ETV Bharat / state

মহামারীর নামে ধান্দার ধনতন্ত্র কায়েম করছে কেন্দ্র, আক্রমণ বিরোধীদের - pandemic in India

বাম কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে কেন্দ্রের প্যাকেজের বিষয়ে সমালোচনা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় । সেখানে কেন্দ্রকে দফায় দফায় আক্রমণ করেন বিরোধীরা ।

sujan
sujan
author img

By

Published : May 19, 2020, 4:31 PM IST

কলকাতা, 19 মে : কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজের কড়া সমালোচনা করল রাজ্য বাম-কংগ্রেস । প্যানডেমিকের নামে ধান্দার ধনতন্ত্র কায়েম করছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে তারা । দেশের গরিব মানুষের জন্য কেন্দ্র আদৌ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও তাদের অভিযোগ ।

বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে কেন্দ্রের প্যাকেজের বিষয়ে সমালোচনা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় । সেখানে কেন্দ্রকে দফায় দফায় আক্রমণ করেন বিরোধীরা । বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “প্রকৃত অর্থে দেশের সরকার কী করছে গরিব মানুষের জন্য ? প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেই নীরব হয়ে গেলেন । কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রকাশ্যে এসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ব্যাখ্যা দিতে শুরু করলেন । মহামারীর নামে ধান্দার ধনতন্ত্র কায়েম করছে কেন্দ্রীয় সরকার ।”

প্রধানমন্ত্রী 20 লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন । পাঁচদিন দফায় দফায় সাংবাদিক বৈঠকে এই প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন । কোন অভিমুখে এই প্যাকেজের সুফল পাওয়া যাবে, নতুন কী পাওয়া গেল এই প্যাকেজে তা স্পষ্ট নয় বলে মনে করেন বিরোধীরা ।

কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিশেষ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মাঝারি আয়ের মানুষের গৃহঋণের চলতি প্রকল্পকে আরও এক বছর বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে । বার্ষিক ছয় থেকে 18 লাখ টাকা আয় করেন এমন মানুষের জন্য এই প্রকল্প অতীত থেকেই চালু রয়েছে । এখানে 70 হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে । ঋণ ব্যাঙ্কগুলিই দেবে । গরিবের জন্য অবশ্য এইটুকু ঘোষণাও নেই । বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শহরের গরিব মানুষের বাসস্থান তৈরির প্রকল্প নেওয়া হবে । সরকারের টাকায় গড়া আবাসন প্রকল্প ভাড়া দেওয়া হবে । সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রকল্পের ধাঁচে তা করা হবে । রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের জন্য এই সুবিধা । ছোটো ব্যবসা বিশেষত ছোটো ও মাঝারি শিল্পে তিন লাখ কোটি টাকা ঋণ দিতে চেয়েছেন দেশের অর্থমন্ত্রী । এই ঋণের জন্য সম্পদ গচ্ছিত রাখতে হবে না । ঋণ শোধ করতে হবে চার বছরে । লেনদেনের অঙ্কে বৃহত্তর সংস্থাও এখন বিবেচিত হবে এই ক্ষেত্রে ।

CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “এই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কর্পোরেট হাউসের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল ভারতের বাজার । গরিব মানুষের পেটে গামছা বাঁধার উপক্রম করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার ।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “রেশন কার্ড না থাকলে কী করবেন মানুষ, কোথা থেকে পাবেন নিয়মিত খাদ্যদ্রব্য । একগুচ্ছ প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি প্রধানমন্ত্রী । তিনি কেবল ভাষণ দিয়েই নেপথ্যে চলে গিয়েছেন ।”

কলকাতা, 19 মে : কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজের কড়া সমালোচনা করল রাজ্য বাম-কংগ্রেস । প্যানডেমিকের নামে ধান্দার ধনতন্ত্র কায়েম করছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে তারা । দেশের গরিব মানুষের জন্য কেন্দ্র আদৌ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও তাদের অভিযোগ ।

বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে কেন্দ্রের প্যাকেজের বিষয়ে সমালোচনা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় । সেখানে কেন্দ্রকে দফায় দফায় আক্রমণ করেন বিরোধীরা । বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “প্রকৃত অর্থে দেশের সরকার কী করছে গরিব মানুষের জন্য ? প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেই নীরব হয়ে গেলেন । কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রকাশ্যে এসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ব্যাখ্যা দিতে শুরু করলেন । মহামারীর নামে ধান্দার ধনতন্ত্র কায়েম করছে কেন্দ্রীয় সরকার ।”

প্রধানমন্ত্রী 20 লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন । পাঁচদিন দফায় দফায় সাংবাদিক বৈঠকে এই প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন । কোন অভিমুখে এই প্যাকেজের সুফল পাওয়া যাবে, নতুন কী পাওয়া গেল এই প্যাকেজে তা স্পষ্ট নয় বলে মনে করেন বিরোধীরা ।

কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিশেষ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মাঝারি আয়ের মানুষের গৃহঋণের চলতি প্রকল্পকে আরও এক বছর বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে । বার্ষিক ছয় থেকে 18 লাখ টাকা আয় করেন এমন মানুষের জন্য এই প্রকল্প অতীত থেকেই চালু রয়েছে । এখানে 70 হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে । ঋণ ব্যাঙ্কগুলিই দেবে । গরিবের জন্য অবশ্য এইটুকু ঘোষণাও নেই । বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শহরের গরিব মানুষের বাসস্থান তৈরির প্রকল্প নেওয়া হবে । সরকারের টাকায় গড়া আবাসন প্রকল্প ভাড়া দেওয়া হবে । সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রকল্পের ধাঁচে তা করা হবে । রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের জন্য এই সুবিধা । ছোটো ব্যবসা বিশেষত ছোটো ও মাঝারি শিল্পে তিন লাখ কোটি টাকা ঋণ দিতে চেয়েছেন দেশের অর্থমন্ত্রী । এই ঋণের জন্য সম্পদ গচ্ছিত রাখতে হবে না । ঋণ শোধ করতে হবে চার বছরে । লেনদেনের অঙ্কে বৃহত্তর সংস্থাও এখন বিবেচিত হবে এই ক্ষেত্রে ।

CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “এই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কর্পোরেট হাউসের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল ভারতের বাজার । গরিব মানুষের পেটে গামছা বাঁধার উপক্রম করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার ।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “রেশন কার্ড না থাকলে কী করবেন মানুষ, কোথা থেকে পাবেন নিয়মিত খাদ্যদ্রব্য । একগুচ্ছ প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি প্রধানমন্ত্রী । তিনি কেবল ভাষণ দিয়েই নেপথ্যে চলে গিয়েছেন ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.