কলকাতা, 7 জানুয়ারি : তিন আগে মৃত্যু হয়েছে 68 বছরের সমীররঞ্জন শূরের । স্বাভাবিকভাবে পচন ধরেছে দেহে । কিন্তু গন্ধ না বেরোনোয় প্রতিবেশীরা কিছু জানতেই পারেনি । গতকাল রাতে একটা থার্মোকলের বাক্স সমেত সমীরবাবুর শ্যালককে বাড়িতে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় তাদের । পুলিশে খবর দিলে তাঁরা এসে সমীরবাবুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ।
মেয়ে ও স্ত্রী না থাকায় ক'দিন রিজেন্ট কলোনির বাড়িতে একাই ছিলেন সমীরবাবু । সেই সুযোগেই তাঁকে কেউ খুন করেছে বলে অভিযোগ তোলে প্রতিবেশীরা । এবং এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সমীরবাবুর শ্যালক বিশ্বনাথ দাসের দিকে । কারণ বাড়িটি নিয়ে ঝামেলা ছিল সমীরবাবু ও তাঁর শ্যালক বিশ্বনাথ দাসের । বাড়িটি প্রোমোটিংয়ের জন্য কথাবার্তা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে । এনিয়ে তাঁকে শ্যালক বিশ্বনাথ দাস চাপ দিচ্ছিলেন বলে জানা যায় । তবে নিজের বাড়িকে ফ্ল্যাট বানানোয় প্রথম থেকেই তাঁর মত ছিল না । প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, এই নিয়ে বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে সমীরবাবুর ঝামেলাও হয় বেশ কয়েকবার । যা তারা জানত । আর এই বাড়ি নিয়েই সমীরবাবুকে খুন করেছে বলে তারা অভিযোগ তোলে ।
গতকাল রাতে মাছ রাখার একটি বাক্সে বরফ ভরতি করে সমীরাবুর বাড়িতে ঢুকছিল বিশ্বনাথ । তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দিতে মৃতদেহটি পাওয়া যায় । প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ, এই মৃতদেহটিকে কোথাও পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিশ্বনাথের । তাই ওই বরফ ভরতি বাক্স নিয়ে বাড়িতে ঢুকছিল সে । যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছে বিশ্বনাথ । তার কথায়, সমীরবাবুর মৃত্যুর পর এক চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছেন । দিদি বাইরে থাকায় দেহ সংরক্ষণের চেষ্টা করছিল সে ।
তবে যাদবপুর থানার পুলিশ দেহটির ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে । তদন্তের প্রাথমিক কাজ এগিয়ে রাখছে তারা । খবর দেওয়া হয়েছে সমীরবাবুর স্ত্রী ও মেয়েকে ।