কলকাতা, 22 অক্টোবর : ২০২১-এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের 'ল্যান্ড-স্লাইড ভিট্রি'র পিছনে বাংলার সাধারণ মা-বোনেদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এরপর উপনির্বাচনেও দেখা গিয়েছে মহিলারা দু'হাত ভরে সমর্থন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে। আগামীতে পুর-ভোট রয়েছে বাংলায় । বাংলার মহিলাদের উজার করা সমর্থনে ভর করেই সেই ভোট বৈতরণীও পার করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সে কারণেই আরও বেশি করে মহিলাদের কাছে পৌঁছতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এমনিতে তৃণমূলের শক্তিশালী মহিলা সংগঠন থাকলেও তা কিন্তু বামেদের মত কখনোই গৃহস্থের হেঁসেলে ঢুকে জনসংযোগের কথা ভাবেনি। তবে এবার সেই মহিলা সংগঠনকেই ঢেলে সাজাচ্ছে তৃণমূল। গৃহস্থের মন পেতে এবার বিজয়ার মিষ্টি নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা। উদ্দেশ্য একটাই, দলের প্রতি বাংলার মা-বোনেদের সমর্থনের ভিত আরও মজবুত করা। উল্লেখ্য, 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বরাবরই নারীর ক্ষমতায়নকে পাখির চোখ করেছে। এই সরকারের আমলে পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে, পরিবারে মহিলাদের গুরুত্ব বাড়াতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মহিলাদের নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল সরকার। একইসঙ্গে সদ্য চালু হওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমেও বাংলার মহিলাদের হাতে হাত খরচের টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : TMC Attacked inTripura: ত্রিপুরায় এবার আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব
এবার তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে বাংলার মহিলাদের কাছে পৌঁছতে। থাকবে বিপদের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা। তৃণমূল সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন রান্নার তেল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠে আসুক একদম গৃহস্থের হেঁসেল থেকেই । আর তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের প্রমীলা বাহিনী শুধু মিষ্টিমুখ করবে না। এই খারাপ সময়ে বাড়ির মহিলাদের বন্ধু হয়ে উঠবেন ৷
এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী কাকলি ঘোষদস্তিদার জানিয়েছেন, "এটা কোন রাজনৈতিক অভিপ্রায় নয়। আমরা চাই বাংলার মা-বোনেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে। যাতে তাঁদের সুখ-দুঃখের কথা তাঁরা নির্ভাবনায় আমাদের কাছে বলতে পারেন। এটা ভোটের সময় নয় যে আমরা ভোট চাইতে যাচ্ছি। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে আমরা বাংলার মা-বোনেদের পাশে থাকছি। বাঙালিদের সংস্কৃতি দশমীতে মিষ্টিমুখ, পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা। তাই বলা হয়েছে এখন মানুষের দরজায় গিয়ে তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে ৷"