কলকাতা, 30 মে: পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে নিয়োগে জোর দিচ্ছে সরকার ৷ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে, রাজ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে 1 লক্ষ 25 হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে ৷ একইসঙ্গে, তাঁর কথায় আজ উঠে আসে চাকরি বাতিল প্রসঙ্গও ৷
এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে কর্মী নিয়োগের কথা সবিস্তারে জানানো হয় ৷ সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার নতুন কর্মী নিয়োগের উপর ব্যাপক জোর দিচ্ছে ৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 11 হাজার প্রাথমিকে ও উচ্চ প্রাথমিকে 14 হাজার 500 শূন্যপদ রয়েছে ৷ খুব শিগগিরই এই শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে ৷ 12 হাজার কর্মী নিয়োগ হবে গ্রুপ ডি-তে ৷ গ্রুপ সি পদে 3,000 কর্মী নিয়োগ হবে ৷
রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে 2,200 জন অধ্যাপক নিয়োগ হবে ৷ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পদে 20,000 নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানানো হয় ৷ 3,000 এক্সাইজ কনস্টেবল নিয়োগ হচ্ছে ৷ 9493 জনকে শিগগিরই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পদে নিয়োগ করবে সরকার ৷ অঙ্গনওয়াড়ির সহায়ক পদে 13,926 জন কর্মীকে নিয়োগ করা হবে ৷
স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও প্রচুর নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয় ৷ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, 2 হাজার চিকিৎসক পদে, 7 হাজার জনকে নার্স পদে নিয়োগ করা হবে ৷ 2,000 কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার, 7,000 আশা কর্মীও নিয়োগ করা হবে ৷ এছাড়াও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদে আরও 17,800 জন কর্মীকে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে ৷
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিয়োগ সংক্রান্ত এই বড় ঘোষণার পরই আজ মুখ্যমন্ত্রী সরব হন চাকরি বাতিল নিয়েও ৷ বিরোধী রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, "যাঁদের চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁরা চাকরি বাতিল করা আর চাকরিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না ৷"
উল্লেখ্যে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সম্প্রতি প্রাথমিক, গ্রুপ সি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বহু কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে ৷ এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই শাসকদলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছে বিরোধীরা ৷
আরও পড়ুন: শাহের মণিপুর সফরকে কটাক্ষ, নিজে যেতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি মমতার