ETV Bharat / state

NRC আতঙ্কেই কি মধ্যশিক্ষা পর্ষদে সার্টিফিকেট চেয়ে ভূরি ভূরি আবেদন ?

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ১৯৭৩ সালের আগে ত্রিপুরা থেকে যাঁরা ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা পাশ করেছিলেন তাঁদের অনেকে পরবর্তীতে অসমে চলে যান । তাঁরাই মূলত সার্টিফিকেট চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ।

NRC Panic in West Bengal
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
author img

By

Published : Dec 8, 2019, 9:09 PM IST

Updated : Dec 8, 2019, 11:35 PM IST

কলকাতা, ৮ নভেম্বর: অসমে NRC (জাতীয় নাগরিপঞ্জি)-তে নাম তোলার জন্য সার্টিফিকেট চেয়ে প্রায় 9 হাজার আবেদন জমা পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে । যাঁরা ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করেছেন কিন্তু সার্টিফিকেট হারিয়ে ফেলেছেন, তাঁরাই মূলত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দারস্থ হয়েছিলেন । পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছে গত এক মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ তাঁদের সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করছেন। আবেদন আসছে হারিয়ে ফেলা সার্টিফিকেট চেয়েও । প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি NRC-র আতঙ্ক বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে?

অসমে NRC-র জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে যে সমস্ত নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করার সার্টিফিকেট। তাই গত বছর প্রায় 9 হাজার অসমবাসী দ্বারস্থ হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের । ১৯৭৩ সালের আগে ত্রিপুরায় ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সেই রাজ্যে কোনও বোর্ড ছিল না। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ত্রিপুরায় ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা নিত । ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ত্রিপুরায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাজ শুরু হয় ।

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ১৯৭৩ সালের আগে ত্রিপুরা থেকে যাঁরা ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা পাশ করেছিলেন তাঁদের অনেকে পরবর্তীতে অসমে চলে যান । তাঁরাই মূলত সার্টিফিকেট চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ।

এদিকে, BJP-র নেতৃত্ব বার বার বলছে, অসমের মতো পশ্চিমবঙ্গেও NRC হবে। আর তাতেই তটস্থ পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করতে শুরু করেছেন অনেকে । পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মাসে প্রায় প্রতিদিনই ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করার সার্টিফিকেট চেয়ে ৭০-৮০টি করে আবেদন জমা পড়ছে । যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে কেউ সার্টিফিকেটে থাকা ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন, আবার কেউ আবেদন করেছেন হারিয়ে ফেলা সার্টিফিকেটের কপি চেয়ে ।

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের লোকজন তাঁদের সার্টিফিকেটের ভুল তথ্য সংশোধন করার আবেদন করছেন। হারিয়ে যাওয়া শংসাপত্র পেতেও আবেদন আসছে। প্রায় প্রতিদিনই ৭০-৮০টা করে আবেদন আসছে গত একমাস ধরে।" NRC-র ভয়েই এত আবেদন জমা পড়ছে বলে মনে করছেন পর্ষদের ওই আধিকারিক।

কলকাতা, ৮ নভেম্বর: অসমে NRC (জাতীয় নাগরিপঞ্জি)-তে নাম তোলার জন্য সার্টিফিকেট চেয়ে প্রায় 9 হাজার আবেদন জমা পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে । যাঁরা ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করেছেন কিন্তু সার্টিফিকেট হারিয়ে ফেলেছেন, তাঁরাই মূলত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দারস্থ হয়েছিলেন । পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছে গত এক মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ তাঁদের সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করছেন। আবেদন আসছে হারিয়ে ফেলা সার্টিফিকেট চেয়েও । প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি NRC-র আতঙ্ক বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে?

