ETV Bharat / state

রিজেন্ট কলোনিতে বৃদ্ধের রহস্যমৃত্যু

রিজেন্ট কলোনিতে বৃদ্ধের রহস্যমৃত্যু । অভিযোগের আঙুল সমীরবাবুর শ্যালকের দিকে । প্রোমোটিং যোগে খুন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

old man death
বৃদ্ধের রহস্য মৃত্যু
author img

By

Published : Jan 7, 2020, 8:42 PM IST

কলকাতা, 7 জানুয়ারি : তিন আগে মৃত্যু হয়েছে 68 বছরের সমীররঞ্জন শূরের । স্বাভাবিকভাবে পচন ধরেছে দেহে । কিন্তু গন্ধ না বেরোনোয় প্রতিবেশীরা কিছু জানতেই পারেনি । গতকাল রাতে একটা থার্মোকলের বাক্স সমেত সমীরবাবুর শ্যালককে বাড়িতে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় তাদের । পুলিশে খবর দিলে তাঁরা এসে সমীরবাবুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ।

মেয়ে ও স্ত্রী না থাকায় ক'দিন রিজেন্ট কলোনির বাড়িতে একাই ছিলেন সমীরবাবু । সেই সুযোগেই তাঁকে কেউ খুন করেছে বলে অভিযোগ তোলে প্রতিবেশীরা । এবং এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সমীরবাবুর শ্যালক বিশ্বনাথ দাসের দিকে । কারণ বাড়িটি নিয়ে ঝামেলা ছিল সমীরবাবু ও তাঁর শ্যালক বিশ্বনাথ দাসের । বাড়িটি প্রোমোটিংয়ের জন্য কথাবার্তা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে । এনিয়ে তাঁকে শ্যালক বিশ্বনাথ দাস চাপ দিচ্ছিলেন বলে জানা যায় । তবে নিজের বাড়িকে ফ্ল্যাট বানানোয় প্রথম থেকেই তাঁর মত ছিল না । প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, এই নিয়ে বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে সমীরবাবুর ঝামেলাও হয় বেশ কয়েকবার । যা তারা জানত । আর এই বাড়ি নিয়েই সমীরবাবুকে খুন করেছে বলে তারা অভিযোগ তোলে ।

গতকাল রাতে মাছ রাখার একটি বাক্সে বরফ ভরতি করে সমীরাবুর বাড়িতে ঢুকছিল বিশ্বনাথ । তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দিতে মৃতদেহটি পাওয়া যায় । প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ, এই মৃতদেহটিকে কোথাও পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিশ্বনাথের । তাই ওই বরফ ভরতি বাক্স নিয়ে বাড়িতে ঢুকছিল সে । যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছে বিশ্বনাথ । তার কথায়, সমীরবাবুর মৃত‍্যুর পর এক চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছেন । দিদি বাইরে থাকায় দেহ সংরক্ষণের চেষ্টা করছিল সে ।

তবে যাদবপুর থানার পুলিশ দেহটির ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে । তদন্তের প্রাথমিক কাজ এগিয়ে রাখছে তারা । খবর দেওয়া হয়েছে সমীরবাবুর স্ত্রী ও মেয়েকে ।

কলকাতা, 7 জানুয়ারি : তিন আগে মৃত্যু হয়েছে 68 বছরের সমীররঞ্জন শূরের । স্বাভাবিকভাবে পচন ধরেছে দেহে । কিন্তু গন্ধ না বেরোনোয় প্রতিবেশীরা কিছু জানতেই পারেনি । গতকাল রাতে একটা থার্মোকলের বাক্স সমেত সমীরবাবুর শ্যালককে বাড়িতে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় তাদের । পুলিশে খবর দিলে তাঁরা এসে সমীরবাবুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ।

