কলকাতা, 1 নভেম্বর: বাঙালি সমাজের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর দক্ষিণ ভারত সফর এবং স্টালিনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "এর আগেও তো ধর্মতলায় এসে মহাজোট করেছিলেন, হাত তুলিয়েছিলেন, চপ খাইয়েছিলেন ৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আর একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন অসুবিধার কিছু নেই ।"
পাশাপাশি রাজ্য সরকার নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ তিনি বলেন, "আমরা সরকার ফেলে দেওয়াতে বিশ্বাস করি না ৷ আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকারে আসাতে বিশ্বাস করি । সরকার যদি নিজের দোষে নিজে কাঁপে আমাদের কী করার আছে ।"
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবারও জেল হেফাজত এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে নিয়ে তিনি বলেন, "দেখুন ওনার তো দলের সঙ্গে থাকা উচিত । যার জন্য চুরি করেছেন, তার সঙ্গেই তো থাকবেন, দলের জন্যই তো চুরি করেছেন ।"
আরও পড়ুন: পোস্তা ব্রিজ ভাঙার 6 বছর পরও কেউ শাস্তি পায়নি, গুজরাত নিয়ে তৃণমূলকে জবাব সুকান্তর
তাঁর ডান্ডা দেওয়া নিধান নিয়ে তিনি বলেন, "গতকাল আমি কোথাও বক্তব্য রাখিনি ৷ গত পরশু আমি বলেছিলাম, সেখানে আমরা বলেছি তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের দুধ দেয়, আমরা তাদের পায়েস রান্না করে দেবো । তারা যদি আমাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভালো ব্যবহার করে আমরা তার থেকেও ভালো ব্যবহার করব । কিন্তু কেউ যদি বুথ লুট করতে আসে তাহলে কী করা উচিত আপনাদের মতে, বুথ লুট করতে দেওয়া উচিত নাকি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আটকানো উচিত ।"
গুজরাতে ব্রিজ ভেঙে পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা । ভুল তো হয়েছে ৷ যে ব্রিজে 50 জন ওঠার কথা তাতে 400 জন উঠে লাফালাফি করছে । তার জন্য দায়ী ব্যক্তি যারা আছেন তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হবে । এর পাশাপাশি আমি এই প্রশ্ন করতে চাই, ছয় বছর আগে পোস্তা ব্রিজ ভেঙে গিয়েছে তার ভাঙা অংশটুকু আজও রয়ে গিয়েছে ৷ কেউ শাস্তি পেয়েছে ? আপনাদের জানা আছে ? আমার তো জানা নেই ৷ আমরি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কতজন মারা যাওয়ার ঘটনায় কেউ শাস্তি পেয়েছেন, জানা থাকলে আমাকে বলবেন ।"
আরও পড়ুন: মধ্যস্থতা করতে রাজি, অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে বললেন সুকান্ত
গুজরাতে ব্রিজ ভাঙা নিয়ে কংগ্রেসের সিবিআই তদন্ত এবং তৃণমূলের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ত্রাণ কার্য চালাক না ক্ষমতা থাকলে । ত্রাণ কার্য তো গুজরাত সরকার চালাচ্ছে ৷ গুজরাত সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন করার আগে নিজেরা আগে দেখুন হড়পা বানে কতজন মারা গেল ৷ রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল ছিল ? ষাঁড়ের গুঁতোয় লোক মারা যাচ্ছে এখানে । বিধায়ক কার্নিভাল করাতে এত ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে ষাঁড়ের গুঁতোতেই লোক মারা যাচ্ছে ।
পানিহাটি প্রসঙ্গে তাঁর মত, যত পঞ্চায়েত এগিয়ে আসছে তত এই ধরনের গন্ডগোল, মারামারি থাকবে ৷ কারণ লুট করে খাওয়ার সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য কে কত নিজের ক্যান্ডিডেট দাঁড় করাবে এই নিয়ে মারামারি চলবে ।