কলকাতা, 11 মে: রাজ্যে তৈরি হওয়া বিশ্ব বাংলা বিপণীর কথা এখন সকলেই জানেন ৷ রাজ্যের তাঁত শিল্প থেকে হস্তশিল্পের প্রচার ও প্রসার যেভাবে হয়েছে তাতে বিশ্ব বাংলা বিপণীর গুরুত্ব অনেকখানি ৷ সবটাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। এবার তিনি নিয়ে আসতে চাইছেন শাড়ির জগতে একটা নতুন ব্র্যান্ড। যার নাম হতে চলেছে 'বাংলার শাড়ি'। বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
আসলে, বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডের অধীনে রাজ্যের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগে তৈরি হস্তশিল্প এবং টেক্সটাইল সামগ্রী বিক্রি হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় 'বিশ্ব বাংলা'-র বিপণী রয়েছে। দেশের নানা শহরেও শো-রুম রয়েছে 'বিশ্ব বাংলা'-র বিপণী। সেখানে মেলে বাংলার নলেন গুড় থেকে মিষ্টি দই, শাড়ি থেকে ধুতি, তাঁত থেকে মসলিন। ভারতের বাইরেও বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন বাঙালিরা। ফলে বাংলা এই শিল্প সত্ত্বাকে সব জায়গাতেই তুলে ধরতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার সেই তালিকায় আরও বড় করে আসতে চলেছে বাংলার শাড়ি ৷
বাংলার বুকে শাড়ির যত রকমের শাড়ি রয়েছে, তা জামদানি থেকে তাঁত বা মসলিন বা খাদি এই সবকিছুকে বাংলার শাড়ি ব্র্যান্ডের ছাতার তলায় আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে যেমন দশ হাজার টাকাও শাড়িও থাকবে। একইভাবে থাকবে কম দামের শাড়িও। ধনী থেকে গরিব, সকলেই এই বাংলার শাড়ি ব্যান্ডের ব্যবহার করতে পারবেন, এমন উদ্যোগই নিতে চাইছেন মমতা। এর জন্য একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই কমিটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে ইন্দ্রনীল সেনের নাম প্রস্তাব করেছেন তিনি। একইসঙ্গে কমিটিতে রেখেছেন অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যদের।
আরও পড়ুন: কাঁটা গাছের ভয়ে ঢুকছে না হাতি, হামলা থেকে ফসল বাঁচাতে বিকল্প চাষ কৃষকদের
এমন উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সাহায্য চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন একটা এজেন্সি যে সরকারের দেখানো তাঁতি তথা শিল্পীদের কাছ থেকে শাড়ি সংগ্রহ করে বিপণী পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। যদিও শাড়ির জগতে একটি প্রখ্যাত ব্যান্ড মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনায় পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন এমন কাউকে যারা সরকারের সঙ্গে মিলে এই বাংলার শাড়ি ব্র্যান্ডটিকেই বিকশিত করবে। এক্ষেত্রে রাজ্যের প্রথম সারির হোটেলগুলিকে বাংলায় তৈরি হওয়া শাড়ি গুলিকে প্রমোট করার জন্য আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাতে বাইরে থেকে আসা বহু সংখ্যক পর্যটকের কাছে খুব সহজেই বাংলার শাড়িগুলো পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।