কলকাতা, 10 মার্চ: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য (Patient Hanging Body Recovers) ৷ মৃত রোগীর নাম মনোরঞ্জন বিশ্বাস ৷ বয়স 48 বছর ৷ মনোরঞ্জন বিশ্বাস হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷ গত 8 ফেব্রুয়ারি মনোরঞ্জন বিশ্বাস স্পাইনাল কর্ড-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ৷ জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি ৷ এমনকি চিকিৎসকদের কথা শুনছিলেন না ৷ আজ সকালে হাসপাতালের গ্রিন বিল্ডিং থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷
পুলিশ জানতে পেরেছে, গত 24 ফেব্রুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অস্ত্রোপচার হয় মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ৷ সেই অস্ত্রোপচার ঠিকঠাকই হয়েছিল ৷ কিন্তু, তার পরেও মানসিক অবসাদে চলে যান ৷ চিকিৎসকরা তাঁকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টাও করেছিলেন ৷ কিন্তু, চিকিৎসকদের কথাও নাকি তিনি শুনছিলেন না ৷ আজ সকালে একটি গামছা দিয়ে তৈরি ফাঁসে ঝুলতে দেখা যায় মনোরঞ্জন বিশ্বাসকে ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ মনোরঞ্জন বিশ্বাসের দেহ উদ্ধারের পর চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন ৷ মনোরঞ্জন বিশ্বাসের দেহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ৷
তবে, মনোরঞ্জন বিশ্বাসের দেহের আশেপাশে বা তাঁর শয্যায় কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে ৷ মৃতের পরিবারকে হুগলিতে খবর দেওয়া হলে, তাঁরাও হাসপাতালে উপস্থিত হন ৷ বউবাজার থানার পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা ৷ কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে একজন রোগী নিজেকে ফাঁস লাগিয়ে নেন, সেই প্রশ্নও উঠছে ৷ তবে, পুলিশ এ নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি ৷
আরও পড়ুন: রং খেলা নিয়ে মায়ের বকুনি! অভিমানে আত্মঘাতী ছাত্র
মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ঠিক কী সমস্যা ছিল ? তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কিনা, এসব বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ৷ এই ঘটনায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