
এ প্রসঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশের তুলনা টেনে আনেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar compares Mamata Banerjee as Hirak Raja) ৷ তিনি বলেন, "আজ বুঝি যে তিনি কতটা দূরদর্শী পরিচালক ছিলেন। ওই সিনেমায় দেখেছিলাম 'ভরসাপূর্তি' উৎসব করেছিলেন হীরক রাজা। আর এবার দেখলাম টেটের জন্য রাস্তায় রাস্তায় যে সমস্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা বিক্ষোভ করছেন তাঁদের কষ্ট উপেক্ষা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় কার্নিভাল করলেন। খেলা তো সবে শুরু হয়েছে। সবে দু'টো উইকেট পড়েছে। আরও বহু উইকেট পড়বে।"
আরও পড়ুন: 'আমি ন্যায্য আন্দোলনকারীদের ভালোবাসি', সাফ জানালেন 'আন্দোলন' করে মসনদে আসা মমতা
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নয়, বামেদেরও হাত নিলেন তিনি। তিনি বলেন, "যাঁরা চিন-ভারত যুদ্ধ হলে চিনের পক্ষ নেয় সেই বামেদের এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধি নেই। এখন অনেককে দেখি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সাহায্যে ইনসাফ সভা করেন। আমি বলেছিলাম মোমিনপুরে গিয়ে ইনসাফ সভা করুন। ডিসেম্বরে আর এই সরকার থাকবে না ৷ এই সরকার 'লেম ডাকে' পরিণত হবে।"