অসমে NRC-র জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে যে সমস্ত নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করার সার্টিফিকেট। তাই গত বছর প্রায় 9 হাজার অসমবাসী দ্বারস্থ হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের । ১৯৭৩ সালের আগে ত্রিপুরায় ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সেই রাজ্যে কোনও বোর্ড ছিল না। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ত্রিপুরায় ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা নিত । ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ত্রিপুরায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাজ শুরু হয় ।

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ১৯৭৩ সালের আগে ত্রিপুরা থেকে যাঁরা ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা পাশ করেছিলেন তাঁদের অনেকে পরবর্তীতে অসমে চলে যান । তাঁরাই মূলত সার্টিফিকেট চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ।

এদিকে, BJP-র নেতৃত্ব বার বার বলছে, অসমের মতো পশ্চিমবঙ্গেও NRC হবে। আর তাতেই তটস্থ পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করতে শুরু করেছেন অনেকে । পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মাসে প্রায় প্রতিদিনই ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করার সার্টিফিকেট চেয়ে ৭০-৮০টি করে আবেদন জমা পড়ছে । যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে কেউ সার্টিফিকেটে থাকা ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন, আবার কেউ আবেদন করেছেন হারিয়ে ফেলা সার্টিফিকেটের কপি চেয়ে ।

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের লোকজন তাঁদের সার্টিফিকেটের ভুল তথ্য সংশোধন করার আবেদন করছেন। হারিয়ে যাওয়া শংসাপত্র পেতেও আবেদন আসছে। প্রায় প্রতিদিনই ৭০-৮০টা করে আবেদন আসছে গত একমাস ধরে।" NRC-র ভয়েই এত আবেদন জমা পড়ছে বলে মনে করছেন পর্ষদের ওই আধিকারিক।

Intro:কলকাতা, ৮ নভেম্বর: এর আগে অসমে জাতীয় নাগরিপঞ্জীতে নাম তোলার আবেদনের জন্য পরীক্ষায় পাশ করার হারিয়ে ফেলা সার্টিফিকেট পেতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দারস্থ হয়েছিলেন প্রায় ৯ হাজার অসমবাসী। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, বিগত এক মাস যাবৎ পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ তাঁদের নথিপত্র সংশোধনের আবেদন করছেন। আবেদন আসছে হারিয়ে ফেলা নথিপত্র চেয়েও। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি NRC-র আতঙ্ক বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে?

Body:অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী হওয়ার সময় নাগরিকদের কাছে যে সমস্ত নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট। সেই কারণেই গত বছর প্রায় ৯ হাজার অসমবাসী দারস্থ হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। কারণ, ১৯৭৩ সালের আগে ত্রিপুরায় দশম শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া বা এই সংক্রান্ত কাজের জন্য কোনও বোর্ড ছিল না। তাই ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পথচলা শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদই পরীক্ষা নিত। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সেই সময় জানিয়েছিলেন, ১৯৭৩ সালের আগে যখন আবেদনকারীরা পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তখন তাঁরা ত্রিপুরায় থাকতেন। NRC-র সময় তাঁরা অসমে থাকতেন। তাই তাঁরা হারিয়ে যাওয়া নথিপত্র বা সার্টিফিকেট নতুন করে পাওয়ার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।

বিজেপির নেতৃত্বরা বার বার বলছেন, অসমের মতো পশ্চিমবঙ্গেও NRC হবে। আর তাতে প্রায় তটস্থ হয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বহু মানুষ চেষ্টা চালাচ্ছেন নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করে রাখার। তার প্রভাব পড়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদেও। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১ মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই ৭০-৮০টি করে আবেদন জমা পড়ছে পর্ষদের দপ্তরে। আবেদনকারীরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে কেউ সার্টিফিকেটে থাকা ভুল সংশোধনের আবেদন করেছেন, আবার কেউ আবেদন করেছেন হারিয়ে ফেলা সার্টিফিকেট চেয়ে।

Conclusion:পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এ বিষয়ে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের লোকজন তাঁদের রেকর্ড সংশোধন করার আবেদন করছেন। হারিয়ে যাওয়া ও সংশোধনের আবেদন আসছে। প্রায় প্রতিদিনই ৭০-৮০টা করে আবেদন আসছে গত একমাস ধরে।" NRC-র ভয়েই পশ্চিমবঙ্গের এতো মানুষ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করছেন বলে মনে করছেন ওই আধিকারিক।
Last Updated : Dec 8, 2019, 11:35 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.