কলকাতা, 19 মে: এগরাকাণ্ডে এবার রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)। শুক্রবার এনএইচআরসি'র তরফ থেকে রাজ্যে পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে । জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো চিঠিতে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে ।
মঙ্গলবার এগরার খাদিকুল গ্রামে এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে 9 জনের ৷ শুক্রবার ওড়িশার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের ৷ এই মৃত্যু মিছিল কী করে তা এদিন জানতে চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ একইসঙ্গে কমিশনের তরফে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী করে ওই ঘটনা ঘটল, তার রিপোর্ট পাঠাতে ৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করেছে তাও রাজ্যকে জানাতে হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ।
এক্ষেত্রে এনএইচআরসি বলেছে, সাংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গয়েছে, একটি বেআইনি বাজি কারখানা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় চলছিল । সরকারের তরফ থেকে এই বেআইনি কারখানাগুলি বন্ধের জন্য সেভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । ফলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে মানবাধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে । মঙ্গলবার এগরার 1 নম্বর ব্লকের সাহারা খাদিকুল গ্রাম পঞ্চায়েতে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং এই ঘটনায় 9 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করছে, এই ঘটনায় স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে । সে কারণেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং ডিজি মনোজ মালব্যের থেকে তারা রিপোর্ট চেয়েছে । কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, "আমরা ট্র্যাজেডির জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাই।" প্রসঙ্গত এ দিন অবশ্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জাতীয় মানবাধিকারের কমিশনের এই রিপোর্ট তলব নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় এটাই দেখার তারা এই নিয়ে কি প্রতিক্রিয়া দেয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল এক অমূল্য সম্পদ হারাল, এগরা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যুতে কটাক্ষ শুভেন্দুর