কলকাতা, 12 মে : 2016 সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের পরীক্ষায় প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের বিভাজন 10 দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের (SSC Recruitment Corraption Case)। পাশাপাশি আগামী 17 জুন পর্যন্ত সমস্ত নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের । বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন ।
মেধাতালিকা ও ওয়েটিং লিস্ট মিলে প্রায় 20 হাজারের মতো চাকরিপ্রার্থী ছিলেন । কিন্তু চাকরিতে যারা নিযুক্ত হয়েছেন এবং যারা অকৃতকার্য হয়েছেন কারও নম্বর (শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রাপ্ত নম্বর এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ও ইন্টারভিউতে প্রাপ্ত নম্বর) প্রকাশ করা হয়নি । ফলে কে কত নম্বর পেয়েছে তা পরিষ্কার নয় । ভিতরে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলা দায়ের হয় ।
আরও পড়ুন : সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় ডিভিশন বেঞ্চ বহাল রাখলে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, পার্থ প্রসঙ্গে মত বিকাশের
অনিন্দিতা বিশ্বাস-সহ একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ, 2016 সালে নবম-দশমে মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও প্রকাশ করা হয়নি কোনও নম্বর । মামলাকারীদের আরও অভিযোগ নম্বর কম পেয়েও চাকরি দেওয়া হয়েছে অনেককে । মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, লিস্টে কীভাবে নামের বিন্যাস করা হয় । মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "কীভাবে মেধা তালিকা তৈরি হয় সেটা জানার জন্য নম্বর সামনে আসা প্রয়োজন ।"
যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, "মামলাকারীরা মেধাবী হতে পারেন । কিন্তু সুযোগ পাননি বলে এখন মামলাকারীরা সুযোগ নিতে চাইছেন । একটা নির্দেশ বার করে নেওয়ার জন্য মামলা করেছেন ।"
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "সমস্ত সরকারি কাজে স্বচ্ছতা থাকা দরকার । গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা থাকা দরকার ।"
স্বচ্ছতার ব্যাপারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্ত কমিশনের তরফে হলফনামা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন । কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন বিচারপতি । 21 জুন ফের শুনানি এই মামলার ।