কলকাতা, 13 এপ্রিল: সামনে পঞ্চায়েত ভোট । তার আগে প্রায় রোজই দুর্নীতির তিরে বিদ্ধ হতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে ৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে বাংলার শাসক দলকে ৷ কারণ, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশের সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টিকে সামনে রেখে তেড়েফুঁড়ে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এই নিয়ে বিরোধীদের দিকে কটাক্ষও ছুঁড়ে দিচ্ছেন ঘাসফুলের নেতারা ৷ তবে পিছিয়ে নেই বিরোধীরাও ৷ তারাও পালটা কটাক্ষ করছে এই নিয়ে ৷
সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, "ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 15 লক্ষ। তার মানে আর সম্পত্তি নেই, এমনটা তো নয় । তাছাড়া, এটা দিয়ে পরিবারের বিপুল সম্পত্তি আড়াল করতে পারবেন ? এত এত কোটি কোটি টাকা । চুরি, দুর্নীতি । কালীঘাটে একটার পর একটা প্লট সেসব কী হল ? হাওয়াই চটি, ভাই, ভাইপোদের কোটি কোটি আড়াল করা যাবে না ।"
তবে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য গরিব মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রফুল্লচন্দ্র সেন ও প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ ছাড়া অন্য কাউকে মানতে নারাজ । অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ বলেন, "রিপোর্ট কী এসেছে, তা নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই । তবে যা দেখা যাচ্ছে, এই সরকারটা পুরো চুরির দ্বারা প্রভাবিত । তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অতএব দলের সবাই চোর কিন্তু আমি সৎ, তা তো হতে পারে না ৷"
এদিকে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "এই মুখ্যমন্ত্রী নিজে গরিব ৷ কিন্তু ওর ভাইপো কোটিপতি । অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা হয়তো যাই করুক না কেন নিজেরা আর্থিক দিক থেকে সবল । তবে এঁর পরিবার আর্থিক দিক থেকে সবল । ফলে এই সব আই ওয়াশ ।"
আর এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, "সবাই জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় থাকেন, কী পরেন, কী খান । বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপলব্ধি করতে পারে । তার কারণ তিনি একজন খোলা বইয়ের মতো ।"
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে 'গরিব' মুখ্যমন্ত্রী মমতা, সম্পত্তির শীর্ষে জগনমোহন