ETV Bharat / state

Kolkata Medical College: 'পড়ুয়াদের দাবি যুক্তিসঙ্গত', আধিকারিকরা ঘেরাও হলে বাকিরা কী করছিলেন? প্রশ্ন সুজনের

সোমবার থেকে শুরু হওয়া কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের আন্দোলন (Students of Kolkata Medical College Demand for Election) নিয়ে এবার মুখ খুললেন সুজন চক্রবর্তী। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করা পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে দুষলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। জানালেন, মেডিক্যালের পড়ুয়াদের দাবি যুক্তিসঙ্গত ও এর পাশপাশি প্রশ্ন তুললেন, আধিকারিকরা ঘেরাও হলে বাকিরা কী করছিলেন?

Kolkata Medical College
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে সুজন চক্রবর্তী
author img

By

Published : Dec 7, 2022, 8:40 PM IST

কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: নির্বাচনের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College)। অধ্যক্ষ-সহ একাধিক পদাধিকারী ঘেরাও ছিলেন। এর ফলে ভেঙে পড়ে মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য পরিষেবা। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কেউ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দোষারোপ করছেন, তো কেউ কলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারকে। এরকম পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে দুষলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

তাঁর মতে, "পরিকল্পনামাফিক হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যাতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দোষারোপ করা যায়। তাঁদের আন্দোলনকে কলুষিত করা যায়। আর সেটা না-হলে বাস্তবে হাসপাতালের পরিকাঠামো দুর্বল। যার জন্য সরকার দায়ী।"

এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। 18 বছর বয়সে এমএলএ (MLA), এমপি (MP)-র নির্বাচনে ভোট দিতে পারলে মেডিক্যালে কেন নির্বাচন হবে না? কলেজের নির্বাচন হবে না, কো-অপারেটিভ এর ভোট হবে না, এমনকী ডাক্তারদের নিজস্ব সংগঠনের ভোটও কেড়ে নেওয়া হবে? মানুষ যাতে ভোট দিতে না-পারে তারই চেষ্টা হচ্ছে। ওরা পড়ুয়া। ওদের কোনও অধিকার নেই? কে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবে তার উপর সব ঠিক হবে? এই আন্দোলন শুধু কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়, যে সিস্টেম বাংলায় চলছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন।"

আরও পড়ুন: নির্বাচনের দাবি না-মানলে আন্দোলন চলবে, জানালেন কলকাতা মেডিক্যালের পড়ুয়ারা

তাঁর মন্তব্যের কারণ উল্লেখ করে সুজন আরও বলেন, "কলেজ কর্তৃপক্ষ আগেই বলেছিল আগামী 22 ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। এখন বলছে কবে নির্বাচন হবে বলা যাচ্ছে না। উপরমহলের চাপ রয়েছে। তার মানেটা কী? তার মানে নবান্ন থেকেই সব ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া, অধ্যক্ষ বা কর্তৃপক্ষ ঘেরাও হলে ল্যাবরেটরি বন্ধ হয়ে যায় কেন? তাঁরা ছাড়া কী হাসপাতালে অন্য কোনও ডাক্তার নেই? নার্সিং স্টাফরা কোথায়? বাকি ডাক্তাররা কোথায়? এসব করার মানে ঘুরপথে ছাত্রদের ঘাড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধের দায় চাপিয়ে দেওয়া। অথচ, তাঁদের উপর হাসাতালের সমগ্র স্বাস্থ্যব্যবস্থা নির্ভর করে না। "

কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: নির্বাচনের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College)। অধ্যক্ষ-সহ একাধিক পদাধিকারী ঘেরাও ছিলেন। এর ফলে ভেঙে পড়ে মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য পরিষেবা। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কেউ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দোষারোপ করছেন, তো কেউ কলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারকে। এরকম পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে দুষলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

তাঁর মতে, "পরিকল্পনামাফিক হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যাতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দোষারোপ করা যায়। তাঁদের আন্দোলনকে কলুষিত করা যায়। আর সেটা না-হলে বাস্তবে হাসপাতালের পরিকাঠামো দুর্বল। যার জন্য সরকার দায়ী।"

এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। 18 বছর বয়সে এমএলএ (MLA), এমপি (MP)-র নির্বাচনে ভোট দিতে পারলে মেডিক্যালে কেন নির্বাচন হবে না? কলেজের নির্বাচন হবে না, কো-অপারেটিভ এর ভোট হবে না, এমনকী ডাক্তারদের নিজস্ব সংগঠনের ভোটও কেড়ে নেওয়া হবে? মানুষ যাতে ভোট দিতে না-পারে তারই চেষ্টা হচ্ছে। ওরা পড়ুয়া। ওদের কোনও অধিকার নেই? কে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবে তার উপর সব ঠিক হবে? এই আন্দোলন শুধু কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়, যে সিস্টেম বাংলায় চলছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন।"

আরও পড়ুন: নির্বাচনের দাবি না-মানলে আন্দোলন চলবে, জানালেন কলকাতা মেডিক্যালের পড়ুয়ারা

তাঁর মন্তব্যের কারণ উল্লেখ করে সুজন আরও বলেন, "কলেজ কর্তৃপক্ষ আগেই বলেছিল আগামী 22 ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। এখন বলছে কবে নির্বাচন হবে বলা যাচ্ছে না। উপরমহলের চাপ রয়েছে। তার মানেটা কী? তার মানে নবান্ন থেকেই সব ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া, অধ্যক্ষ বা কর্তৃপক্ষ ঘেরাও হলে ল্যাবরেটরি বন্ধ হয়ে যায় কেন? তাঁরা ছাড়া কী হাসপাতালে অন্য কোনও ডাক্তার নেই? নার্সিং স্টাফরা কোথায়? বাকি ডাক্তাররা কোথায়? এসব করার মানে ঘুরপথে ছাত্রদের ঘাড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধের দায় চাপিয়ে দেওয়া। অথচ, তাঁদের উপর হাসাতালের সমগ্র স্বাস্থ্যব্যবস্থা নির্ভর করে না। "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.