কলকাতা, 18 মে : রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে নিয়মিত আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মুজফফর আহমেদ ভবনে অভিযোগ আসছে । দু'মাস আগেই একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল CPI(M) -এর সদর দপ্তরে । CPI(M)- এর তরফে জানানো হয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা প্রয়োজনীয় রেশন না পেয়ে ক্ষুব্ধ । অনাহারে, অর্ধাহারে রয়েছেন অনেকে । বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার জঙ্গলমহল এলাকা থেকে অনেকে নিয়মিত ফোন করে তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কন্ট্রোল রুমে ।
আজ বিমান বসু বলেন, "রেশন ব্যবস্থার মধ্যে চূড়ান্ত দুর্নীতি রয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো খাদ্য সামগ্রী রাজ্যের মানুষ পাচ্ছে না । যে ধরনের চাল রেশনে দেওয়া হচ্ছে তা পশুদেরও খাবারের অযোগ্য । " তিনি আরও বলেন, " লকডাউনে কৃষক ও গরিবের সর্বনাশ হচ্ছে । বৃহৎ পুঁজির পৌষ মাস । কৃষক পাচ্ছে না ফসলের দাম । অথচ ফসল সংগ্রহ, মজুত, বাজারজাত করার জন্য বেসরকারি উদ্যোগপতিদের 1 লাখ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে মোদি সরকার । এর সঙ্গেই তুলে দেওয়া হল মজুতের ঊর্ধ্বসীমা । দানাশস্য, ভোজ্যতেল, ডালে নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে শিথিল করা হল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইন । অথচ গরিব মানুষের খাবারের সংস্থান নেই এরাজ্যে । রেশনে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও অনেকে রেশনে চালের সঙ্গে ডাল পাচ্ছে না । নিয়মিত বহু অভিযোগ আসছে আমাদের কাছে ৷ রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সদুত্তর মেলেনি । "
তিনি বলেন, "অনেকে রেশন দোকানে সকাল থেকে দাঁড়িয়েও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছে না । অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নিয়মিতই আসছে । হঠাৎ করেই চালের পরিমাণ বাড়িয়ে গম দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা 1 বা RKSY-1 রেশন কার্ডে । গম দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । "