ETV Bharat / state

Amartya Sen Land Dispute: চিঁড়ে ভিজল বিদ্বজ্জনদের চিঠিতে, অমর্ত্য সেনের জমি বিবাদ মেটাতে সুর নরম বিজেপির

অমর্ত্য সেন জমি বিবাদ মেটাতে মধ্যস্থতার কথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ বিদ্বজ্জনের চিঠির পরে বিজেপির সুর নরম ৷

Etv Bharat
অমর্ত্য সেনের জমি বিবাদ মেটাতে সুর নরম বিজেপি'র
author img

By

Published : Jun 10, 2023, 7:29 PM IST

কলকাতা, 10 জুন: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে বহুদিন ধরেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি ৷ ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার একলর্ফ-সহ বিদেশের প্রায় 300 জনেরও বেশি গুণীব্যক্তি অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে এই চিঠি লিখেছেন। তারপরেই সুর নরম করল বিজেপি ৷ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং অমর্ত্য সেনের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷

এই প্রসঙ্গেই শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "অমর্ত্য সেন ভারত মাতার অন্যতম গুণী সন্তান । আমার মনে হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও সেন উভয়পক্ষকেই বসিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা দরকার । কারণ অমর্ত্য সেনের আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গুণ বিষয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা নেই । তাঁর জন্য আমরা গর্বিত ভারতবাসী হিসেবে । তবে কেউই তো আইনের ঊর্ধ্বে নয় । সে প্রধানমন্ত্রী হোক বা নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ হোন । তার বিরুদ্ধে যখন এরকম একটা গুরুতর জমি বিতর্কের অভিযোগ উঠছে সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত । দ্রুত দু’পক্ষের বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া দরকার ।"

পাশাপাসি সিপিএম নেতা রবিন দেব প্রবীন অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের জমি বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ সেই সঙ্গে বিজেপি'কেও কাটক্ষ করেন ৷ তিনি জানান, এতদিন ধরে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যা করেছেন তা আর এসএস-এর নির্দেশে । কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তর থেকে চিঠি পাওয়ার পরে পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন বিজেপি ৷ আর বেগতিক বুঝেই সুর নরম হয়েছে সুকান্ত মজুমদারের ৷ তাই এখন দু'পক্ষকে সামনাসামনি বসিয়ে মিটিয়ে ফেলার কথা বলছেন ৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে বিষয়টা অনেক আগেই মিটিয়ে ফেলা যেত বলে তিনি জানান । কিন্তু তা না-করে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আরএসএসের নির্দেশে এমন অনেকগুলি পদক্ষেপ করেছেন যা জাতীয় স্তরে তো বটেই আন্তর্জাতিক স্তরে অসম্মানজনক।

আরও পড়ুন : 13 শতক জমি কার ? অমর্ত্যর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে ভূমি-সংস্কার দফতর ও বিশ্বভারতী

এমনকী কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান নোবেলজয়ীর জমি বিতর্কে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন "এই বিষয়টা তো আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম । অমর্ত্য সেনের পাশে আমরাও দাঁড়িয়ে ছিলাম । কিন্তু দেরিতে হলে বিজেপির বোধোদয় হয়েছে এটা বড় ব্যাপার । বিজেপি বা কেন্দ্রের সরকার তো বাংলার সংস্কৃতি, সৃষ্টি কোনও কিছুই মানে না। বিশ্বভারতী শুধুমাত্র অমর্ত্য সেনের জমি নয় সেখানে যারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মি যাঁরা আছেন তারা সকলেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর প্রতি ক্ষুব্ধ । আর এই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মার্কা লোকজনকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এমন এমন কিছু জায়গায় বা পদে বসাচ্ছে সেই সমস্ত জায়গা বা প্রতিষ্ঠানের সম্মান গরিমা ক্ষুণ্ণ করার জন্য । যার প্রভাব আন্তর্জাতিক স্তরেও পড়তে শুরু করেছে ।"

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি বিবাদ, অমর্ত্য সেনের পাশে মার্কিন নোবেলজয়ী

জমি বিতর্কে প্রথম থেকে অমর্ত্য সেনের পাশে ছিলেন শাসকদলও ৷ বিজেপির সুর নরম করার পরেই তৃণমূল সংসদ শান্তনু সেন জানান, অমর্ত্য সেনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খারাপ দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা দেখতে পেয়েছেন । তারপরেই বিজেপি নেতারা নখ-দাঁত বার করে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কাজে লাগিয়ে ভারতের গর্ব অর্থনীতি অর্মত্য সেনকে হেনস্তা করে চলেছে । এখন যখন সারা দেশের মানুষ বিশ্বের মানুষ এ বিষয়টা বুঝতে পেরেছে তারা এর প্রতিবাদ করছে ৷ তাই এবার সুর নরম করেছে বিজেপি ৷

কলকাতা, 10 জুন: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে বহুদিন ধরেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি ৷ ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার একলর্ফ-সহ বিদেশের প্রায় 300 জনেরও বেশি গুণীব্যক্তি অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে এই চিঠি লিখেছেন। তারপরেই সুর নরম করল বিজেপি ৷ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং অমর্ত্য সেনের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷

এই প্রসঙ্গেই শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "অমর্ত্য সেন ভারত মাতার অন্যতম গুণী সন্তান । আমার মনে হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও সেন উভয়পক্ষকেই বসিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা দরকার । কারণ অমর্ত্য সেনের আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গুণ বিষয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা নেই । তাঁর জন্য আমরা গর্বিত ভারতবাসী হিসেবে । তবে কেউই তো আইনের ঊর্ধ্বে নয় । সে প্রধানমন্ত্রী হোক বা নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ হোন । তার বিরুদ্ধে যখন এরকম একটা গুরুতর জমি বিতর্কের অভিযোগ উঠছে সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত । দ্রুত দু’পক্ষের বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া দরকার ।"

পাশাপাসি সিপিএম নেতা রবিন দেব প্রবীন অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের জমি বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ সেই সঙ্গে বিজেপি'কেও কাটক্ষ করেন ৷ তিনি জানান, এতদিন ধরে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যা করেছেন তা আর এসএস-এর নির্দেশে । কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তর থেকে চিঠি পাওয়ার পরে পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন বিজেপি ৷ আর বেগতিক বুঝেই সুর নরম হয়েছে সুকান্ত মজুমদারের ৷ তাই এখন দু'পক্ষকে সামনাসামনি বসিয়ে মিটিয়ে ফেলার কথা বলছেন ৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে বিষয়টা অনেক আগেই মিটিয়ে ফেলা যেত বলে তিনি জানান । কিন্তু তা না-করে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আরএসএসের নির্দেশে এমন অনেকগুলি পদক্ষেপ করেছেন যা জাতীয় স্তরে তো বটেই আন্তর্জাতিক স্তরে অসম্মানজনক।

আরও পড়ুন : 13 শতক জমি কার ? অমর্ত্যর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে ভূমি-সংস্কার দফতর ও বিশ্বভারতী

এমনকী কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান নোবেলজয়ীর জমি বিতর্কে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন "এই বিষয়টা তো আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম । অমর্ত্য সেনের পাশে আমরাও দাঁড়িয়ে ছিলাম । কিন্তু দেরিতে হলে বিজেপির বোধোদয় হয়েছে এটা বড় ব্যাপার । বিজেপি বা কেন্দ্রের সরকার তো বাংলার সংস্কৃতি, সৃষ্টি কোনও কিছুই মানে না। বিশ্বভারতী শুধুমাত্র অমর্ত্য সেনের জমি নয় সেখানে যারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মি যাঁরা আছেন তারা সকলেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর প্রতি ক্ষুব্ধ । আর এই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মার্কা লোকজনকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এমন এমন কিছু জায়গায় বা পদে বসাচ্ছে সেই সমস্ত জায়গা বা প্রতিষ্ঠানের সম্মান গরিমা ক্ষুণ্ণ করার জন্য । যার প্রভাব আন্তর্জাতিক স্তরেও পড়তে শুরু করেছে ।"

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি বিবাদ, অমর্ত্য সেনের পাশে মার্কিন নোবেলজয়ী

জমি বিতর্কে প্রথম থেকে অমর্ত্য সেনের পাশে ছিলেন শাসকদলও ৷ বিজেপির সুর নরম করার পরেই তৃণমূল সংসদ শান্তনু সেন জানান, অমর্ত্য সেনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খারাপ দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা দেখতে পেয়েছেন । তারপরেই বিজেপি নেতারা নখ-দাঁত বার করে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কাজে লাগিয়ে ভারতের গর্ব অর্থনীতি অর্মত্য সেনকে হেনস্তা করে চলেছে । এখন যখন সারা দেশের মানুষ বিশ্বের মানুষ এ বিষয়টা বুঝতে পেরেছে তারা এর প্রতিবাদ করছে ৷ তাই এবার সুর নরম করেছে বিজেপি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.