মেয়ে ও স্ত্রী না থাকায় ক'দিন রিজেন্ট কলোনির বাড়িতে একাই ছিলেন সমীরবাবু । সেই সুযোগেই তাঁকে কেউ খুন করেছে বলে অভিযোগ তোলে প্রতিবেশীরা । এবং এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সমীরবাবুর শ্যালক বিশ্বনাথ দাসের দিকে । কারণ বাড়িটি নিয়ে ঝামেলা ছিল সমীরবাবু ও তাঁর শ্যালক বিশ্বনাথ দাসের । বাড়িটি প্রোমোটিংয়ের জন্য কথাবার্তা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে । এনিয়ে তাঁকে শ্যালক বিশ্বনাথ দাস চাপ দিচ্ছিলেন বলে জানা যায় । তবে নিজের বাড়িকে ফ্ল্যাট বানানোয় প্রথম থেকেই তাঁর মত ছিল না । প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, এই নিয়ে বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে সমীরবাবুর ঝামেলাও হয় বেশ কয়েকবার । যা তারা জানত । আর এই বাড়ি নিয়েই সমীরবাবুকে খুন করেছে বলে তারা অভিযোগ তোলে ।

গতকাল রাতে মাছ রাখার একটি বাক্সে বরফ ভরতি করে সমীরাবুর বাড়িতে ঢুকছিল বিশ্বনাথ । তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দিতে মৃতদেহটি পাওয়া যায় । প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ, এই মৃতদেহটিকে কোথাও পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিশ্বনাথের । তাই ওই বরফ ভরতি বাক্স নিয়ে বাড়িতে ঢুকছিল সে । যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছে বিশ্বনাথ । তার কথায়, সমীরবাবুর মৃত‍্যুর পর এক চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছেন । দিদি বাইরে থাকায় দেহ সংরক্ষণের চেষ্টা করছিল সে ।

তবে যাদবপুর থানার পুলিশ দেহটির ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে । তদন্তের প্রাথমিক কাজ এগিয়ে রাখছে তারা । খবর দেওয়া হয়েছে সমীরবাবুর স্ত্রী ও মেয়েকে ।

Intro:কলকাতা, 7 জানুয়ারি: তিনদিন আগে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধের। দেহে ধরেছে পচন। হয়ত শীতের কারণে গন্ধ ছড়ায়নি এলাকায়। তাই জানতে পারেননি কেউ। কিন্তু গতরাতে মৃতের এক আত্মীয়ের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় চেপে ধরেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে যাদবপুরের রিজেন্ট কলোনিতে 68 বছরের সমীররঞ্জন শূরের দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের দাবি, প্রমোটিংয়ে বাধ সাধায় খুন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধকে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।



Body:জানা গেছে, সমীরবাবু দীর্ঘদিন রোগশয্যায় রয়েছেন। তার স্ত্রী আত্মীয়দের সঙ্গে উত্তর ভারতে বেড়াতে গেছেন। সেই সূত্রে একাই থাকছিলেন বৃদ্ধ। স্থানীয়দের দাবি, সমীর বাবুর বাড়িটি প্রমোটিংয়ের কথাবার্তা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এ বিষয়ে তাকে চাপ দিচ্ছিলেন জামাইবাবু বিশ্বনাথ দাস। কিন্তু সমীরবাবু রাজি হচ্ছিলেন না। এবিষয়ে বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয়। সেটা জানতেন প্রতিবেশীরা। সেই বিশ্বনাথবাবু গতরাতের অন্ধকারে প্রমান সাইজের থার্মোকলের বাক্স নিয়ে তাতে বরফ ভরে সমীরের বাড়িতে ঢুকছিলেন। যা দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাদের দাবি ওই বাক্সে ভরে দেহ পাচার করা হত।



Conclusion:যদিও পুলিশকে বিশ্বনাথ জানিয়েছেন, সমীরবাবুর মৃত‍্যুর পর এক চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। দিদি বাইরে থাকায় দেহ সংরক্ষণের চেষ্টা করছিলেন তিনি। তবে পুলিশ দেহটির ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে। তদন্তের প্রাথমিক কাজকর্ম এগিয়ে রাখা হচ্ছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.