কলকাতা, 31 ডিসেম্বর: 'রাজ্য সঙ্গীত' সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার ৷ যেখানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, সব রাজ্য সরকারি অনুষ্ঠানের শুরু হবে 'রাজ্য সঙ্গীত' দিয়ে ৷ আর অনুষ্ঠানের শেষ হবে 'জাতীয় সঙ্গীত' দিয়ে ৷ কর্মজীবনের শেষদিনে এই নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী ৷ সেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে সরকারের যে কোনও অনুষ্ঠানের শুরুতে উঠে দাঁড়িয়ে 'রাজ্য সঙ্গীত' গাওয়া বাধ্যতামূলক ৷ পাশাপাশি, ওই নির্দেশিকায় পয়লা বৈশাখকে 'রাজ্য দিবস' হিসেবে পালনের কথা বলা হয়েছে ৷
নবান্নের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে 'রাজ্য দিবস' পালন করবে পশ্চিমবঙ্গবাসী ৷ রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির শুরুতে গাইতে হবে 1 মিনিট 59 সেকেন্ডের 'রাজ্য সঙ্গীত'। অনুষ্ঠানের শেষে গাইতে হবে 'জাতীয় সঙ্গীত'।" উল্লেখ্য, জাতীয় সঙ্গীত ও রাজ্য সঙ্গীত উঠে দাঁড়িয়ে গাওয়ার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় ৷
এ বছরের শুরুতেই 'রাজ্য দিবস' ও 'রাজ্য সঙ্গীত' নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধিন সরকার ৷ রাজ্যের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে দীর্ঘদিন ধরেই 'রাজ্য দিবস' এবং 'রাজ্য সঙ্গীত' বেছে নেওয়া কথা বলে আসছিল সরকার পক্ষ ৷ বিধানসভায় সেই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর পয়লা বৈশাখকে 'রাজ্য দিবস' ঘোষণা করা হয়েছে ৷ একই সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বাংলার মাটি, বাংলার জল' গানটিকে 'রাজ্য সঙ্গীত' হিসেবে বেছে নেওয়া হয় পাশ হওয়া প্রস্তাবের মাধ্যমে ৷ আজ সেই দু’টি পাশ হওয়া প্রস্তাবকে কার্যকর করল রাজ্য সরকার ৷
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বিধানসভায় মিউজিয়ামের উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্য সঙ্গীতকে সম্মান জানানোর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ একইসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীতকেও যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে গাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি ৷ আজ সেটাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল রাজ্য সচিবালয় ৷ উল্লেখ্য, গত দু’বছর ধরে কেন্দ্রের নির্দেশে রাজভবনে 20 জুন 'বঙ্গীয় আইন পরিষদ' অনুযায়ী 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসেবে পালন করা হয় ৷ এমনকি বিরোধী বিজেপিও দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করে ৷ যা নিয়ে প্রতিবাদ জানায় রাজ্য সরকার ৷
আরও পড়ুন: