কলকাতা, 8 ডিসেম্বর: উত্তরবঙ্গের গ্রামগুলোকে স্বনির্ভর করতে এবং গ্রামের মানুষদের আয়ের সুযোগ করে দিতে শুরু হতে চলেছে পঞ্চম হিমালয়ান অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল(Orange festival to start in Kolkata from 9 December)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ এশিয়ার বৃহত্তম হিমালয় গ্রামীণ পর্যটন উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী 9 ডিসেম্বর, চলবে 11 ডিসেম্বর পর্যন্ত । সিটি সেন্টারে দুপুর 2টো থেকে শুরু হবে এই মেলা ।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম কনজারভেশন (ACT) এর উদ্যোগে 2010 সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয় । ওই বছর পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান কালিম্পং জেলার সামসিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল । প্রতিবছর বহু মানুষ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান । তাই 2014 সালে এই উৎসব কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয় । তারপর থেকে এক বছর অন্তর এই উৎসব হয়ে আসছে । মাঝে করোনার জেরে বন্ধ থাকার পর এই বছর আবারও কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই উৎসব ।
মূলত উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা এবং পূর্ব নেপাল, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের একাধিক গ্রামের ছোট ব্যবসায়ীরা এখানে অংশগ্রহণ করবেন । পাশাপাশি বিদেশি একাধিক স্টলও থাকছে ।
কমলা উৎসব নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড কনজারভেশনের আহ্বায়ক রাজ বসুর বক্তব্য অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড কনজারভেশনের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, "উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশ ধরে যে গ্রামগুলি রয়েছে এবং যেখানে কমলালেবু চাষ হয় সেই সমস্ত গ্রামগুলিকে এখানে শোকেস করা হচ্ছে । এই গ্রামগুলির হস্তশিল্প থেকে শুরু করে কমলালেবু এবং বিভিন্ন ফল দিয়ে বানানো নানান রকম সামগ্রী থাকবে স্টলে । শুধু হস্তশিল্পই নয় এখানে হোম-স্টের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে । উত্তরবঙ্গ থেকে 85টি, পূর্ব নেপাল থেকে 81টি, সিকিম থেকে 12 এবং অরুণাচল প্রদেশ থেকে 13টি গ্রাম এখানে অংশগ্রহণ করবে । মোট 512 জন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন । এই বছর আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অফ বুদ্ধিস্ট ট্যুর অপারেটররাও ৷ এটি এশিয়া মহাদেশের সবথেকে বড় গ্রামীণ পর্যটন উৎসব হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে ।" তিনি আরও জানান, প্রথমে যখন এই মেলা শুরু হয় তখন মাত্র 35টি হোম স্টে ছিল আর এখন তার সংখ্যা 3 হাজার ছাড়িয়েছে । এমনকি করোনার পরে যে সমস্ত শ্রমিকরা অন্যান্য রাজ্যে কাজ করতে চলে গিয়েছিল তারা ফেরার পরই এখানে থেকেই এই পর্যটনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেছে । এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে এদের । হোম-স্টে কে আরও বাড়াবার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে রেজিস্টার্ড হোম-স্টেগুলিকে দেড় লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে এর ফলে যারা হোম-স্টে শুরু করেছিলেন সেগুলিকে তারা আরও উন্নত করতে পারছেন ।
আরও পড়ুন : অনশন, আন্দোলনের মধ্যেই শিশুর জটিল অস্ত্রোপচার কলকাতা মেডিক্যালে