কলকাতা, 17 জুলাই: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । জোড়হাতে বিচারপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে অবশেষে ছাড় পেলেন সভাপতি গৌতম পাল । তবে বিচারপতির শর্ত, দু'সপ্তাহের মধ্যে আমনা পারভিন নামে চাকরি প্রার্থীকে যোগ্য বিবেচিত হলে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে ।
আমনা পারভিন নামে এক চাকরি প্রার্থীকে গত 7 জুন ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । এই প্রার্থী 2016 সালে টেট-এ উত্তীর্ণ হয়েছিলেন । কিন্তু সেই নির্দেশ পালন না করায় সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে ।
গৌতম পাল আদালতে এসে এ দিন বিচারপতিকে বলেন, এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক ৷ তিনি নির্দেশ পালন করবেন । জোর হাতে তিনি বিচারপতিকে বলেন, তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া হোক । কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন," ইতিমধ্যে আপিল হয়েছে এই মামলার, তাহলে কী করবেন ?" বিচারপতি বোর্ডের সভাপতির বেতন থেকে 50 হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেন ।
আরও পড়ুন: অভিষেকের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে মমতার প্রশংসা
এরপরই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, "আপনি তা করতে পারেন । কিন্তু বাড়িতে 80 বছরে বৃদ্ধা মা রয়েছেন ৷ পরিবার রয়েছে আমার । সর্বোপরি আমি বেতন পাই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে । বোর্ডের সভাপতি হিসাবে আমি বেতন পাই না ।"
পরে পর্ষদ সভাপতি জানান, তিনি আপিল তুলে নেবেন এবং ভবিষ্যতে খালি পদে এই প্রার্থীকে নিয়োগ করার চেষ্টা করবেন । সব শোনার পর অবশেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দু'সপ্তাহ সময় দিয়েছেন পর্ষদের সভাপতিকে । যদি মামলাকারী যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন, তবে তাঁকে নিয়োগ করা হবে । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতির উদ্দেশে বলেছেন, অগাস্টের 8 তারিখ নির্দেশ কার্যকর করে জানাতে হবে আদালতকে ।